রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘রমজানে খেজুর খাওয়ার সৌভাগ্য হবে না’

‘শুনেন, খেজুর হল ইফতারের প্রধান আইটেম। খেজুর দিয়েই অধিকাংশ রোজাদার রোজা ভাঙে। অথচ এ বছর রমজানে সেই সৌভাগ্য হবে না। সব জিনিষের দাম বাড়ছে। খেজুরের দামও নাকি আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এখন বলেন, কেমনে খেজুর কিনব।’ এভাবেই আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকার বাসিন্ধা নুরুল ইসলাম।

পেশায় চাকরিজীবী এই নুরুল বলেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচই তো কমিয়ে এনেছি। এবারের রমজানেও খরচ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়তি দামের কারণে হয়ত খেজুরই আর কিনব না।

শুধু নুরুল ইসলাম নয়, এমন আক্ষেপ এখন নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটে, মধ্যবিত্তদেরও কণ্ঠে। যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে, রমজানে খরচ চালানোই কঠিন এ সব পরিবারের।

‘রোজা’ আর ‘খেজুর’ একে অপরের পরিপূরক। সারাবছর খেজুর বিক্রি হলেও রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটা মাথায় রেখেই এক মাস আগে রমজানের জন্য খেজুর আমদানি করা হয়েছে। তারপরও খেজুরের বাজারে অস্থিরতা। রমজানের আরও এক মাস বাকি থাকলেও এখনই যে যেভাবে পারছে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানে খেজুরের চাহিদার বিষয়টিকে পুঁজি করে একশ্রেণির আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট, পাইকার, আড়তদার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনই খেজুর ও ফলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এলসি খোলার জটিলতা, পরিবহন ব্যয় ও ক্রয়ে বেশি দামের কারণে খেজুর ও অন্য ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

অবশ্য খেজুরের মোকাম বাদামতলীর বিক্রেতারা বলছেন, যথেষ্ট খেজুর আমদানি হয়েছে। সমস্যা হবে না। তবে দামের ব্যাপারে তারা কিছু বলছেন না। এ সুযোগে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্য জিনিসের মতো এবার খেজুরের দামও অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। খেজুরের কেজি এক হাজার টাকার বেশি। কিনব কীভাবে? ইফতারির অন্য কিছু কি লাগবে না। শুধু খেজুরে এত টাকা গেলে অন্য আইটেম কীভাবে কিনব? আয় তো আর বাড়েনি।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে বিক্রমপুর ফল বিতানের সামনে কথা হয় আলী হোসেনের সঙ্গে। তিনিও অসহায়ত্ব প্রকাশ করে করে বলেন, আয় কি বেড়েছে যে এত বেশি দামে খেজুর কিনব। চাল, চিনি তেলের মতোই অবস্থা খেজুরের।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ক্রেতা বলেন, আমাদের বেতন তো বেড়েছে অনেক বছর আগে। সে তুলনায় কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে। ইফতারির প্রধান উপকরণ খেজুরেরও দাম সেই পথে। তাহালে আমরা কিনব কীভাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশে রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট খেজুর আমদানি (এলসি খোলা) হয়েছে। এরমধ্যে অক্টোবরে ৪ হাজার ৬৭১ টন, নভেম্বরে ৪ হাজার ৪৭১ টন ও ডিসেম্বরে ১২ হাজার ৮৪১ টন আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ১০ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। এভাবে গত চার মাসে প্রায় ৩২ হাজার টন খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে।

গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলসি নিস্পাত্তি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টন ও জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৫৬১ টন। এভাবে সাত মাসে খেজুরের এলসি নিস্পত্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৫ টন। রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও এলসি নিস্পত্তি হবে। কাজেই চাহিদার তুলানায় দেশে যথেষ্ট পরিমান খেজুর আমদানি হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজানের আগে দেশে যথেষ্ট খেজুর আমদানি হচ্ছে। ডলার সংকটের কোনো প্রভাব পড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সূত্র বলছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা এক লাখ টন। এরমধ্যে রমজানেই অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজার টন লাগে। অন্যান্য মাসে লাগে ৫ হাজার টন করে।

খেজুরের ব্যাপারে বাদামতলী বাজারের ফল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজানে যা খেজুর লাগবে তা এসে গেছে। সারা বছরে যা লাগে রমজানে তার থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়। এবারে রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ডলারের দাম বাড়তির কারণে খেজুরের দাম একটু বেশি। তবে প্রতি কেজিতে কি পরিমাণ দাম বেড়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

খেজুরের দাম সম্পর্কে যা বললেন ব্যবসায়ীরা

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার পণ্যের মধ্যে খেজুরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা বাজারে জাতভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।

টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে সাধারণ মানের এ সব খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর ফল বিতানের জনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যা বাড়ার আগেই বেড়ে গেছে। এক মাসে আগে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আজুয়া খেজুর এখন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইরানি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই খেজুরের দাম এক মাস আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি দাম মেডজুল জাম্বু খেজুরের। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। তবে বেশি বিক্রি হয় খুরমা, আলজেরিয়ান ও বড়ই খেজুর। যার প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। খোলা জাহিদি খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

একই বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের মনির বলেন, সৌদি খেজুরের দাম বেশি। দাম আগেই বেড়েছে। আগের ৫০০ টাকারটা এখন ৬০০ টাকা কেজি। বর্তমানে কার্টুনে ৫০০ টাকা বেড়েছে। ডলারের কারণে অন্য বারের চেয়ে এবারে বেশি বেড়েছে।

আড়ত, পাইকারের হাত ঘুরে রাজধানীর পাড়া-মহাল্লাতেও যেতে যেতে দাম বেড়ে গেছে খেজুরের দাম। এভাবে দাম বাড়তে থাকায় তা ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের আটি বাজারের ফল ব্যবসায়ী আনিছুর জানান, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাহলে খেজুরের দাম বাড়বে না কেন?

তবে টিসিবি বলছে, সাধারণ খেজুরের কেজি ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু টিসিবির বাজারদরে বেশি দামের খেজুরের হিসাব তুলে ধরা হয়নি। কারণ বাজারে সর্বনিম্নে জাহিদি খেজুর ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ জাম্বু খেজুর ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গড় করলে প্রতি কেজি ৬০০ টাকার বেশি কেজি হয়।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য