শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল - কেন প্রয়োজন?

আমাদের জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু কিছু জিনিস না হলে জীবন চলে না। সেসব দ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ভোগ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় তা দেখা সরকারের কাজ। এই সব পরিষেবাকে বলা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা। ফলে অত্যাবশ্যক পরিষেবাসংক্রান্ত আইন হলে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু যে কথা বলা হয়, আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয় এবং যেভাবে তার প্রয়োগ করা হয় তার মধ্যে ফারাক দেখতে দেখতে জনগণ এখন সরকারের ঘোষণা শুনলে সন্দেহ করে।

৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে সংসদে তেমনি একটি বিল উত্থাপন করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী কোনো বিল উত্থাপন করলে শ্রমিকদের আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যে বিল উত্থাপন করেছেন তাতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার এই বিল তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ। তারা বলেছেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণত শ্রমিকরা বা তাদের সংগঠনসমূহ পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই কেবলমাত্র তারা ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে। প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া। আর অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের কথা যদি বলতে হয় তাহলে শ্রমিকরা কাজ করে এমন কোনো খাত আছে যা অত্যাবশ্যকীয় নয়? ফলে তাদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

একথা মানতে হবে যে জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য এখনো শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। আশংকা করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত হবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসংগত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। যা ভবিষ্যতে নৈরাজ্যের জন্ম দেবে এবং দমন পীড়নের পথ আরও প্রশস্ত করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৯৫২ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। মূলত এই দুটি আইন এখন ইংরেজিতে থাকার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত আইনগুলো বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেহেতু, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩ মহান জাতীয় সংসদের সদয় বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হলো।’

এখানে উল্লেখ করার মত বিষয় এই যে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকার এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিল, তারপর ১৯৫২ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের ইস্কান্দার মীর্জার সময়কালে প্রণীত এই আইন বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আবার শ্রমিকদের উপর প্রয়োগ করা হবে।

সংসদ যেভাবে চলে বা যেভাবে আইন প্রণয়ন হয় সে কথা বিবেচনা করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সংসদে তেমন বিতর্ক হবে না, দুয়েক জন সাংসদ মৃদু কণ্ঠে আপত্তি করতে পারেন কিন্তু তা দ্বারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। ফলে সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিলটি আইনে পরিণত হবে। এটি মালিকদের সুরক্ষা কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে প্রয়োগ করা করা হবে। বিলে যেসব বিধিবিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে সরকার জনস্বার্থে দরকার মনে করলে কোনো জরুরি বা অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।

বিলে উল্লেখিত শাস্তির ব্যাপারটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । যেমন, সরকার ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করেন বা অব্যাহত রাখেন তাহলে তিনি এক বৎসর কারাদণ্ড, বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ যদি কোন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করে বা ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার কেউ যদি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য বা সমর্থন করার জন্য চাঁদা প্রদান করে তাহলে ১ বৎসর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, “জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এ ধরনের কোনো পরিষেবাও আইনের আওতাভুক্ত থাকবে। জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে বা হওয়ার শঙ্কা আছে এমন পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশ বা দেশের কোনো অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কোনো বিষয়ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে। তাহলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার বাইরে আর কোন খাত অবশিষ্ট রইল? যা বাকি আছে তা সরকার চাইলে বা সরকারের কাছে অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে হলে সেকল খাত এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

দেখা যায় শ্রমিকের যত অসন্তোষ তার অধিকাংশই ঘটে জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যায়ভাবে ছাঁটাই, আকস্মিক কারখানা বন্ধ, প্রাপ্য না দেওয়া, চুক্তি করে তা বাস্তবায়ন না করার মতো পরিস্থিতি যখন তৈরি হয় তখন শ্রমিকদের শেষ হাতিয়ার ধর্মঘট। সে কারণেই ধর্মঘটের অধিকার শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ। ১৯৫২ সালে আইএলও’র দ্বিতীয় সভায় সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা বিষয়ক কমিটি (কমিটি অন ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন) ঘোষণা করে যে ধর্মঘট করা একটি অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত আছে, এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু নির্ধারিত না থাকিলে, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে। ‘ শ্রম আইনের চতুর্দশ অধ্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত ধারাসমূহ আছে। ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন, ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান যেমন আছে তেমনি ২২৫ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘটের নোটিশ জারির উপর বিধি নিষেধ, ২২৬ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা, ২২৭ ধারায় কখন ধর্মঘট বেআইনি হবে সেসব বিষয় উল্লেখিত আছে। আবার ২৯৪ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটের দণ্ড, ২৯৫ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটে প্ররোচিত করার দণ্ড, ২৯৬ ধারায় ঢিমে তালে কাজে অংশগ্রহণ বা প্ররোচনার দণ্ড সন্নিবেশিত আছে। শ্রম আইনে ধর্মঘট আহ্বান করা এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা এই দুই বিষয়ই উল্লেখিত আছে, তাহলে নতুন করে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিলের উদ্দেশ্য কী?

বাংলাদেশ বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সস্তা শ্রমিকের দেশ হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ধনী হওয়ারও দেশ। শ্রমিকের কম মজুরি মালিকের বেশি মুনাফার অন্যতম প্রধান শর্ত। শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়ার জন্যই আইনের নানা বাধা তুলে তাদের সংগঠিত হতে দেওয়া হয় না আর সস্তা শ্রমিকের কথা বলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন কি তাহলে দেশি-বিদেশি শোষণকে সহায়তা করবে?

প্রস্তাবিত বিলে ধর্মঘট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কি ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার, শ্রম আইনের অধিকার আর আইএলও কনভেনশনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য মজুরি, জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অধিকারকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করা। কোটি কোটি শ্রমজীবীর স্বার্থে তাই আইন হওয়া উচিত যে শ্রমিকের অত্যাবশ্যক অধিকার কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad

জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে অমর একুশে, টার্জান হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় উপাচার্য বাসভবনের বাইরে আসলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে তিন দফা দাবি জানান। উপাচার্যের কাছে লিখিত দেওয়া এই দাবিগুলো হলো, সকল ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তা রাজনীতি আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন দিতে হবে। গত ১৪ থেকে ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলাকারী এবং মদদদাতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা করতে হবে ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর বলেন, 'আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চাই না। আমরা বিশ্বাস করি এই উপাচার্য আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন। '

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, আমরা একটি সমতার সমাজ গঠনের জন্যই আন্দোলন করেছি।আমাদের এ রক্ত যেন বৃথা না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই চায় দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। আশা করি উপাচার্য আমাদের দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত দিবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, 'যেহেতু এতোদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পুর্ন প্রশাসন কাঠামো ছিল না, তাই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তাই আগামী রবিবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা জরুরি মিটিং ডেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।' উপাচার্যের আশ্বস্তে এসময় শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত ঘোষণা করেন। একইসাথে রোববারে শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার গণপিটুনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার মৃত্যুর ফলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসে।

হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বৃহস্পতিবার রাতভর এই বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানায় আইডিএফ।

এতে হিজবুল্লাহর ১০০টির বেশি রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি তেল আবিবের। মাহমুদিয়া, কাসার আল-আরুশ এবং বিরকেট জাব্বুরের মতো শহরগুলোয় চলে এই অভিযান।

হোয়াইট হাউস বলেছে, সংকটের কূটনৈতিক সমাধান অর্জন সম্ভব এবং সেটিই জরুরি। এছাড়া ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছে ব্রিটেনও।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়ের এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সংঘাত ও উত্তেজনার ‘সম্ভাব্য বৃদ্ধির বিষয়ে ভীত এবং উদ্বিগ্ন’ যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চালানো এই অভিযানে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ লেবাননে শত শত মাল্টিপল রকেট-লঞ্চার ব্যারেলে আঘাত করেছে যেগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করা হত।

গত বছর ৭ অক্টোবরের পর লেবাননে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা ইসরায়েলের। প্রয়োজনে সামরিক হামলার পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলে জানান ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত।

১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৩৭৬ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ফলো অনে পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইনের বিপক্ষে দুই সেশনও বোলিং করতে পারল না বাংলাদেশ। তবে বেশিরভাগ উইকেটে ভারতের বোলারদের কৃতিত্বের চেয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ভুলটাই ছিল বেশি। ফলাফল, ১৪৯ রানে অলআউট।

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের চেয়ে ২২৭ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে টাইগাররা।

দ্বিতীয় দিনের খেলায় মাঠে নেমে ভারতকে ৩৭৬ রানের মধ্যে অলআউট করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের তোপে আগের দিনের ৩৩৯ রানের সঙ্গে ২৭ রান যোগ করতেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন তিন উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দিশেহারা বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ৪০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাসপ্রীত বুমরাহ এবং আকাশ দীপের তোপে ৪০ রানে প্রথম ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।

প্রথম ওভারে সাদমানকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন জাসপ্রীত বুমরাহ। জাকির হাসানকে নিয়ে শান্ত ২০ রানের একটি জুটি গড়েন। তবে ব্যাটে বল লাগাতে পুরোটা সময়ই লড়াই করতে হয়েছে জাকিরকে। তার সেই লড়াইয়ের ইতি টানেন আকাশ দীপ। ৩ রান করে ফেরেন জাকির।

জাকিরের বিদায়ের পর একই ওভারের পরের বলে আউট হন মুমিনুল হক। গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন টেস্ট স্পেশালিষ্ট এই ব্যাটার। শান্ত ফেরেন দলীয় ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। ২০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও পাননি রানের দেখা। ৮ রান করে ফিরেছেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান। প্রতি আক্রমণে দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটিও গড়েন। তবে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজেদের উইকেট হারান তারা।

বাউন্ডারিতে ধ্রুব জুরেলের ক্যাচ বানিয়ে ফর্মে থাকা লিটন দাসকে ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪২ বলে ২২ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।

লিটন আউট হওয়ার এক ওভার পরেই জাদেজার বলে আউট হন সাকিবও। জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অভিনব কায়দায় আউট হন তিনি। রিভার্স সুইপটা ঠিকঠাক করতে পারেননি সাকিব। বল সাকিবের ব্যাটে লেগে তাঁর বুট ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়েছে। টিভি আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন। ৩২ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব।

সর্বশেষ সংবাদ

জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত
বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব
পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল
বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ: রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
মা-বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল
লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
গরম কমে বৃষ্টি হবে কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
হাসানের ৫ উইকেট, ৩৭৬ রানে থামল ভারত
জাবিতে কোনো কমিটি নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে: ছাত্রদল
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জাদেজাকে ফেরালেন তাসকিন, সাকিবের ক্যাচ মিস
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় যে প্রশ্ন তুললেন জয়
নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা