৭ম দিনের চালচিত্র
মেলা প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য
একে তো ছুটির দিন তার উপর একুশে ফেব্রুয়ারি; মহান ভাষাশহিদদের স্মৃতিবিজড়িত দিন। বইমেলা পরিণত হয়েছে লোকে-লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে।
পরিবার-পরিজন নিয়ে সব বয়সী মানুষ ছুটে আসে প্রাণের মেলায়।
একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বইমেলার দ্বার খোলে সকাল ৮টায়।
বরাবরের মতো সকাল থেকেই শহীদ মিনার থেকে বইমেলায় ছোটে জনস্রোত। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে স্রোতধারা।
বিকাল ৩টার পর থেকে ভিড়ের চাপে উপেক্ষিত থাকে স্বাস্থ্যবিধি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসার মধ্যে বইমেলা শুরু হলেও সব পর্যায় থেকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানানো হচ্ছিল বারবার, কিন্তু বেশিরভাগের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। প্রবেশ পথগুলোতেও ধাক্কাধাক্কির চোটে তাপমাত্রা মাপা কিংবা হাতে স্যানিটাইজার মাখার সুযোগটুকুও ছিল না।
সন্ধ্যার দিকে মেলার অবস্থা এমন দাঁড়ায়, বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। একই অবস্থা ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেও।
মেলায় আগতদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ-তরুণী। মা-বাবার হাত ধরে শিশুরাও এসেছিল। কেউ সাদা-কালো পোশাকে, কেউবা ফাগুনের সাজে ঘুরে বেড়িয়েছে।
ভিড়ের চাপে শিশুদের হারিয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে। তথ্য কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকজন শিশু হারিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রচার করা হয়।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কথা বলার মতো সময় ছিল না কারো। বই বিক্রি হয়েছে প্রচুর। যে সব প্যাভিলিয়নে ছিলেন জনপ্রিয় লেখকরা সেগুলো ছিল পাঠকদের জটলা।