সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ | ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ ধরে রাখতে পারলেই আমরা খুশি

এবারের বাজেটে একটি কথা এসেছে যে, পাচারকৃত অর্থ বৈধকরণ। আমি এ বিষয়টিকে ভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করি, তা হলো অসাধুদের জন্য এটি একটি সবুজ সংকেত।

কিছুদিন আগে মিডিয়াতে এলো রেমিট্যান্স পাঠালেও কোনো প্রশ্ন করা হবে না। প্রশ্ন না তুললে কেউ চুরি করে বাইরে টাকা নিয়ে এবং সেটি যদি রেমিট্যান্স আকারে পাঠায়, তাহলে সরকারি সহায়তা ২% থেকে ২.৫% সেটিও সে পেয়ে যাচ্ছে। তারপর এখনতো ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি টাকা বাইরে নিয়ে গিয়ে আবার সেটি ভিন্নভাবে পাঠালো, পাচারকে বৈধতা দিয়ে যারা পাচারকারী তাদের উৎসাহ দেওয়া এটির কোনো লজিক আমি খুঁজে পাই না।

পাচারকৃত অর্থ বাইরে নিয়ে গিয়ে সে যদি ডিক্লেয়ার করত যে, সে এটি বাইরে নিয়ে গিয়েছিল এবং ফিরিয়ে এনেছে, এখন নরম্যাল ট্যাক্স দিয়ে সে এটি সমাধান করতে চায়। তাহলে হয়ত কিছুটা ঠিক আছে। কিন্তু যদি রেমিট্যান্স আকারে পাঠায়, সেটা প্রশ্ন তুলবে না সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন যেটি হবে—এটি একটি বাণিজ্য হবে। পাচার করা অথবা বাংলাদেশে ভিন্নপন্থায় ফেরত নিয়ে আসা। আরেকটি বিষয়—৫% মূল্যস্ফীতি, আমাদের এখানে ৭% থেকে ৮% এ হয়েই গেছে। সেটি কিভাবে ধরে রাখবে? মূল্যস্ফীতি দেশে দেশে বাড়ছে। আমাদের ৫.৬% এর মধ্যে রাখতে পারলেতো সাধুবাদ।

জিডিপি বৃদ্ধি নির্ভর করছে ইনভেস্টম্যান ও এক্সপোর্টের উপর। বিনিয়োগ ও রপ্তানি যদি ঠিক থাকে, বিদেশি বিনিয়োগ হতে হবে, এসব ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা আছে। আমরতো মনে হয়, আমরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে পারিনি। জাপানি অ্যাম্বাসেডর সেটি বললেন। বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র যেখানে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি অর্থাৎ জিডিপি চাহিদা আছে। কিন্তু এটি নিয়ে গুরুত্ব দেখায়নি বাংলাদেশ।

আরও যেটি লক্ষ্যণীয় সেটি হলো, আমাদের রেভিনিউ বাজেট খুব দ্রুত বাড়ছে। এতে যেটি হবে অপ্রয়োজনীয় সংস্থা সৃষ্টি করবে। লোকজন নিয়োগ করবে। তারপরও সরকার আয়তন বড় করছে। গত দশ বছর আগেও রেভিনিউ বাজেট এবং উন্নয়ন বাজেট প্রায় কাছাকাছি ছিল। এখন রেভিনিউ বাজেট অনেক বড় হয়ে গেছে উন্নয়ন বাজেট থেকে। সরকারি সংস্থা যেগুলো চলে না। জোর করে ভর্তুকি দিচ্ছে, বেতনভাতা দিচ্ছে, আর ব্যুরোক্রেসিতে সাইজ বড়। সবাই প্রমোশন পাচ্ছে, বেশি বেতন ভাতা, বোনাস এই আর কি সবমিলিয়ে।

অন্যদিকে মানুষের জন্য ট্যাক্স একধরনের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া আর কি। তবে মূল্যস্ফীতি ৫.৬% এ ধরে রাখতে পারলেও আমরা খুশি।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

গাজা ইস্যুতে সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ফেরত দিলেন শহিদুল আলম

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস অব লন্ডনের (ইউএএল) কাছ থেকে পাওয়া সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন। গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞার কারণে তিনি এই ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন শহিদুল আলম।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে এই আলোকচিত্রী বলেছেন, শিক্ষার স্বাধীনতা এবং বাক্‌স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিশ্রুতিবদ্ধার কারণে তিনি ২০২২ সালের ৮ জুলাই এই সম্মানজনক ডিগ্রি গ্রহণ করেন। কিন্তু এই অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভাইস চ্যান্সেলর জেমস পুর্নওয়েলের বিচ্যুতি দেখে তিনি হতাশ হয়েছেন। জেমস পুর্নওয়েল একজন কট্টর ইহুদিবাদী বলেও আখ্যা দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

শহিদুল আরও বলেছেন, গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখে তিনি আনন্দিত হয়েছেন। তবে তাঁদের প্রতিনিয়ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

শহিদুল জানিয়েছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেছে, তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে, তাদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে এবং তাদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে। আর এসব কারণে ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনি আর যুক্ত থাকতে পারবেন না’ এবং এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তার সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দেবেন।

এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ বাংলাদেশি আলোকচিত্রী।

রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত

আজ রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে টিআইবি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ বৈরিতা নিয়ে সামনে এগুনো কঠিন হবে। বৈরিতা দূর করে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।

বর্তমান ইসির অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ভোটের আগে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার তাগিদ এলেও শেষ পযন্ত তা হয়নি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা ১৬টি দল অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগসহ ২৮টি দল ভোটে ছিল।

টিআইবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ইসির অনন্ত সক্ষমতা রয়েছে এমন নয়। ইসি একা কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাও দরকার।

সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো কোনো আলাপ আলোচনা আমি দেখছি না। তাদের মধ্যে বৈরিতা অত্যন্ত প্রকট। এতো প্রকট বৈরিতা নিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে সামনে এগোনো খুব কঠিন হবে। এ বৈরিতা পরিহার করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।’ সেই সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন।

এসময় হলফনামার তথ্য প্রকাশ, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে প্রতিনিধি দল। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক জানান, ৭ জানুয়ারি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে টিআইবি। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিলেন দুই বোন জিজি ও বেলা হাদিদ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ। সম্পর্কে তারা দুই বোন। ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় বরাবরই সরব দুই বোন। এজন্য হত্যার হুমকিও পেয়েছে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই দুই মার্কিনী। তবে যাদের শরিরে বইছে ফিলিস্তিনের রক্তের ধারা, তারা ইসরায়েলের এই নির্মমতা নিরবে সহ্য করতে পারে না। বেলা ও জিজিও তাই ইহুদিবাদী হুমকি উপেক্ষা করে এখনও সরব ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।

ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছোট্ট শিশুও। বিশ্বের অন্যান্য মানুষদের মতো চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব দুই বোন ও মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ।

শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছেন তারা। এ কারণে ক্যারিয়ারে নানান বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে দুই বোনকে। এমনকি তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছে ইসরায়েল।

 

ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু কোনো হুমকি-ধমকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। বরং ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান পাঠিয়েছেন বেলা-জিজি।

আমেরিকার একটি ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য ১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে বেলা-জিজি; যা চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান তিনি।

সেদিনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন- ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি।

আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’

প্রসঙ্গত, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদ। তাদের বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। সূত্র: দ্য হলিউড রিপোর্ট

সর্বশেষ সংবাদ

গাজা ইস্যুতে সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ফেরত দিলেন শহিদুল আলম
রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন: সিইসি
ফিলিস্তিনিদের ১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিলেন দুই বোন জিজি ও বেলা হাদিদ
বদলগাছীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি, বললেন প্রধানমন্ত্রী
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার কারাদণ্ড
জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন পরীমণি
নওগাঁয় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’
পিবিআই’র তদন্তেও ফাওজিয়া-মুশতাককে অব্যাহতির সুপারিশ
পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ: সিপিডি
ভুক্তভোগীরা চাইলে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে: দুদক আইনজীবী
সরকার ব্যাপক উন্নয়নের ফলে দেশ বিশ্বে এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
হিজড়াদের হামলায় চোখ হারালেন পুলিশের এসআই
আবারও দ. কোরিয়ায় ময়লাভর্তি ৬০০ বেলুন পাঠাল উ. কোরিয়া
কৃষি সচিবের ১২ মাসে ১১ বার বিদেশ ভ্রমণ!
‘এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্র বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে’
ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ২০ জেলায় ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ
দুপুরে তিন জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
মক্কায় আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু