শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অনন্য রেলের মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশল ক্যাডারের যান্ত্রিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে নিজের ব্যতিক্রমী এক ইমেজ গড়ে তুলেছেন তিনি।

সংস্কৃতিঙ্গানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বহু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন পেশাগত ক্ষেত্রেও। সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য কর্মক্ষেত্রেও তিনি সমান সমাদৃত।

‘আমার দিকে তাকিয়ে দেখো তো/ আমাকে যায় কি চেনা/ একাত্তরে যুদ্ধ করেছি/ আমি যে মুক্তিসেনা’, ‘জোছনার জলে গা ভিজিয়েছি/ খুলেছি এলোকেশ,/ রুপালি চাঁদের সাথে মিতালি হয়েছে বেশ’, ‘তুমি ইতিহাসজুড়ে সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়ক এই বাংলার’— এমন শতাধিক গান লিখেছেন তিনি। এসব গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, আবেগ, এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথাও। আর এগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সব শিল্পীরা।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী তুলে ধরেন তার জীবনের নানা তথ্য। জানান, তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে অনেকটা সাদামাটাভাবেই। তবে নব্বইয়ের দশকে তারুণ্যে পৌঁছে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর আর থেমে থাকেননি।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের সময়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অবসর কাটত বই পড়ে, সেটা কবিতা হোক বা উপন্যাস। আমিও প্রচুর বই পড়তাম। তবে লেখালেখির অভ্যাস ছিল না। ওই সময়ে পড়া উপন্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল বিমল মিত্রের উপন্যাস ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’। ওই উপন্যাসে একজন রেলওয়েকর্মী দীপংকর নামের চরিত্রটি আমাকে সাংঘাতিক নাড়া দেয়। বলতে পারেন, ওই চরিত্রটি আমাকে মানবিক ও সৎ হতে শেখায়।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম কবিতা লেখেন মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। কবিতার নাম ‘মুক্তিযোদ্ধা’। এরপর আরও কিছু কবিতা লিখেছেন তিনি। তবে রেলওয়ের এই প্রকৌশলী জানান, লেখালেখির জগতে তার মূল যাত্রার শুরুটা ২০০৭ সালে। ওই সময় রাজশাহী রেলওয়েতে অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্রপ্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন তিনি। কাজের ব্যস্ততা কম থাকায় অফিসের বাইরে বেশিরভাগ সময় কাটাতেন পদ্মার তীরে। সেই পদ্মা নদীর বিচিত্র রূপই তার লেখালেখির অনুপ্রেরণা হয়ে ধরা দেয়।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত লিখেছেন কবিতা, গান। দেশপ্রেম-মুক্তিযুদ্ধের মতো বিষয়ে লেখা তার কবিতা-গানগুলো পড়েছেন-শুনেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাও। তারা ভীষণ আপ্লুত হয়ে পড়তেন। এভাবেই একে একে তার লেখা গানের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় শ’য়ের কোটা।

মঞ্জুর-উল-আলমের লেখা গানে সুর দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত সুরকাররা। দেশবরেণ্য শিল্পীরা কণ্ঠে তুলেছেন তার লেখা অনেক গান। আব্দুল জব্বার, সৈয়দ আব্দুল হাদী, রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, শাম্মী আক্তার, শাকিলা জাফর, ফকির আলমগীর তো বটেই, পশ্চিমবাংলার জোজো, অমিত গাঙ্গুলিও তার লেখা গান গেয়েছেন। দুইটি অ্যালবামও বেরিয়েছে।

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার মঞ্জুর-উল-আলম। তার লেখা গান নিয়মিতই প্রচার হয় রাষ্ট্রায়ত্ত এই দুই প্রতিষ্ঠানে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহানায়ক’ শিরোনামে একটি গান লেখেন রেলওয়ের এই প্রকৌশলী। রাজেশ ঘোষের সুরে গানটিতে কণ্ঠ দেন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সাবেক ভোকালিস্ট মিজান। মেলো ও রক ধাঁচের গানটি গত বছর ডিসেম্বরে ইউটিউবসহ ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তি পায় জি-সিরিজের ব্যানারে। জাতির পিতার জীবনকে অত্যন্ত আবেগ দিয়ে তুলে আনা এই গানটি জনপ্রিয়তা পায় শ্রোতা ও সমালোচকদের কাছে। এই গানের জন্য শমরেস বসু সাহিত্য পুরস্কার, রফিকুল হক দাদুভাই স্মৃতিপদকসহ বেশকিছু পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

মহানায়ক গানটি নিয়ে তিনি বলেন, জাতির জনকের ঋণ কারও পক্ষে শোধ করা সম্ভব না। কিন্তু তার প্রতি যে অপরিসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা রয়েছে, সেটিই আমি এই গানটিতে প্রকাশ করতে চেয়েছি। সেটি হয়তো পেরেছি বলেই গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ এক অন্যরকম ভালোলাগার বিষয় আমার জন্য।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, লেখালেখি করি নিয়মিত। কলাম লিখি। কর্মজীবন শেষ করে যখন অবসরে যাব, এগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকায় তখন নিশ্চয় কাজের অভাব বুঝতে পারব না।

শুধু সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা নয় এর বাইরেও একজন সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। ১০ম বিসিএসে রেলওয়ের দুইটি ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে পিএসসির মেধাতালিকায় প্রথম ছিলেন তিনি। তার পরিকল্পনাতেই প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’, যা গত ২৭ মে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমানে রেলওয়ে তাদের সেবা বহুমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি স্কয়ার হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইমারজেন্সি হসপিটাল কাম অ্যাম্বুলেন্স। এই কাজের মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। তিনি বললেন, এরই মধ্যে পাহাড়তলি কারখানায় একটি এয়ারব্রেক সম্বলিত কোচ নির্ধারণ করে মোডিফিকেশন কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই এই রেল অ্যাম্বুলেন্সও সেবা দিতে শুরু করবে।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরীর আরেকটি ব্যতিক্রমধর্মী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় শহিদ হওয়া শ্রমিকদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ। সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে ২০১৩ সালে রেলের অকেজো যন্ত্রাংশ ও মালামাল দিয়ে নির্মাণ করা হয় ‘অদম্য স্বাধীনতা’ নামের এই স্মৃতিসৌধ। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজেদের অর্থ দিয়েই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, কাজটি অনেক কঠিন ছিল। ওখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত, তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ইতিহাস তুলে আনার চেষ্টা করেছি। স্মৃতিসৌধে সে ইতিহাস খোদাই করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কেউ ইতিহাস বিকৃত না করতে পারে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়াতে নিজস্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মূল দায়িত্ব পালন করছেন মঞ্জুর-উল-আলম। তিনি জানান, ভারতীয় রেলের রাইটস (RITES- Rail India Technical and Economic Services) এবং বাংলাদেশের আইআইএফসি’র (IIFC) গঠন ও কার্যাবলি পর্যালোচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত রেলের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ।

নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করে রেলকে আধুনিক করার চিন্তা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে পোড়া লোকমোটিভ ও ডেমু পুনর্বাসন, দেশেই রেল ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ তৈরির উদ্যোগও তার হাত দিয়েই নেওয়া। নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বাধাও রয়েছে। সবকিছু অতিক্রম করেই এসব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

নানামুখী প্রতিভার রেলের এই কর্মকর্তা কর্মস্থলে অবদান রাখার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্যেও বিশেষ অবদান রেখে যেতে চান।

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত