শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাইক: অ্যাপে না খ্যাপে ?

কি বলে ডাকবেন তাদের? ‘এই বাইক যাইবা?’ রিকশাওলাকে এইভাবে ডাকি আমরা। সিএনজিচালকসহ অটোরিকশাকে ডাকি শুধু ‘সিএনজি’ বলে। কিন্তু যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের বিশেষায়িত করার কোনো তকমা তৈরি হয়নি। বেশ অসুবিধাই হয়েছে।

মোড়ে মোড়ে ঝাঁক ধরে মোটর সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকে। বেশ সুদর্শন আধুনিক তরুণরা মোটার সাইকেলের ওপর বসে থাকেন। তারা সবাই ভাড়ায় গাড়ি চালান। তার কোনো প্রতীকী রকমফের নেই। অগত্যা বলতে হবে, ভাই যাবেন নাকি? চেহারা দেখে মনে হয় না তারা ভাড়ায় গাড়ি চালান। সংশয় মনে নিয়ে এই প্রস্তাব জানাতে হয়। এ বড় অসুবিধার কথা।

ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মোটর সাইকেলে। প্রতিটি চালু সড়কের বামপাশের বিশাল জায়গা ওদের জন্য ছেড়ে দিতে হয়। কোথাও যানজট পড়লে সেখানে মুহূর্তে সগৌরব সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে মোটর সাইকেল। এই মোটর সাইকেলের প্রায় পুরোভাগই ভাড়ায় যাত্রী টানছে।

অগণিত মানুষ জীবন জীবিকার জন্য বাণিজ্যিক মোটর সাইকেল চালক হয়ে উঠেছেন। এখন আর উবার, পাঠাও, ওভাই জাতীয় কোনো কোম্পানির নিবন্ধন লাগে না। মোবাইল অ্যাপ, জিপিএস, যাত্রীসেবা, পেশাদারিত্ব, সুমিষ্ট ব্যবহার লাগে না। ধরা যাক আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন, কোনো এক জায়গা থেকে কেউ আপনাকে ভাড়া করলো। আপনি অনায়াসে তাকে নিয়ে নামিয়ে দিলেন। তিনি ভাড়া চুকিয়ে দিলেন। এই সহজ ব্যাপারটা অসাধারণ সুবিধা এনে দিয়েছে। কিন্তু এই সুবিধার সঙ্গে নিরাপত্তা, চালকের পেশাদারিত্ব, নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতির সংস্রব নেই।

করোনাকালের আগে ঢাকায় অ্যাপনির্ভর মোটর বাইকের এক সুশৃংখল যোগাযোগ সেবা বলয় গড়ে ওঠে। গাড়ির পাশাপাশি অনেকেই মোটর বাইকে নিশ্চিন্তে চলাচল করছিলেন। মোটর বাইকে বসে চালক যাত্রীর সঙ্গে সুমিষ্ট আচরণ করতেন। তার সার্ভিস ও আচরণের সঙ্গে একটি নাম্বার ও পুরস্কার যুক্ত ছিল। তার যেকোনো বাজে আচরণের জন্য অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল। চালক ও যাত্রী দুজনেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর জিপিএস পর্যবেক্ষণের আওতায় চলে যেতেন। বহু স্বপ্নবাজ তরুণ এই ব্যবস্থায় নিজে বেশ ক্ষমতায়িত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের কেনা মোটর বাইকটির যথাযথ লাইসেন্স কাগজপত্র ও নিজের সঠিক চালক সনদ নিয়ে তবেই উবার, পাঠাও বা অন্য যো কোনো কাম্পানীর তালিকাভূক্ত হতে পারতেন। নিজের কাজের ফাঁকে নিজের মোবাইলের অ্যাপ অন করে রাইডার হিসেবে কাজ শুরু করতেন।

করোনাকালে মানুষের চলাচল একেবারে সীমিত হয়ে পড়ায় ওদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। উপার্জন থেমে যায়। অনেক উবার, পাঠাও চালক এই কাজ বন্ধ করে অন্যদিকে সরে যান। অনেকে গ্রামে ফিরে যান। ঠিক এই সময় থেকেই শুরু হয় ছন্দপতন। করোনা শিথিল হওয়ার পর অসংখ্য মোটর বাইক রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। বেকার তরুণ, স্বল্পায়ী কর্মজীবীরা নিজের মোটর সাইকেলটিকে উপার্জনের হাতিয়ার ভেবে পথে বেরিয়ে পড়েন। যেকোনো মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডেকে বহন করতে শুরু করেন। তাদের কোনো নিয়মনীতির বালাই নেই, কাগজপত্রের হিসেব নেই, চালক সনদ আছে কি নেই, তারও খোঁজ খবরের ব্যাপার নেই। এখনও উবার পাঠাও নেই তা বলা যাবে না। তাদের দেখাদেখি যেসব ছোট ছোট অ্যাপ রাইডার কোম্পানি তৈরি হয়েছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। উবার পাঠাও গাড়িতে তাদের অ্যাপভিত্তিক কিছু ভাড়া পেলেও মোটর বাইকে যাত্রীসেবা ও উপার্জনের হিসেবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বলা যেতে পারে তাদের সুপরিকল্পিত আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমাণের সার্ভিস কার্যক্রমে লালবাতি জ্বলছে।

তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বাণিজ্য ঠিকই সম্প্রসারিত রয়েছে। রাস্তায় মোটর বাইকের কোনো অভাব নেই। রাস্তায় এখন রিকশা ও সিএনজির চেয়ে অনেক বেশি মোটর বাইক। রাস্তায় মোটর বাইকের ভীড়। অনেক দামী মোটর বাইকে শিক্ষিত সুদর্শন তরুণরা ভাড়া খাটছেন।স্বাধীন উপার্জন ব্যবস্থাটি তারা উপভোগ করছেন। কিন্তু ব্যবস্থাটি শৃংখলা হারিয়েছে।

রাস্তায় চেনার উপায় নেই কোন গাড়িটি ভাড়া খাটছে, আর কোনটি খাটছে না। এর জন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি ও উদ্যোগ নেই। অন্তত. ভাড়া গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট রঙের হেলমেট ব্যবহার করার নির্দেশ থাকতে পারে। যদিও এখন প্রকাশ্য গোপনে ভাড়া খাটা গাড়িগুলো ধরার কোনো কায়দা নেই। তারা যদি ভাড়া যাত্রীর কথা মুখে স্বীকার না করেন তাহলে তা প্রমাণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই অনিয়মটি চালু থাকলেই বরং চালকদের জন্য সুবিধা।

অনিয়মটি দূর করতে দমন পীড়নের চেয়ে একটি সহজ রোজগারবান্ধব একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার। যা যে কোনো বাইক রাইডারকে উৎসাহিত করতে পারে।

কাগজপত্রের বৈধতা নেই এমন বাইক রাস্তা থেকে সরাতে হবে। আর অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসন অথবা রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটিকে দায়িত্ব নিয়ে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হবে, যে অ্যাপটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। থাকবে বাইক চালক ও যাত্রীর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। যে কোনো মোটর বাইকে যে কেউ উঠবে। কবে ওঠার সময় দুজন পরস্পরের মোবাইলের অ্যাপ থেকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করবে। তাতেই দুজনের ঠিকানা বিনিময় হয়ে যাবে। একইভাবে প্রশাসনের কাছেও দুজনের তথ্য সংরক্ষিত হয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে দুজনই পরস্পরের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে।

এখন রাস্তায় বিপুল সংখ্যক বাইক চলছে একেবারেই মোবাইল অ্যাপ ছাড়া। তার মানে যো কোনো সময় যে কেউ বড় সংকটে পড়ে যেতে পারে। চলছে চলুক বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া মোটেই শুভকর হতে পারে না।

 

লেখক: সাংবাদিক

Header Ad

অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে শফির উদ্দিন (৭২) নামে এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১৮ মে) সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত কৃষক উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ছোটডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কৃষক শফির উদ্দিন শনিবার সকালে পরিবারের সবার অজান্তে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ ঝুলন্ত দেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনের উপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’

ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’। গানটিতে নার্গিস আক্তারের গাওয়া ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে’ গানের দুই লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এই অংশ নিয়ে নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন জেফার।

গণমাধ্যম অনুযায়ী, এ প্রসঙ্গে জেফার বলেছেন, ‘যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা, কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা কিন্তু ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই।

এটা অনেক আগের গান। নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি ফুয়াদ ভাই কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রথম করেন।

সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে আমার ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। অনেকে বুঝতে পারছেন, অনেকে আবার বুঝছেন না। যারা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তারা বুঝতে পারছেন।

যারা নতুন বা বয়সে ছোট, তারা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেই সময়ে আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত সহজলভ্য ছিল না বিধায় তখন এত কথা হয়নি। এখন মানুষের বলার সুযোগ বেড়েছে।’

ট্রল হওয়া নিয়ে গায়িকার ভাষ্য, ‘একদমই না। ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না। আমার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি জানি। আমি কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করে আসছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি কখনো ভাবি না।

তবে আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে যেত। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।’

পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে আপন চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রিরামের ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাপিয়া জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামেরভিটা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে৷

শনিবার সকালে নিহত পাপিয়ার চাচা রাব্বী মিয়া তার লোকজন নিয়ে পাপিয়াদের পূর্বের বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক গাছ রোপন করতে যায়। এতে পাপিয় সহ পরিবারের লোকজন বাধা দিলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচা রাব্বির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়াকে আঘাত করে৷ এতে পাপিয়া গুরুতর জঘম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাপিয়ার মৃত্যু হয়৷ ঘাতক রাব্বি একই গ্রামের চান্দু খলিফার ছেলে৷

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার বলেন, আমরা এ ঘটনায় পারভিন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট