শিল্পকলায় যাত্রা উৎসব মঙ্গলবার থেকে
আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য যাত্রাপালা। এদেশের শেকড়ের সঙ্গে মিশে আছে এই লোকজ নাট্যধারা। উচ্চস্বরের সংলাপ ও বিবেকের গানের চিরচেনা সুরে দর্শকদের বিমোহিত হওয়ার সেই দৃশ্য বর্তমানে বিরল। যাত্রাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের ১৩তম যাত্রা উৎসব। জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে উৎসবের উদ্বোধন আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর)। চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
যাত্রাশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন ও যাত্রাদল নিবন্ধনের লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে এই উৎসব। ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ। উৎসবে ৩৮টি যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়নের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রা দেখা যাবে প্রতিদিন দুপুর ২টা হতে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির প্রতিদিন ৩ জন সম্মানিত সদস্য যাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে যাত্রাপালা মূল্যায়ন করবেন এবং তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে যাত্রাদলগুলোকে নিবন্ধন প্রদান করা হবে। যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত সদস্যরা হলেন: জ্যোৎনা বিশ্বাস, আফসানা করিম, তাপস সরকার, মিলন কান্তি দে, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার, ড. ইস্রাফিল শাহীন, ড. আমিনুর রহমান সুলতান, ড. তপন বাগচী, ড. আমিনুল ইসলাম, ইউসুফ হাসান অর্ক, তামান্না হক সিগমা। এছাড়াও এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১ জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ইতোমধ্যে ১২টি যাত্রা উৎসবের মাধ্যমে ১৩০টি যাত্রাদলকে নিবন্ধন প্রদান করেছে। ১২টি যাত্রাদলকে বিভিন্ন অভিযোগে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ১৩তম যাত্রা উৎসব ২০২১ এ অংশগ্রহণকারী সকল যাত্রাপালাগুলি দর্শকদের জন্য উন্মক্ত থাকবে বলে জানানো হয়।