শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মালদ্বীপ থেকে ফিরে : পর্ব-১

সাগরের বুকে সুউচ্চ অট্টালিকা, গড়ে উঠেছে নতুন শহর

সুরম্য সব অট্টালিকা। রং-বেরং এর সব ভবন। প্রত্যেকটির উচ্চতা ২৫ তলা। সাগরের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। তার পাশে আরও অট্টালিকা গড়ে উঠছে। তবে কাজের গতি কিছুটা ধীর। মালদ্বীপের হুলহুমালে শহরের যে দিকটায় বহুতল ভবনগুলো গড়ে উঠছে সেখানটায় মূলত একেবারেই একটি নতুন শহর গড়ে তোলা হচ্ছে।

 

ভাবতেই অবাক লাগে, একেবারে ভারত সাগরের বুক ভরাট করা জমিতে নতুন এই শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন গড়ে তোলা এই শহরের ভবনগুলোর আশপাশ আবার ঘন সবুজে ঘেরা। হুলহুমালে থেকে চারটি দৃষ্টি নন্দন সেতু দিয়ে নতুন শহরে প্রবেশ করা যাবে। আর এই নতুন শহরের নাম হচ্ছে ‘‘ইয়ুথ সিটি।’’

এই নতুন সিটি জানান দিচ্ছে মালদ্বীপ ক্রমেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হুলহুমালে শহরের একটি রেস্তোরায় রাতের খাবার শেষ করে আমরা চার জন হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছি শহরটির শেষ প্রান্তে। সেখানে গিয়েই দেখা মিলল একটি দৃষ্টি নন্দন সেতুর। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে গল্প করার ফাঁকে সঙ্গে থাকা নাজমুল, শহীদুল ও সজীব জানালেন, এখানেই হুলহুমালে শহর শেষ। সেতুর ওই পাড়টা হচ্ছে ইয়ুথ সিটি।

মালে শহরে প্রায় দুই দশক ধরে বসবাসকারি বাংলাদেশী সজীব ও শহীদুল জানালেন, নতুন শহরটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। এই শহরের আয়তন কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার। আব্দুল্লাহ ইয়ামিন সরকারের আমলে সাগর ভরাট করে নতুন এই শহর গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।

মূলত মালদ্বীপের স্থানীয় জনগণের বসবাসের জন্য হুলহুমালে শহরের আরেক প্রান্তে নতুন গড়ে তোলা ইয়ুথ সিটিতে আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি একটি আধূনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে এই সিটিতে।

যা যা থাকবে ইয়ুথ সিটিতে

নতুন এই শহরের উন্নয়ন কর্মকান্ডাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমভাগে বা ফেইজ ওয়ানে থাকবে অ্যাকুয়াটিক সেন্টার বা জলজ কেন্দ্র। ইয়ুথ পার্ক। ওয়াটার থিম পার্ক। মিউজিক এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউট। ফুটবল স্টেডিয়াম এবং স্পোর্টস এরিনা বা ক্রীড়া রঙ্গভূমি।

দ্বিতীয়ভাগে বা ফেইজে থাকবে অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আধুনিক এন্টারটেইনমেন্ট ডেকে। ইনডোর স্পোর্টস কমপেলক্স। ইয়ুথ ফোকাস রেসিডেনসিয়াল ডেভলপমেন্ট। দি টেকনোপোলিস এন্ড নলেজ পার্ক এবং ওয়াটার স্পোর্টস এরিয়া।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে মালদ্বীপের গত সরকারের মেয়াদে স্বল্প সময়ের মধ্যে সাগরের জেগে ওঠা চরকে ভরাট করে দ্রুততম সময়ে ইয়ুথ সিটিকে প্রস্তুত করা। ইতিমধ্যে এই শহরে ১৪/১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজ চলছে আরও শতাধিক ভবনের। মালদ্বীপের গত সরকারের সদিচ্ছার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহরটি গড়ে তোলা হয়েছে। দেশি বিদেশি হাজার হাজার শ্রমিক দিন রাত কাজ করে নতুন শহরটি গড়ে তুলেন। 

স্থানীয়রা জানান, মালদ্বীপের গত সরকারের আামলে চীনের সঙ্গে তাদের সদ্ব্যভাব ছিল। তাই চীনের সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে কাজটি করতে সক্ষম হয় ইয়ামিনের সরকার।

তবে গত দুই বছর ধরে কাজের গতি কিছুটা কমে গেছে। ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ’র নেতৃত্বাধীন এমডিপি সরকারের আমলে এসে ইয়ুথ সিটিতে উন্নয়ন কাজের গতি কমে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। বিপরীতে চীনের সঙ্গে তাদের বেশ দূরত্ব রয়েছে। এ কারণেই মূলত উন্নয়ন কাজের গতি কমেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এমনকি সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও একই মত পোষণ করেন।

৩ ডিসেম্বর রাতে হুলহুমালে শহর ছেড়ে আমরা গিয়েছিলাম নির্মাণাধীন ইয়ুথ সিটি ঘুরে দেখতে। চারটি মোটর সাইকেলে মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ইয়ুথ সিটির একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি। সাগর ভরাট করে কিভাবে একটি পরিকল্পিত আধূনিক শহর গড়ে তুলছে মালদ্বীপ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। ইয়ুথ সিটির প্রবেশ পথের প্রথম সেতুতে দাঁড়ালেই দেখা সিটিকে রক্ষা করতে কিভাবে ভারত সাগরকে শাসন করা হয়েছে। এই শাসনের মধ্যেও রয়েছে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য্য।

প্রায় দুই দশক ধরে মালে শহরে বসবাসকারি বাংলাদেশী সজিব বলছিলেন, আমাদের চোখের সামনে ইয়ামিন সরকারের আমলে এই শহর গড়ে উঠেছে গত পাঁচ-ছয় বছরে। কিন্তু ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের পর গত দুই তিন বছর ধরে ইয়ুথ সিটির কাজ সেইভাবে চলছে না। তবে মালদ্বীপবাসীরা মনে করেন, ইয়ামিনের সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে এই আধুনিক সিটির কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হবে।

নীল সাগরের বুকে এমন একটা আধুনিক সিটি দেখে বারবার মনে হচ্ছিল আমাদের সরকার দেশকে আধুনিক ও বসবাসযোগ্য করতে কত না পরিকল্পনা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এই যেমন প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। স্যাটেলাইট সিটি হবে রাজধানীর চারপাশে। কিন্তু সেগুলো দৃশ্যমান হতে কত সময় লাগে কে জানে।

তবে মালদ্বীপ কিভাবে স্বল্প সময়ে একটা নতুন শহর ও আধুনিক শহর গড়ে তুলল সেটা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক