মুক্তিযুদ্ধ ও শিল্পকলা একই সূত্রে গাঁথা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং শিল্পকলা উদ্দেশ্যগতভাবে একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১৯ মার্চ) ধানমিন্ডতে গ্যালারি চিত্রক এবং চট্টগ্রাম আর্ট ক্লাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক মিনিয়েচার আর্ট উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে স্শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য, শিল্পী রফিকুন্নবীসহ স্বনামধন্য শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মিনিয়েচার আর্ট উৎসবের এই নান্দনিক আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শিল্পকলার যে যেকোনো নান্দনিক আয়োজন আমার অত্যন্ত প্রিয় এবং আমি এসব আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পছন্দ করি।’
ড. মোমেন আরও বলেন, আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন এবং কাজ করে গেছেন। শান্তি স্থাপনে তার অবদানের জন্য তিনি জুলিও কুরি পুরস্কার পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতির ধারাবাহিকতায় আমরা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায়-শান্তির সংস্কৃতির কথা বলছি। সেজন্য বিশ্বব্যাপী অধিকারবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, যুদ্ধ-হানাহানির বিরুদ্ধে-আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শান্তির সংস্কৃতি চালুর কথা বলছি।
শিল্পকলাও মানুষের কল্যাণে প্রকারান্তে শান্তির কথা বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের আর্ট উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে, দেশে দেশে, শান্তি ও বন্ধুত্বময় পরিবেশ সৃষ্টি এবং মানবিকবোধ জাগ্রত করা সম্ভব। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব স্থাপন এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। শিল্পকলা মানুষকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে। কাজেই, শিল্পকলা প্রকৃতপক্ষে শান্তির বার্তা দেয়, মানবতার কথা বলে। আর শিল্পের ভাষা সার্বজনীন।
ভারতবর্ষে মুঘলদের হাত ধরে মিনিয়েচার পেইন্টিং এর প্রবেশ ঘটেছিল জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে তা ভারতবর্ষে এক সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আমি মনে করি, আপনাদের চেষ্টায় বাংলাদেশেও মিনিয়েচার আর্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের এ প্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করি।’
বাংলাদেশ ছাড়াও ২০টি দেশের ৪৫ জন শিল্পীর আঁকা ছবি এই প্রদর্শনীতে রয়েছে। দেশ-বিদেশের মোট ২৫০টি শিল্পকর্ম এখানে এক ছাদের নিচে আমরা পেয়েছি। শিল্পকর্মের এক অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে এই আর্ট উৎসবে।
আরইউ/এমএমএ/