রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পেঁয়াজ-আদার ঝাঁজ আর বাঁশির সুর

রোদের তাপে পুড়ছে দেশ। বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষের সংসার। প্রকৃতিতে ছায়া নেই, কেটে ফেলেছে গাছ। বাজারেও ছায়া নেই। কে দেবে সেই ছায়া বা ভরসা? বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে, তখন মন্ত্রীদের কাছ থেকে সমাধানমূলক কোনো বক্তব্যের পরিবর্তে মানুষ এমন কিছু শুনছেন যার ফলে তারা মনে করেন একি হচ্ছে? তারা ভাবছেন, একি সান্ত্বনা না কি শাস্তির পূর্বাভাস? মন্ত্রীরা একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সান্ত্বনা এবং স্বস্তির পরিবর্তে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।

সম্প্রতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাজেট সংক্রান্ত এক কর্মশালায় বলেছেন, ‘আমি দেখেছি, বাজার করতে গিয়ে অনেকে কাঁদছেন। কারণ, বাজারের যে অবস্থা, তাদের পকেটে সে টাকা নেই। এটার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।’ সিন্ডিকেটের কথা বললেই ক্ষমতাসীন দলের কর্তাব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতারা সমস্বরে বলে উঠেন কোথায় সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। বাজার চলে বাজারের নিয়মে। কিন্তু মানুষ দেখে একই সাথে সারা দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কার ইশারায় হয় তা দেখা যায় না কিন্তু দাম বেড়ে গেলে তার উত্তাপ ক্রেতার গায়ে লাগে। একে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে এই সিন্ডিকেট নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু স্বীকার করছিলেন না দায়িত্বশীলরা। এবার তো মন্ত্রীর মুখেই শোনা গেল সিন্ডিকেটের কথা। এখানেই শেষ নয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের মধ্যেও সিন্ডিকেট আছে।‘ তিনি সংকটের কারণ জানালেন ’ কিন্তু তিনি যদি সিন্ডিকেটধারী মন্ত্রীদের নাম জানাতেন তাহলে দেশবাসী বুঝতেন কারা এই মন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসে সিন্ডিকেটের সুতা টানছেন। তাহলে হয়তো লোকলজ্জার ভয়েও তারা কিছুটা সংযত হতেন, বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসতে পারতো। কিন্তু হায় এতো হবার নয়।

বাজারে যারা যান তারা জানেন যে, খুচরা ও পাইকারি—দুই বাজারেই পেঁয়াজ আদার দাম আরও বেড়ে গেছে এবং বাড়ছেই। অজুহাত ভারতে দাম বেড়েছে এবং আদা আর চীন বা ভারত থেকে নয় ইন্দোনেশিয়া থেকে আনতে হবে। অথচ মাস দুই আগে থেকেই পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। আমদানি করলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। শুধু আমাদের দেশে নয় ভারতেও এবার রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি ফলে রপ্তানি না হওয়ায় সেখানকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না এবং পেঁয়াজের দাম গিয়েছে কমে। জানা গেছে ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ রুপিতে (এক রুপি সমান ১ টাকা ২৯ পয়সা) অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট সাধারণত হয় সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে। তখন কৃষকের পিয়াজ শেষের দিকে এবং নতুন পেঁয়াজ উঠতে বাকি। এই সংকট প্রায় প্রতিবছর কিছুটা হয়ে থাকে। ফলে এবারের সংকটে এই প্রশ্ন করা কি স্বাভাবিক নয় যে, এখন পেঁয়াজের মৌসুম কেবল শেষ হয়েছে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ এসেছে কৃষকের ঘরে, এখনই কি আমদানির এত প্রয়োজন দেখা দিল? দুই মাসে কী পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে গেলো যে পেঁয়াজের জন্য বাজারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। তাহলে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর কথা শুধু কথার কথা নয়। তার ভাষায় পেঁয়াজের বাজারেও সিন্ডিকেট ঢুকে পড়েছে? বাজার পরিস্থিতি দেখে তাহলে তো চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারের সিন্ডিকেটকেও অস্বীকার করা যাবে না।

পেঁয়াজের বাজার যখন এরকম অস্থির তখন বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন যে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। নজর কি শুধুই আমদানির দিকে থাকবে? যাচাই করে দেখা হবে না যে সত্যি আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি আছে, নাকি সিন্ডিকেটই কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে।

যদি পেঁয়াজের ঘাটতি থেকে থাকে, তাহলে তো আমদানি করে তা মেটাতেই হবে। তার জন্য তো আগে থেকে সরকার কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংকট দেখা দিলেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে এবং দাম কমতে সময় লাগবে। এই সময়ে সিন্ডিকেট (শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় মন্ত্রীদের মধ্যেও আছেন) বসে থাকবে না। দাঁও মারবে এবং ফাউ মুনাফা লুটে নেবে। সরকারের কাজ কি হবে এ ধরনের সিন্ডিকেটকে বারবার বাড়তি ও অন্যায্য মুনাফা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া? সরকারের কাছে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা কত ও উৎপাদনের কত হয়েছে তার একটা গ্রহণযোগ্য হিসাব থাকলে এমন হতে পারে কি? সামনে কোরবানির ঈদ আসছে, ফলে দাম বাড়ানোর অজুহাত শক্তিশালী হবে।

এতো গেল সংকটের কথা। কিন্তু পেঁয়াজ চাষিরা জানান, চাষিরা এবার দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজ রোপণ করেছিলেন। আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গড়ে প্রতি বিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ মণ পর্যন্ত। এটা অবশ্য হাইব্রিড পিঁয়াজের কথা। তবে দেরিতে লাগানো নাবি বা দেশি জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন আগের মতই, প্রতি বিঘায় গড় ফলন হয়েছে ২০–২২ মণ। বীজ, সারসহ চাষাবাদের খরচ হিসেব করলে দেখা যায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু পেঁয়াজ যখন উঠল বাজারে অর্থাৎ মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এতে কৃষকের লোকসান হয়েছে। তবে এপ্রিলের শেষ বা ঈদের পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম দুটিই বাড়তে শুরু করেছে। অস্থিতিশীল বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আন্তঃমন্ত্রণালয় তৎপরতাও শুরু হয়েছে। কৃষিসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এক মাস আগেও ছিল ৩০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা আর বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরবরাহ বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়ার দরকার।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কৃষি সচিব আবার এ কথাও জানান যে, ২৪ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে দেশে এবার ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজও উঠবে তাহলে উদ্বৃত্ত উৎপাদন সত্ত্বেও পেঁয়াজের বর্তমান দর কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এই হিসাব দেখলে তো ধাঁধা লাগে চোখে আর সন্দেহ জাগে। হিসাব সঠিক না কি কৃত্রিম বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ক্রেতার পকেটের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শক্তিশালী?

অন্যদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি বলেছেন, একটা কাজ করলেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। আর সেটা হচ্ছে আমদানি অনুমতি। পেঁয়াজের পাশাপাশি চিনি ও সয়াবিনের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উচিত হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো রাখা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি আছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে এখানে যে সুরে বাঁশি বাজাচ্ছেন, সে সুরেই দাম ঠিক হচ্ছে।’ একটা কথা হরহামেশাই বলা হয় এসব নাকি অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্ম। তাহলে সেই প্রশ্নই তো আবার জেগে উঠে, সাধু ব্যবসায়ী কারা? তারা কী করেন?

এসব কথার পরে তাহলে কী দাঁড়াল শেষমেশ? কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত, সংকট নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে সংকট সমাধানে আমদানির বিকল্প নেই। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এসব সিন্ডিকেটের কারসাজি। সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী কারণ সেখানে মন্ত্রীরা যুক্ত থাকেন। ক্যাব সভাপতি বললেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এখানে দাম নির্ধারিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁশির সুরে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেও থাকতে হবে। এটা একটা সাময়িক সমাধান হতে পারে কিন্তু এখানেও তো ভয়। মন্ত্রীরা যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে?

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad

ভারত বধের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল

ভারত বধের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন ক্রিকেটাররা। ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফে ক্রিকেটারদের বোনাসও দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পাকিস্তান সিরিজের পর আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ এবং তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশ ছাড়লেন ক্রিকেটাররা।

দুপুর ১টা ৫ মিনিটের ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন ক্রিকেটাররা। দলের সঙ্গে এদিন ১৫ ক্রিকেটার গিয়েছেন। এ ছাড়া ইংল্যান্ড থেকে ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।

দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত। এ সময় নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো, যাতে ভালো ক্রিকেট খেলা যায়। বাংলাদেশ দল জিতুক এটাই পরিকল্পনা। সেই লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব। আর আমি নিজেও ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দলের হয়ে অবদান রাখার।

ভারত সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ তারা আমাদের থেকে র‌্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ বেশিরভাগ ম্যাচে শেষ দিনে গিয়ে ফলাফল হয়। তাই শেষদিন পর্যন্ত খেলা নিতে পারলে আমাদের হয়তো একটা সুযোগ থাকবে। কী ধরনের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, সেটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে আমাদের যেহেতু অনুশীলন সেশন রয়েছে, তাই আশা করছি ভালো কিছুই হবে।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বরে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৬ সেপ্টেম্বরে কানপুরে। দুটি টেস্ট ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টেস্ট শেষে মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলি অনিক, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসসড়ক অবরোধ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বিটেক) অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার বাগুটিয়া বিটেক কলেজের সামনে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়।

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসসড়ক অবরোধ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ সময় বিক্ষোভের খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী ঘাটাইল সেনানিবাস থেকে আসা সেনাবাহিনীর গাড়িও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সাথে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা ১ টার দিকে অবরোধ থেকে সরে যায় এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, পূর্বের অধ্যক্ষ পদত্যাগের এক মাস হয়ে গেলেও কলেজে এখনো অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঢাকা থেকে এই কলেজের যারা নিয়ন্ত্রক তারা আমাদের অনেক আশার বাণী শুনান, কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি এবং দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

তারা আরও বলেন- এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই আমরা অতি দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি এবং সড়ক অবরোধ করেছি। দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

কালিহাতীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে প্রশাসন ও পুলিশ পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের দাবির বিষয়টির ব্যাপারে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় এবং সড়কে অবস্থান থেকে সরে যায়। এখন পরিবেশ ভালো রয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বিটেকের কনফারেন্স রুমে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: ত্রাণ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ফারুক ই আজম বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিতে চায় রাষ্ট্র। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে তাদের অবশ্যই বিচার হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি হয়েছে তা যাচাই-বাছাই চলছে। সেখানে কতজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি পেয়েছে তাদের ঠিক রেখে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত ৩ হাজারের অধিক মামলা রয়েছে এরা আদালতে স্থগিতাদেশ নিয়ে সুবিধা বহাল রেখেছে।

ফারুক ই আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতো। মন্ত্রণালয় সেখানে তদারকি করতো না।

বন্যা পুর্নবাসন কার্যক্রম নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরুপণ হয়নি। আরও এক সপ্তাহ লাগবে। বন্যায় পুর্নবাসন কমসূচিতে সাহায্য ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত বধের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: ত্রাণ উপদেষ্টা
এমপি ফজলে করিমের ২৪ বছরের গুম-খুনের রাজত্ব
যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ
স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২৫ শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: মির্জা ফখরুল
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সহযোগীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক
যেভাবে রাডার ফাঁকি দিয়েছিল শেখ হাসিনার ফ্লাইট
অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ত্রাণের টাকা কোথায়, জানালেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
ইনজুরি থেকে ফিরেই মেসির জোড়া গোল, জিতল মায়ামি
দুপুরের রান্না করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে ৬৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
স্বর্ণের দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড
ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, সতর্কসংকেত
গাজীপুরে ট্রাক-সিএনজি আটোরিকশা সংঘর্ষ, নারী ও শিশুসহ নিহত ৫
ক্রিকেটারদের বোনাসের অংশ যাচ্ছে দেশের বন্যা দুর্গতদের সহায়তায়