শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মালদ্বীপ থেকে ফিরে : পর্ব-১

সাগরের বুকে সুউচ্চ অট্টালিকা, গড়ে উঠেছে নতুন শহর

সুরম্য সব অট্টালিকা। রং-বেরং এর সব ভবন। প্রত্যেকটির উচ্চতা ২৫ তলা। সাগরের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। তার পাশে আরও অট্টালিকা গড়ে উঠছে। তবে কাজের গতি কিছুটা ধীর। মালদ্বীপের হুলহুমালে শহরের যে দিকটায় বহুতল ভবনগুলো গড়ে উঠছে সেখানটায় মূলত একেবারেই একটি নতুন শহর গড়ে তোলা হচ্ছে।

 

ভাবতেই অবাক লাগে, একেবারে ভারত সাগরের বুক ভরাট করা জমিতে নতুন এই শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন গড়ে তোলা এই শহরের ভবনগুলোর আশপাশ আবার ঘন সবুজে ঘেরা। হুলহুমালে থেকে চারটি দৃষ্টি নন্দন সেতু দিয়ে নতুন শহরে প্রবেশ করা যাবে। আর এই নতুন শহরের নাম হচ্ছে ‘‘ইয়ুথ সিটি।’’

এই নতুন সিটি জানান দিচ্ছে মালদ্বীপ ক্রমেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হুলহুমালে শহরের একটি রেস্তোরায় রাতের খাবার শেষ করে আমরা চার জন হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছি শহরটির শেষ প্রান্তে। সেখানে গিয়েই দেখা মিলল একটি দৃষ্টি নন্দন সেতুর। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে গল্প করার ফাঁকে সঙ্গে থাকা নাজমুল, শহীদুল ও সজীব জানালেন, এখানেই হুলহুমালে শহর শেষ। সেতুর ওই পাড়টা হচ্ছে ইয়ুথ সিটি।

মালে শহরে প্রায় দুই দশক ধরে বসবাসকারি বাংলাদেশী সজীব ও শহীদুল জানালেন, নতুন শহরটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। এই শহরের আয়তন কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার। আব্দুল্লাহ ইয়ামিন সরকারের আমলে সাগর ভরাট করে নতুন এই শহর গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।

মূলত মালদ্বীপের স্থানীয় জনগণের বসবাসের জন্য হুলহুমালে শহরের আরেক প্রান্তে নতুন গড়ে তোলা ইয়ুথ সিটিতে আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি একটি আধূনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে এই সিটিতে।

যা যা থাকবে ইয়ুথ সিটিতে

নতুন এই শহরের উন্নয়ন কর্মকান্ডাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমভাগে বা ফেইজ ওয়ানে থাকবে অ্যাকুয়াটিক সেন্টার বা জলজ কেন্দ্র। ইয়ুথ পার্ক। ওয়াটার থিম পার্ক। মিউজিক এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউট। ফুটবল স্টেডিয়াম এবং স্পোর্টস এরিনা বা ক্রীড়া রঙ্গভূমি।

দ্বিতীয়ভাগে বা ফেইজে থাকবে অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আধুনিক এন্টারটেইনমেন্ট ডেকে। ইনডোর স্পোর্টস কমপেলক্স। ইয়ুথ ফোকাস রেসিডেনসিয়াল ডেভলপমেন্ট। দি টেকনোপোলিস এন্ড নলেজ পার্ক এবং ওয়াটার স্পোর্টস এরিয়া।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে মালদ্বীপের গত সরকারের মেয়াদে স্বল্প সময়ের মধ্যে সাগরের জেগে ওঠা চরকে ভরাট করে দ্রুততম সময়ে ইয়ুথ সিটিকে প্রস্তুত করা। ইতিমধ্যে এই শহরে ১৪/১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজ চলছে আরও শতাধিক ভবনের। মালদ্বীপের গত সরকারের সদিচ্ছার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহরটি গড়ে তোলা হয়েছে। দেশি বিদেশি হাজার হাজার শ্রমিক দিন রাত কাজ করে নতুন শহরটি গড়ে তুলেন। 

স্থানীয়রা জানান, মালদ্বীপের গত সরকারের আামলে চীনের সঙ্গে তাদের সদ্ব্যভাব ছিল। তাই চীনের সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে কাজটি করতে সক্ষম হয় ইয়ামিনের সরকার।

তবে গত দুই বছর ধরে কাজের গতি কিছুটা কমে গেছে। ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ’র নেতৃত্বাধীন এমডিপি সরকারের আমলে এসে ইয়ুথ সিটিতে উন্নয়ন কাজের গতি কমে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। বিপরীতে চীনের সঙ্গে তাদের বেশ দূরত্ব রয়েছে। এ কারণেই মূলত উন্নয়ন কাজের গতি কমেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এমনকি সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও একই মত পোষণ করেন।

৩ ডিসেম্বর রাতে হুলহুমালে শহর ছেড়ে আমরা গিয়েছিলাম নির্মাণাধীন ইয়ুথ সিটি ঘুরে দেখতে। চারটি মোটর সাইকেলে মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ইয়ুথ সিটির একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি। সাগর ভরাট করে কিভাবে একটি পরিকল্পিত আধূনিক শহর গড়ে তুলছে মালদ্বীপ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। ইয়ুথ সিটির প্রবেশ পথের প্রথম সেতুতে দাঁড়ালেই দেখা সিটিকে রক্ষা করতে কিভাবে ভারত সাগরকে শাসন করা হয়েছে। এই শাসনের মধ্যেও রয়েছে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য্য।

প্রায় দুই দশক ধরে মালে শহরে বসবাসকারি বাংলাদেশী সজিব বলছিলেন, আমাদের চোখের সামনে ইয়ামিন সরকারের আমলে এই শহর গড়ে উঠেছে গত পাঁচ-ছয় বছরে। কিন্তু ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের পর গত দুই তিন বছর ধরে ইয়ুথ সিটির কাজ সেইভাবে চলছে না। তবে মালদ্বীপবাসীরা মনে করেন, ইয়ামিনের সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে এই আধুনিক সিটির কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হবে।

নীল সাগরের বুকে এমন একটা আধুনিক সিটি দেখে বারবার মনে হচ্ছিল আমাদের সরকার দেশকে আধুনিক ও বসবাসযোগ্য করতে কত না পরিকল্পনা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এই যেমন প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। স্যাটেলাইট সিটি হবে রাজধানীর চারপাশে। কিন্তু সেগুলো দৃশ্যমান হতে কত সময় লাগে কে জানে।

তবে মালদ্বীপ কিভাবে স্বল্প সময়ে একটা নতুন শহর ও আধুনিক শহর গড়ে তুলল সেটা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

 

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি