শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাকির তালুকদারকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক

কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) মুহম্মদ নূরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের একটি আলোচিত নাম কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। সম্প্রতি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এই কথাসাহিত্যিক। ২০১৪ সালে তিনি কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।

তবে গত রবিবার তিনি ওই পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলা একাডেমিতে ফেরত পাঠিয়েছেন। এ জন্য জাকির তালুকদারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধন্যবাদ জানান তিনি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আমার বন্ধু জাকির তালুকদারকে ধন্যবাদ জানাই। তার উৎসাহ স্বাগত জানাই। বাংলা একাডেমি সম্পর্কে তার কাছে যেটা অসঙ্গতি মনে হয়েছে, তিনি সেটা উল্লেখ করে ১০ বছর পর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই চেক আমি পেয়েছি। পুরস্কার দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি আমাদের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী পরিষদ চূড়ান্ত করে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে তারা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল। ২০০০ সাল থেকে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ব্যাহত হয় এ প্রক্রিয়া। একটি ঠিকানা থেকে অনেক বেশি লোককে যুক্ত করা হয়। তখন নামে-বেনামে অনেককে যুক্ত করা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার কাজ করছি। এজন্য নির্বাচন পদ্ধতি চালু করবো। বিধিমালা তৈরি করবো।

বইয়ের মান নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, জাকির তালুকদার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মান নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলবো না। আগের থেকে বাংলাসাহিত্য চর্চা অনেক গুণ বেড়েছে। কবিদের সংখ্যা যেমন বেড়ে গেছে, লেখকদের সংখ্যাও বেড়েছে। সংখ্যা বেড়ে গেছে, তবে মান নিয়ে সংকট আছে। কিছু নতুন কথাসাহিত্যিক আমরা দেখতে পাচ্ছি। বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের সীমাবদ্ধতা আছে। তা সত্ত্বেও কিছু ভালো ভালো পুরস্কার থাকায় আমরা সহজেই তাদের শনাক্ত করতে পারছি। কাজেই মান নিয়ে কথা বলার কারণ নেই। বেশি লেখক বেরিয়ে এলে এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। কাজেই এটা নিয়ে আমি শঙ্কিত নই। জাকির তালুকদার যা করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আমি সম্মান করি। এ ব্যাপারে কাউন্সিলে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। সেজন্য মহাপরিচালক হিসেবে আগেই এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারছি না।

এর আগে, পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কারণ হিসেবে জাকির তালুকদার বলেন, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া বাংলা একাডেমির পরিচালনা পদ্ধতি সচেতন মানুষের আস্থা হারিয়েছে। কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয় না প্রায় আড়াই দশক যাবৎ। এ অবস্থায় পুরস্কারটি বহন করা আমার কাছে তাৎপর্যহীন মনে হচ্ছে। আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পুরস্কার ফেরত দিচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বৃটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর দ্য ইকোনমিস্টের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা খেতাব জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি নেয় বৃটিশ সাময়িকীটি।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু একটি দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি তার একটি উদাহরণ যে, তরুণরা কত শক্তিশালী।

২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের পর কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম, সেখান থেকে আমাকে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আবার সেখানে ফিরে যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ বর্তমানে আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। এই তরুণেরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।

Header Ad
Header Ad

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং

শাহরুখ খান ও হানি সিং। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানের সময় হোটেল রুমে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

সেই সময় গুঞ্জন ছিল, শাহরুখ খান এত জোরে চড় মারেন যে হানি সিং গুরুতর আহত হন। এমনকি তাঁর কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়, এবং সে কারণেই তিনি সেদিন মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি। বলিউড মহলে ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল।

তবে, দীর্ঘ ৯ বছর পর, অবশেষে হানি সিং নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া তাঁর জীবনকাহিনিভিত্তিক একটি তথ্যচিত্রে গায়ক এই বিতর্কিত ঘটনার আসল সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আসলে সেদিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সেই সময়কার গুজব বাস্তবতাকে মিথ্যে রূপে উপস্থাপন করেছিল।

হানি সিং বলেন, বলিউড কিং খান কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন বাদশাহ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটি একেবারেই মিথ্যা কথা।

এ গায়ক বলেন, আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল— মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফি মাগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।

হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তার বোনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।

Header Ad
Header Ad

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ

বগুড়ার শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় বিরল এক ঘটনা ঘটেছে। শ্রাবণী আক্তার খুশি (১৫) নামের এক ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে।

শ্রাবণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি খোকন মিয়ার বড় মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবণীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ছয় মাস ধরে চলা মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শ্রাবণী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

রূপান্তরের পর তার নতুন নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবণ। শ্রাবণ নিজেও এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই। এখন আমি বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারব।

শ্রাবণের বাবা খোকন মিয়া জানান, মেয়ের আচরণ ও শারীরিক গঠনে পরিবর্তন লক্ষ্য করার পর থেকে আমি নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায়, আমার মেয়ে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শে শ্রাবণীকে ছেলেদের পোশাক পরিয়ে মাথার চুল কেটে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে সে ওমর ফারুক শ্রাবণ নামে পরিচিত।

খোকন মিয়া বলেন, আমার তিন মেয়ে ছিল। ছেলে না থাকায় সমাজের নানা কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমার বড় মেয়ে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত খুশি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ