বাংলা একাডেমির আলোচনা
বঙ্গবন্ধু সমতামুখিন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি শনিবার (২৬শে মার্চ) বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বিকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বিনায়ক সেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
স্বাগত ভাষণে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব-উন্নয়নের মহাসড়কে উপনীত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার যে স্বপ্ন জাগ্রত করেছিলেন, তা-ই আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানচিত্রে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক বিস্ময়কর শিরোনাম।
মুখ্য আলোচক ড. বিনায়ক সেন বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য পরাধীন দেশের মানুষকে যেমন ধারাবাহিকভাবে তৈরি করেছেন তেমনি স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে সমতামুখিন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে প্রবর্তিত সংবিধান যেমন প্রগতিশীল প্রত্যয় ধারণ করেছে তেমনি তিনি গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ বিকাশের সুযোগ রেখে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সহায়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে বাংলাদেশ আজ প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাপিয়ে আর্থসামাজিক অগ্রগতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সাবিহা পারভীন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে ঐতিহাসিক অর্জন, তার সুফল দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হোক স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার।
সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য যে ত্যাগ এবং রক্ত দিয়েছে তার কোনো তুলনা হয় না। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন করে আমরা শুধু স্বাধীন মানচিত্র এবং পতাকাই অর্জন করিনি; একই সঙ্গে আত্মমর্যাদা, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির নতুন নতুন সোপান অতিক্রম করে চলেছি।
এপি