শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন বই

পঞ্চম দিনে এলো ১৪৩টি

অমর একুশে বইমেলার পঞ্চম দিন, শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এলো ১৪৩টি নতুন বই।

নতুন বইয়ের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস ১৮টি, গল্প ২০টি, প্রবন্ধ ৯টি, কবিতা ২৮টি, গবেষণা ২টি ও ছড়া ৩টি। আরও রয়েছে শিশুসাহিত্য ৫টি, জীবনীগ্রন্থ ৫টি, রচনাবলী ১টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ৭টি, বিজ্ঞান ৪টি, ভ্রমণ ৩টি, ইতিহাস ৩টি, রাজনীতি ১টি, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক ৬টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ১টি, সায়েন্স ফিকশন ৪টি ও অন্যান্য বই ২২টি।

আগামী প্রকাশনী মেলায় এনেছে ৯টি নতুন বই। এম আবদুল আলীম-এর ‘রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন : জেলাভিত্তিক ইতিহাস’, ড. ওয়াহিদুজ্জামান-এর কবিতার বই ‘মনের মন্দিরে বঙ্গবন্ধু’, আসাদুজ্জামান আসাদ-এর ‘মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী সমাজের রাজনৈতিক ভূমিকা’, সিরাজুল ইসলাম মুনির-এর উপন্যাস ‘নদী জীবন চরজীবন’, ড. মোহাম্মদ হাননান সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ : ডায়েরীর পাতা থেকে’ ও জেবুন নাহার-এর কবিতার বই ‘অন্তরালে’, রাহমান নাসির উদ্দিন-এর ইতিহাস বই ‘রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গার জীবন দোদুল্যমান বর্তমান ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ’ জিল্লুর রহিম-এর ‘ঢাকার মুজিব মুজিবের ঢাকা’ এবং বিধান চন্দ্র পাল-এর ‘পরিবেশ প্রতিবেশ’।

ময়ূরপঙ্খি মেলায় এনেছে দুইটি নতুন বই। আনা পি দেউয়িয়ানা-এর শিশুতোষ গল্প ‘ফুলের দেশের রাজপুত্র’ ও ইনা ইনং-এর শিশুতোষ গল্প ‘আমাদের শিক্ষক সিংহমশাই’।

সময় প্রকাশন মেলায় এনেছে দুইটি নতুন বই। নাছিমা খান-এর শিশু কিশোর গল্প ‘পাহাড় কন্যা ওয়াসফিয়া’ ও রুশদী শামস-এর বৈজ্ঞানিক কাহিনি ‘ফিনিক্স প্রটোকল’।

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন ও ড. সারিয়া সুলতানার গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘কুষ্টিয়ার তাঁতশিল্প’ মেলায় এনেছে কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী।

কামাল হোসাইন-এর শিশুতোষ গল্প ‘সেদিন মেধা যা করেছিল’ ও বিচিত্রা সেন-এর উপন্যাস ‘ওরা ফেরেনি কেউ’ এনেছে শিশু গ্রন্থকুটির।

শামীমা ইসলাম-এর স্মৃতিকথা ‘স্মৃতির করিডোর’ বের করেছে সময়ের সুর প্রকাশনা।

শাহনাজ হোসনে জাহান-এর গবেষণাগ্রন্থ ‘মেরিটাইম পার্ট ইন বেঙ্গল’ প্রকাশ করেছে টাঙ্গন।

মো. মনিরুজ্জামান-এর কবিতার বই ‘রূপান্তরিত’ বের করেছে অনুভব প্রকাশনী।

শবনম শিউলী-এর অনুকাব্যগ্রন্থ ‘নীলিমায় ভেসে যাওয়া মেঘ’ ও আসাদ সরকার-এর শিশুতোষ ছড়া ‘মটকু ভূত’ প্রকাশ করেছে সাহিত্যের সন্ধানে।

আবু আলী-এর ‘শেয়ার বাজারের সহজপাঠ’ প্রকাশ করেছে ম্যাগনাম ওপাস।

শান্তা মারিয়া’র ইতিহাস গ্রন্থ ‘আমি বেগম বাজারের মেয়ে’ ও হাসনাইন মঞ্জুর মুর্শেদ-এর গল্প ‘লকডাউনে জ্যোৎস্না’ এনেছে পলল প্রকাশনী।

শোভা প্রকাশ এনেছে ৪টি নতুন বই। শাহারিয়ার সোহাগ-এর কবিতার বই ‘আদিবা’,  আহমাদ আবদুল হাকিম-এর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘মদীনা সনদ’, ড. শাওকি আবু খলিল-এর ‘কুরআনের ভূগোল’ এবং শাহরিয়ার সোহাগ-এর উপন্যাস ‘চুড়িহাট্টা মোড়’।

ডালিয়া লায়লা’র ছোটগল্প ‘না-মেলানো সমীকরণ’ এনেছে আজকাল প্রকাশনী।

শ্রাবণ প্রকাশনী মেলায় এনেছে ৪টি নতুন বই। কপিল ঘোষ-এর মুক্তিযুদ্ধগ্রন্থ ‘বোহেমিয়ান যুদ্ধজীবন’, মো. মিনহাজ উদ্দীন-এর সাক্ষাৎকারগ্রন্থ ‘রনো ও অন্যান্য একাত্তর’, আলতাব হোসেন প্রবন্ধ ‘জলবায়ুর দৃশ্যমান প্রভাব প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ এবং নাসির আহমেদ-এর ‘১৯৭১ সাত ভাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রাম’।

অবসর প্রকাশনা সংস্থা মেলায় এনেছে ৩টি নতুন বই। মুহম্মদ ইব্রাহীম-এর উপন্যাস ‘দূরে আরও দূরে’, ড. মো. মকসুদুর রহমান-এর ‘বঙ্গবন্ধু : একটি আদর্শের নাম’ এবং সুলতান মাহমুদ-এর ‘বঙ্গবন্ধুর কিশোর বেলা’।

বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে ৩টি নতুন বই। মোজাফ্ফর হোসেন সম্পাদিত গল্প-প্রবন্ধ-সাক্ষাৎকার বিষয়ক ‘গুরনাহ পাঠ’, শারমিন সাথী’র গল্প ‘মধুবন রিসোর্ট’ ও শিউলী খন্দকার-এর উপন্যাস ‘অন্তরে অন্য নারী’।

প্রকাশনা সংস্থা মূর্ধণ্য মেলা এনেছে ৩টি নতুন বই। ড. মোখলেছুর রহমান-এর ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিকথা’, মাহফুজা খানম সম্পাদিত ‘ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সম্মাননাগ্রন্থ’ ও ড. আবদুল আজিম শাহ্-এর ‘প্রকৃতি, ভারতবর্ষ ও মাইজভাণ্ডারী দর্শন’।

জয়দীপ দে’র উপন্যাস ‘ওপারে আঁধার’ ও নজরুল ইসলাম-এর কাব্যগ্রন্থ ‘পরীক্ষায় নীলগ্রহ’ কিংবদন্তী পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে।

অনিন্দ্য প্রকাশ মেলায় এনেছে ৫টি নতুন বই। এম মামুন হোসেন-এর প্রবন্ধের বই ‘আদি অন্তে ঢাকা’, মোশতাক আহমেদ-এর ‘প্যারাসাইকোলজি থ্রিলার মন জোছনার কান্না’, মালেক মুস্তাকিম-এর কবিতার বই ‘আমি হাঁটতে গেলে পথ জড়িয়ে যায় পায়ে’ এবং আনিকা তাহসিন-এর ‘ক্যান্সারজয়ী তরুণীর দিনলিপি বিষে বিষক্ষয়’।

আহমেদ বাসার-এর কবিতার বই ‘মর্ত্যরে মাছিরা’ অনিন্দ্য প্রকাশ

আদর্শ মেলায় এনেছে ৭টি নতুন বই। উম্মে সাইমুন-এর ‘ছোটোদের স্পোকেন ইংলিশ’, ফিরোজা বহ্নি ও চমক হাসান-এর ছোটোদের গল্পকাহিনি ‘টুটুম জানতে চায় মেঘের কথা’, মুনির হাসান-এর ‘যে অঙ্কে কুপোকাত আইনস্টাইন’, আসিফ সিবগাত ভূঞ’র ‘সহজ কুরআন’, মিশাল ইসলাম-এর ‘সৃষ্টির উল্লাসে রোবোটিকস’, জাকির হোসাইন-এর ‘পাইথন প্রোগ্রামিং ৩.১০’ ও মারুফ মল্লিক ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’।

জহিরুল হাসনাইন-এর ‘কিছু গানের কথা’, মনিরুন নাহার-এর ছড়াগ্রন্থ ‘ফোঁকলা দাঁতের হাসি’, সাহিদা সুলতানা রীমা সম্পাদিত কবিতা সংকলন ‘এক মলাটের কাব্য- ১’, মামুন কবীর-এর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘ইদানিং বাংলাদেশ’, জুলফিকার চমন-এর গানের বই ‘চমনের কাব্যকথা’, রুদ্র বারী’র কাব্যগ্রন্থ ‘কণ্ঠনাদ’, নাসরিন রুন’র ছোটগল্প ‘অসম প্রেম’, আনোয়ার কামাল-এর ‘সমকালীন সাহিত্য পাঠ- পাঠান্তর’, জান্নাত আফরোজ প্রকৃতি’র কবিতাগ্রন্থ ‘খাঁচা-বাগিচা কাব্য’ প্রকাশ করেছে এবং মানুষ প্রকাশনী।

সাদিক ইসলাম-এর আত্ব উন্নয়নমূলক গ্রন্থ ‘জীবন পরিবর্তনের মন্ত্র’ প্রকাশ করেছে উত্তরণ।

মাহবুব মোরশেদ-এর ‘অপ্রকাশিত জীবনানন্দ’ প্রকাশ করেছে আদর্শ।

গুলজার হোসেন গরিব-এর কাব্যগ্রন্থ ‘একরোয়া মাটি কোথাও নেই তার’ বের করেছে অনুভব প্রকাশনী।

কথাপ্রকাশ মেলায় প্রকাশ করেছে আবুল কাশেম-এর ‘ইতিহাসের মুহূর্ত ইতিহাসের মানুষ’, আফসানা বেগম-এর গল্প ‘মুখোশের আড়ালে’, আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ও মিল্টন কুমার দেব-এর ‘স্যার এ এফ রহমান’ এবং দীপু মাহমুদ-এর গল্প ‘মিশরের ডায়েরি’।

শাহনাজ আলম সম্পাদিত ‘আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ফকির আলমগীর-এর ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’, এম এ মান্নান-এর ‘বাঙালির নয়নমনি মহান মুজিবুর রহমান’, আ. ন. ম মিজানুর রহমান পাটওয়ারীর ‘রাসেল সোনার গল্প’ এবং ড. মোহাম্মদ আলমাস আলী খান-এর গল্পগ্রন্থ ‘শেখ রাসেল : একটি অভাবনীয় সম্ভাবনার নৃশংস হত্যা’ বের করেছে মিজান পাবলিশার্স।

মোহাম্মদ মনিরুল হক-এর কবিতার বই ‘আমার পণ’, মোহাম্মদ মনিরুল হক-এর কাব্যগ্রন্থ ‘শিখর’ ও মোহাম্মদ মনিরুল হক-এর উপন্যাস ‘টুনি’ এনেছে রচনা প্রকাশ।

অনন্যা মেলায় এনেছে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা’র ‘কবিতা সমগ্র-৩’, ইমদাদুল হক মিলন-এর গল্পগ্রন্থ ‘অচিন ফুলের গন্ধ’, শানারেই দেবী শানু’র
উপন্যাস ‘ঘুণমানুষ’ ও আইয়ুব মুহাম্মদ খান-এর উপন্যাস ‘যে কখনো ভালোবাসে’।

মোহাম্মদ দুদু মিয়া সরকার-এর ‘মুক্তিযুদ্ধ মুজিববাহিনী ও আমার জীবনী’ বের করেছে আবিষ্কার।
নাঈম মোজাম্মেল-এর প্রবন্ধ ‘সাহিত্যবীক্ষণ’ এনেছে ভাষা প্রকাশ।

সাইমন জাকারিয়া’র ‘সাধক কবিদের রচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি’ প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি।
মুসা আল হাফিজ-এর রাসুলুল্লাহর জীবনী ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথম খণ্ড’ এনেছে শোভা প্রকাশ।

মো. এনামুল হক-এর ভ্রমণকাহিনী ‘ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল’ এনেছে পার্ল পাবলিকেশন্স।

এমদাদুল হাসান-এর ভ্রমণকাহিনী ‘স্বপ্নের ইউরোপ’ বের করেছে শব্দশৈলী।

মাইনুল ইসলাম মানিক-এর প্রবন্ধ ‘হিরন্ময় বানপ্রস্থ’ এনেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.।

হেমন্তী হায়দার ও শাওন্তী হায়দার সম্পাদিত স্মারকগ্রন্থ ‘রশীদ হায়দার’ বের করেছে জয়তী।

আবু বকর ভূঁইয়া’র প্রবন্ধ ‘বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়’ এনেছে বিভাস।

মোহাম্মদ সুবাস উদ্দিন-এর ‘বঙ্গবন্ধুর জয়যাত্রা ও শাহ আবদুল করিম’ এনেছে উৎস প্রকাশন।

এপি/

 

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী