ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, একজন কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করে গ্রেফতারকৃতরা বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কলে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা ও জিম্মি তথ্য পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমরা নানাভাবে ডাকাতদের বুঝিয়ে আশ্বস্ত করেছি। প্রথমে তাদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে নানাভাবে বুঝিয়ে পুলিশের জিম্মায় নেই।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানিয়েছেন, তারা কোনো চলচ্চিত্র বা ভিডিও গেমস দেখে একটি ফ্যান্টাসিতে ভুগে এই কাজ ঘটিয়েছে। তারা ১৮ লাখ টাকা ব্যাগে নিয়েছিলো। এই টাকা দিয়ে একজন কিডনি রোগীকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি এই টাকা দিয়ে আইফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল তাদের বলে জানিয়েছে।
গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে দুজন কেরানীগঞ্জ ও আরেকজনের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি পিস্তল আসল নয়, খেলনা বলে নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি খেলনা পিস্তল, ২টি চাকু ও একটি ড্রিল মেশিন।
গ্রেফতারকৃত তিন ডাকাত
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।
জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।