বেগম রোকেয়াতে শেখ রাসেলের নামের ফলকটি...
লেখা ও ছবি : রবিউল হাসান সাকীব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এবারে স্বাধীনতা দিবসের রাতে রংপুরের পায়রাবন্দে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’-এ শহিদ শেখ রাসেলের নামফলকটি ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি ক্যাম্পাসের মিডিয়া চত্বর। ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে অ্যাকাডেমিক ভবনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ সড়কটির বটগাছে ঝোলানো 'শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর' ফলকটির গোড়া ভেঙে মাটিতে ফেলে যায় তারা।
২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন যাওয়ার সংযোগ সড়কটিতে একটি জায়গা শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর নাম রেখে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দল ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে বটগাছটিতে 'শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর' নামফলকটিও বেঁধে দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী সব মহলে এই নামেই পরিচিত জায়গাটি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবসে সারা ক্যাম্পাসের মতো আলোকসজ্জিত 'শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’-এর বটগাছের নীচেও ছবি তুলতে ভীড় করেছেন অধ্যাপক- ছাত্র, ছাত্রীরা। আরো গিয়েছেন দর্শনার্থীরা। তারা এই ঘটনায় খুব দুঃখ পেয়েছেন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ধনঞ্জয় কুমার টগর বলেছেন, “শহিদ শেখ রাসেলের স্মরণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির স্মৃতিফলক ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’টি যারা স্বস্থান থেকে তুলে ফেলেছে, প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেছেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরটির নামফলক ভেঙে ফেলার সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত প্রেতাত্মাদের হাত আছে বলে আমি মনে করি। এই ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্ত দেবার মতো শাস্তি দাবি করছি।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এই বিষয়ে বলেছেন, ‘শেখ রাসেল আমাদের কাছ একটি আবেগের নাম। কোনো সুস্থ মানুষ এ কাজ করতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
ওএস।