শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কারা পেলেন স্বাধীনতা পুরস্কার?

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ পেয়েছেন ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান। ১০ ব্যক্তির মধ্যে ছয় জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য। চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের জন্য পেয়েছেন দুই জন। সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন একজন করে। আর গবেষণা ও প্রশিক্ষণে পদক পেয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান।

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় শুধুমাত্র নাম প্রকাশ করা হয়েছে। পরিচয় কিংবা অবদানের কোনো উল্লেখ নেই। এ কারণে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন হচ্ছেন আব্দুল জলিল। অনেককেই ধরে নিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তিনি এ পুরস্কার পাননি। এ ছাড়াও সাহিত্য ক্যাটাগরির পুরস্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাপ্রকাশ পুরস্কারপ্রাপ্তদের পরিচয় সংগ্রহ করেছে।

এবারের পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৬ জনকে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পদক পাওয়া ছয় জনের মধ্যে দুই জন হচ্ছে সরকারের এক মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর বাবা। পুরস্কার পাওয়া দুই জনের সন্তান বর্তমানে জাতীয় সংসদ সদস্য। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই জন রয়েছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সরাসরি প্রতিবাদকারী।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠক ছিলেন। একই সঙ্গে মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
দাদাভাই নামে পরিচিত চৌধুরী গণপরিষদের প্রাক্তন সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-১৩ (বিলুপ্ত) আসন থেকে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে মারা যান।
তার দুই ছেলে বর্তমানে সংসদ সদস্য। এরমধ্যে বড় ছেলে মাদারীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নূর ই আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ। ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য।

শহীদ খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম
ফরিদপুরের নগরকান্দার বাসিন্দা নাজমুল হুদা পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন । ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অভিযুক্ত হিসেবে আরও অনেকের সঙ্গে আটক হন। তিনি ছিলেন ২৭ নম্বর আসামি। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেকসুর খালাস পান। কিন্তু চাকরিচ্যুত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭২ সালে খন্দকার নাজমুল হুদা মেজর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নভেম্বরের অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি খালেদ মোশাররফ ও এ টি এম হায়দারের সঙ্গে নিহত হন। তার মেয়ে নাহিদ ইজাহার খান বর্তমানে সংসদ সদস্য। সংরক্ষিত নারী আসন থেকে তিনি আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল জলিল
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট। জন্মসূত্রে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার মানুষ। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া জলিল আগরতলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও মুক্তিযোদ্ধা। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার ২৯নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হন ও চরম কারানির্যাতন ভোগ করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রেফতার হন তিনি ও করাচীর বিমানবাহিনীর পুলিশ সেলে সপ্তাহখানেক আটক থাকেন। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন থেকে ৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বন্দী ছিলেন।

সিরাজ উদদীন আহমেদ
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
১৯৪১ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জে জন্ম নেওয়া সিরাজ উদদীন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা জেলা সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ছিলেন বরগুনা মহকুমার এসডিও। ওই সময় ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তিনি প্রতিবাদ করেন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।

মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস
মেহেরপুর জেলার বাসিন্দা। রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন।
১৯২৩ সালে জন্ম নেওয়া ছহিউদ্দিন মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি মেহেরপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয়দফা আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বাকশাল সরকারে মেহেরপুরের গভর্নর ছিলেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তার ছেলে ফরহাদ হোসেন বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসন সংসদ সদস্য।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

সিরাজুল হক
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন সিরাজুল হক।
ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন আইনজীবী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
১৯২৫ সালে জন্ম নেওয়া সিরাজুল হক কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন।
সিরাজুল হক ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রধান কৌশলী ছিলেন এই আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৭২ সালে কামাল হোসেনকে সভাপতি করে গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সরাসরি প্রতিবাদকারী। ১৯৭৫ সালে তিনি এমপি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাদখলকারী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ তৎকালীন এমপিদের সভা আহবান করলে সেখানে সিরাজুল হক প্রতিবাদ করেন।
তিনি বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পিতা।

অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া
পেশায় একজন স্নায়ুশল্যচিকিৎসক এবং অধ্যাপক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর ১০ম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য ডা. কনক কান্তি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

ডা. কামরুল ইসলাম
তিনি একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক। ২০০৭ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করেন। এক হাজারেরও বেশি কিডনি বিকল রোগীর দেহে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রতিষ্ঠা করেন সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ডা. কামরুল এবারের স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

মো. আমির হামজা
তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মাগুরা জেলার শ্রীপুরে গড়ে উঠা শ্রীপুর বাহিনীর একজন অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন। তিনি এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
সাহিত্যে তার পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক চলছে।

আরও জানতে পড়ুন

স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন
বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি। তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের স্থপতি। স্থাপত্যে অবদানের জন্য তাকে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

স্বাধীনতা পুরস্কার কমিটিতে কারা?
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় পদক বা পুরস্কার দেওয়ার জন্য সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি আছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ‘জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভাপতি হচ্ছেন মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক।
তার নেতৃত্বে এই কমিটিতে রয়েছেন মন্ত্রিসভার ১৩ জন সদস্য। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ১৩ সচিব।

‘স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’র আলোকে বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ স্বাধীনতা পুরস্কার চূড়ান্ত করে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এনএইচবি/এপি/

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সরে গেছেন। এর ফলে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন রিকশাচালকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে রিকশাচালকরা জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোয় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রেললাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হয়।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশাচালকদের অবরোধে সোয়া ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রেলযাত্রীরা।

এর আগে গত সোমবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করে। এ সময় আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।

আন্দোলন চলাকালে সম্প্রতি ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই ট্রেনের নারী-শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হয়। ওই ঘটনায় উপকূল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

Header Ad

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই পাঁচটি হলো: থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।

মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম/নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে। এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত/পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে জানিয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’