শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এখনো আড্ডা জমে বিউটি বোর্ডিংয়ে

বাহারি সব স্থাপনা ও মুখরোচক বিভিন্ন খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরান ঢাকা। প্রায় চারশো বছর ধরে ইতিহাসে যে ঢাকা সুনাম কুড়িয়েছে সেই সুনামের অধিকাংশ জুড়ে পুরান ঢাকা। পুরান ঢাকার প্রতিটি কংক্রিটে লেগে আছে প্রাচীন ঢাকার নবাবি হাল-চাল। রাজধানীর পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের শ্রীশদাস লেনে অবস্থিত বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিং তেমনি একটি।

এক সময় হলদে রঙের দোতালা বাড়িটায় আড্ডা জমাতেন বিখ্যাত কবি সাহিত্যিক ও গুণীজনেরা। বাড়িটির ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে আপনার নজর কাড়বে পুরোনো একটি দোতলা বাড়ি। হলুদ বর্ণের প্রাচীন আমলের বাড়িটির কংক্রিটের গাঁথুনি আপনার স্মৃতিকে নিয়ে যাবে শত বছরের অতীতে। চোখে পড়বে ফুলের বাগান তাতে বাহারি ফুলের মেলা, এক ঝাঁক ফুল যেন বাড়িটি আপনাকে বরণ করে নেবে। সিঁড়িগুলোয় লেগে আছে নবাবি ছোঁয়া, প্রাচীন স্মৃতির সবই লেগে আছে এই দোতালা বাড়ির গায়ে। বিউটি বোর্ডিংয়ের রুমগুলোতে বিছানার পাশাপাশি আছে টেবিল ও চেয়ার এবং বেশিরভাগ রুমের পাশেই রয়েছে কারুকাজ। কবি সাহিত্যিকসহ নানান পেশার মানুষ যেথায় আড্ডা জমাতেন চায়ের কাপে।

বিউটি বোর্ডিংয়ের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিং বাড়িটি ছিল নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের বাড়ি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে সেখানে ছিল সে সময়কার বিখ্যাত সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস। কবি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতা মুদ্রিত হয়েছিল এই সোনার বাংলা পত্রিকায়। দেশ ভাগের সময় এই সোনার বাংলা পত্রিকার অফিসটি কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে দুই ভাই প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিং। যেখানে আড্ডায় মেতে থাকতেন গুণীজনেরা।

বিখ্যাত এই হলদে রঙের বাড়িটি ১১ কাঠা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। নলিনী মোহনের বড় মেয়ে বিউটির নামেই এর নামকরণ করা বিউটি বোর্ডিং। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ যুদ্ধ চলাকালীন বিউটি বোর্ডিংয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহাসহ ১৭ জন। এরা হলেন- বিউটি বোর্ডিংয়ের সত্ত্বাধিকারী প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা, ব্যবসায়ী সন্তোষ কুমার দাস, প্রকাশক হেমন্ত কুমার সাহা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অহিন্দ্র চৌধুরী শংকর, শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র সাহা, সমাজসেবক নির্মল রায়, চিত্রশিল্পী হারাধন বর্মণ, ব্যাবসায়ী প্রেমলাল সাহা, কেশব দাস ও শামসুল ইসলাম।

আরও আছেন, অভিনেতা যোশেফ কোরায়া, বিউটি বোর্ডিংয়ের ম্যানেজার শীতল কুমার দাস, বিউটি বোর্ডিংয়ের পাচক অখিল চক্রবর্তী, অতিথি ক্ষিতীষ চন্দ্র দে, এলাকাবাসী নুর মোহান্মদ মোল্লা, বিউটি বোর্ডিংয়ের দুই কর্মচারী সাধন চন্দ্র রায় ও সুখ চন্দ্র দে।

পরবর্তীতে প্রহ্লাদ চন্দ্রের পরিবার ভারত গমন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে প্রহ্লাদ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রীমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন। ১৯৯৫ সালের ৪ আগস্ট গঠিত হয় বিউটি বোর্ডিং সুধী সংঘ। ২০০৩ সালের ৪ জুলাই কবি ইমরুল চৌধুরীকে প্রধান নির্বাহী ও তারেক সাহাকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয় ৬০ সদস্যা বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড। ২০০৫ সাল থেকে এখান হতে প্রতি বছর সন্মাননা দেওয়া হয়।

বিউটি বোর্ডংয়ের জন্মলগ্ন থেকেই এখানে আড্ডা দিতেন বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্র পরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান এখানে বসে সভা করেছেন, দিয়েছেন নানান দিক নির্দেশনা। সমর দাস অনেক গানের সুর রচনা করেছেন এখান থেকেই। এখানে বসেই জব্বার খান মুখ ও মুখোশ চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি রচনা করেন। ১৯৫৭ সালে কবি ফজল শাহাবুদ্দিন প্রকাশ করেন সাহিত্য পত্রিকা কবিকণ্ঠ। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত কবি শামসুল হক এখানেই লিখেন। তার জন্য আলাদা টেবিলও ছিল। এখান থেকেই ১৯৫৯ সালে আহমেদ ছফার সম্পাদনায় স্বদেশ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। যাদুকর জুয়েল আইচের যাদুর সূচনা এখান থেকেই। এখানকার আড্ডাবাজদের বিউটিশিয়ান নামে আখ্যায়িত করা হয়।

এখানে যারা আড্ডার আসরে আসতেন এদের কবি শামসুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল অন্যতম। এ ছাড়াও শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী চৌধুরী, ব্রজেন দাস, হামিদুর রহমান, বিপ্লব দাশ, আবুল হাসান, আহমেদ ছফা, হায়াৎ মাহবুব, এনায়েত উল্লাহ খান, কবি। আল মাহমুদ, আল মুজাহিদী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, গোলাম মুস্তাফা, আনিসুজ্জামান, নির্মলেন্দু গুণ, বেলাল চৌধুরী, শহীদ কাদরী, ইমরুল চৌধুরী, সাদেক খান, ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শফিক রেহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আসাদ চৌধুরী, সিকদার আমিনুর হক প্রমুখ। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এখানে এসেছিলেন।

বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিংয়ে এখন আগের মতো আড্ডা না জমলেও অনেকের ভিড় দেখা যায়, ভ্রমণপিয়াসী ও ভোজনরসিক মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন।

জানা যায়, বিউটি বোর্ডিংয়ে ২৫ টির মতো থাকার রুম আছে যার বেশিরভাগ এক বিছানা বিশিষ্ট। এখানে অনেকেই আসেন শখ করে আবার অনেকেই নিয়মিত থাকেন। প্রতিটি রুমের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাড়া নির্ধারিত, এর জন্য গুণতে হবে ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে বিউটি বোর্ডিংয়ের উপর তলায় প্রবেশের জন্য দিতে হবে ১০ টাকা প্রবেশ ফি।

সরষে ইলিশের জন্য এখানে ভিড় জমান ভোজন রসিকেরা। খাবারের ঘরে রয়েছে সারি সারি চেয়ার ও টেবিল, রয়েছে স্টিলের থালা ও গ্লাস। বিউটি বোর্ডিংয়ে রয়েছে নানা পদের খাবার আয়োজন। অল্প টাকায় খেতে পারবেন দেশি খাবার। বিউটি বোর্ডিংয়ে খাবারের তালিকায় রয়েছে ভাত, ডাল, শাকভাজি ও বিভিন্ন ভর্তা। মাছের মধ্যে সরিষা ইলিশ, রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, কোরাল মাছ,পাবদা, শিং, কৈ, মাগুর, চিংড়ি, আইড় মাছের ঝোল সহ নানা ধরনের পদ। এখানে সরষে ইলিশের স্বাদ নিতে চাইলে আপনাকে গুণতে হবে ৩৫০ টাকা। ভাত ২০ টাকা প্লেট, সবজি ৪০, শাক ৩০, ভর্তা ৪০, চাটনি ২৫, দই ৩০, পাঁচ তরকারি ৪০, আলু রাশি ৩৫, রুই মাছ ২৫০, টেংরা ১৩০ টাকা।

বিউটি বোর্ডংয়ে ঘুরতে আসা সৈয়দ শিহাব বলেন, আমরা প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসি, ভালোই লাগে। পুরান ঢাকার বুকে এই আড্ডা দেওয়ার জন্য ভালো জায়গা। খাবার দাবারও পাওয়া যায় ভালো মানের।

আরেক দর্শনার্থী সুমন সাহা বলেন, পুরান ঢাকায় এখনো যেসব স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে বিউটি বোর্ডিং অন্যতম। বাংলাবাজার কাজে এসেছিলাম তাই দুপুরের খাবার খেতে এসেছি। খাবারও ভালো মানের তবে দাম একটু বেশি।

বিউটি বোর্ডিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিল্পবী সাহা বলেন, আমাদের এখানে অনেকেই ঘুরতে আসেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিখ্যাত অনেক লোকজন আসেন। আমরা আমাদের মান ও সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছি।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত