বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব নাট্যদিবস
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব নাট্যদিবস উদ্যাপন করল নাট্য সংগঠনগুলো। আয়োজনের মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় রবিবার (২৭মার্চ) বিকেল ৫ টায় নাট্যকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে শোভাযাত্রার বের হয়। এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুরু হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী।
এবারের বিশ্ব নাট্য দিবসে ৬০’এর দশকের গ্রুপ থিয়েটার চর্চার সাথে সম্পৃক্ত এবং এদেশে গ্রুপ থিয়েটার চর্চার অগ্রসৈনিক নাট্যজন মাসুদ আলী খান এবং নাট্যজন আরহাম আলো-কে বিশ্ব নাট্য দিবস সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিশ্ব নাট্য দিবসের বাণী পাঠ করেন নাট্যজন লাকী ইনাম ও আফরোজা বানু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত হিরা, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল চন্দন রেজা।
সাংস্কৃতিক পর্বে শিশুদের সমবেত সংগীত, সরোদ পরিবেশন ও নৃত্যলেখ্য পরিবেশন করা হয়। ‘আমার নতুন যৌবনের দূত‘ ও ‘আমরা সবাই মঞ্চ কুড়ী’ গানে মুখরিত হয় শিশুদের সমবেত সংগীত। সরোদ পরিবেশন করেন ইলহাম ফুলঝুরি খান ও ইশরা ফুলঝুরি খান। দীক্ষার পরিবেশনা ও সুইটি দাস চৌধুরীর পরিচালনায় পরিবেশিত হয় নৃত্যলেখ্য ‘স্মৃতিতে সোহাগপুর’। ধৃতি নর্তনালয় এর ওয়ার্দা রিহাব পরিচালনায় পরিবেশিত হয় নৃত্যলেখ্য ‘তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা’। অমিত চৌধুরীর পরিচালনায় কায়া আশ্রম এর দল পরিবেশন করে নৃত্যলেখ্য ‘অন্তর্দেশ’এবং আরিফুল ইসলাম অর্নব এর পরিচালনায় আর্টিস্ট্রি দল পরিবেশন করে নৃত্য লেখ্য ‘কারাকাস’।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সংগীতা চৌধুরী।
এপি/