৭ মার্চের গ্রাফিতি, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো
লেখা ও ছবি : রায়হান মাহবুব, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
কুষ্টিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে ৭ মার্চ, ২০২২ সালে সকাল ১০টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর শিক্ষকদের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা, সংগঠন শাপলা ফোরাম, নানা বিভাগের আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা ফুলের তোড়া ও ভালোবাসা নিবেদন করেছেন।
এই দিনে তারা ‘৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ প্রতিযোগিতা-২০২২’ আয়োজন করেছেন।
সেখানে আলোচনা সভা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের চারণ কবি গগণ হরকরা মিলনায়তনে আলোচনা ও ভাষণটির প্রতিযোগিতা হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও অধ্যাপক-কমকতা-কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যাপীঠ ইসলাসী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র, ছাত্রীরা।
প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান। উপস্থাপনা করেছেন বাংলার অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির ভাষণে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ভবিষ্যতের দেশটি পরিচালনারও সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল তার ৭ মার্চের ভাষণে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমরা সবাই যদি পরিপূর্ণভাবে জানতাম, তাহলে আজ বিভাজিত হতাম না। কেননা, বঙ্গবন্ধু না থাকলে আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। তাকে চোখে না দেখলেও তার সর্ম্পকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে আমরা জানতে পারি।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরীন, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজনগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল ‘সাদ্দাম হোসেন’র ছাত্রদের আয়োজনে হলের দেওয়ালে গ্রাফিতি, বাঁধনের স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বির্তক এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল।
ওএস।