বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকার ভেতরেই একদিনে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্যে থেকে

ছবি সংগৃহিত

বাংলাদেশে এমন বহু স্থান আছে যেখানে ছুটির দিনে অনেকেই ঘুরতে যান। সমুদ্রতীর, পার্ক ইত্যাদি ছাড়াও অনেকে আবার মনের মত খাওয়া দাওয়া করতেও বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান। তবে কেমন হয় যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদীর তীর এবং ভালো খাওয়া দাওয়া একই স্থানে পাওয়া যায় ! ভাবলেই কত ভালো লাগে।

এমনই এক মনোরম স্থানের হদিস রয়েছে দেশের রাজধানীতে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার এক জনপ্রিয় সময় কাটানোর জায়গা হল ঠিকানা রিসোর্ট, যা প্রকৃতপক্ষে একটি বড় আকারের রেস্টুরেন্ট।

খোলামেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর চারদিক ঘিরে ফুটে থাকা হাজারো ফুলের সৌরভের কারণে ঠিকানা রেস্টুরেন্টটি এখন একটি রিসোর্ট হয়ে উঠেছে। পুরো রিসোর্টে গ্রামীণ শৈল্পিক ছোঁয়া, আকাশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য, বিভিন্ন সময়ে নানা রঙের সৌন্দর্য রয়েছে। তাছাড়া ঠিকানা রেস্টুরেন্টটি স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকাবাসীর কাছে প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই কারণেই প্রতিদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর থেকেও এখানে অনেক মানুষ আসেন পরিবার বা বন্ধু- বান্ধবদের সাথে কিছু ভালো সময় কাটাতে। বলাই বাহুল্য যেকোনো সরকারি ছুটির দিন, এই রিসোর্টে ভিড় অনেক বেড়ে যায়। শীতের মরশুম জুড়ে পুরো রেস্টুরেন্ট এলাকা রং বাহারি ফুলে ভরে যায়, তাই এসময় ঠিকানা রিসোর্টের সৌন্দর্যও বেড়ে যায় বহুগুণ। ঠিকানায় মনোরম পরিবেশ অতিথিদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়, যা সামগ্রিক ছুটির অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ঠিকানায় থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা

ঠিকানায় থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিকানায় বিভিন্ন ধরনের দেশী বিদেশী খাবার পাওয়া যায়। এখানকার মেন্যুতে আছে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও বেশ কিছু জনপ্রিয় দেশীয় খাবার। এখানে গিয়ে গ্রামীণ মাটির উনুনে (চুলায়) কিভাবে পিঠা তৈরি হয় তা দেখতে পারবেন, চাইলে আপনি উনুনের পাশের কুঁড়েঘরে বসে গরম গরম পিঠা খাওয়ার আনন্দও নিতে পারেন, এছাড়া ঠিকানার নিজ ক্ষেতের সবজি ও মাছ খাওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

তবে এগুলোর দাম একটু বেশি হবে। বলাই বাহুল্য, দেশি খাবার ছাড়াও ঠিকানায় রয়েছে নানা রকম বিদেশি সুস্বাদু খাবার। এছাড়াও ঠিকানায় রয়েছে একটি উন্নতমানের কফি শপ, যেখানে ব্রাজিলের বিন এনে কফি তৈরি করা হয়। তবে যাওয়ার আগে থেকেই টেবিল বুকিং করে নিতে হবে।রিসোর্টের মূল ভবনে পাশ্চাত্য স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে। পছন্দের খাবার খেতে একবার হলেও ঘুরে আসতে পারেন এই রিসোর্ট থেকে।

ঠিকানা রিসোর্ট খরচ কেমন লাগে

ঠিকানা রিসোর্টে প্রবেশ করার জন্য জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ফি দিতে হয়। কিন্তু কেউ যদি ৩০০ টাকার উপরে যে কোনো খাবার অর্ডার করে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রবেশ ফি লাগবেনা। খাবার না খেয়ে শুধু ঘুরাঘুরি করতে হলে ৩০০ টাকা ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এখানে খাবারের সর্বনিম্ন মেনুসেট ৬৫০ টাকা + ভ্যাট অর্থাৎ প্রায় ৭৫০ টাকা থেকে শুরু। এই ৬৫০ টাকার মেনু সেটের মধ্যে থাকবে ভুনা খিচুড়ি, বিফ ভুনা, অমলেট, বেগুন ভাজা, সালাদ, আচার এবং জল। কেউ চাইলে এর বাইরেও অন্য কিছু যোগ করতে পারেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।

ঠিকানা ডে আউটারস এর সৌন্দর্য

বাড্ডা থানার ব্যারাইদ এলাকায় ঠিকানা ডে আউটারস অবস্থিত। এই রিসোর্টটি এক নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। রিসোর্টটিতে অগণিত ফুল রয়েছে যা সারিবদ্ধভাবে সাজানো এবং এগুলো প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের আদলে তৈরি। এসব ছাড়াও রিসোর্টে বাচ্চাদের জন্য খেলার ব্যবস্থা আছে। তবে এই রিসোর্টে পোষ্য প্রাণী নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ।

এছাড়াও এখানে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা আছে। ঠিকানা ডে আউটারস ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঘরের নান্দনিক কারুকার্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মূল ফটক থেকে শুরু করে পুরো রিসোর্টে গ্রামীণ শৈল্পিক ছোঁয়া রয়েছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই ঠিকানায় আপনি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই দেখতে পাবেন। “তায়্যেবা আফরিন” ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের স্বপ্নের ঠিকানা গড়ে তোলেন। তিনিই ক্যাফের ম্যানেজার এবং প্রতিষ্ঠাতা।

ঠিকানা রিসোর্ট কোথায় অবস্থিত

“ঠিকানা রিসোর্ট” ঢাকার গুলশান থেকে ২ – ৩ কলোমিটার দূরে মাদানি এভিনিউ, বড় বেরাইদ, বাড্ডা, বালু নদীর পাড়ে অবস্থিত। প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর এই “ঠিকানা রিসোর্ট”-এ গিয়ে জন্মদিন, গায়ে হলুদ, বিবাহ সহ যে কোন পারিবারিক অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন, তবে এর জন্য আগেই বুকিং করে নিতে পারেন।

এছাড়াও শহরের কাছে পিঠে পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য এই রিসোর্টটির জুড়ি মেলা ভার। ঠিকানা রিসোর্ট এর আশেপাশের অঞ্চলের বিস্ময়কর দৃশ্য আপনাকে শহরের জীবনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে এক মনোরম পরিবেশে বাঁচতে এবং আপনার মনকে সতেজ করে তুলতে সহায্য করবে।

ঠিকানা রিসোর্টে কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশের ঢাকার নিউমার্কেট থেকে লেগুনা করে, বা উওর বাড্ডা থেকে অটো রিক্সা করে যেতে পারেন।

ঠিকানা রিসোর্টে প্রবেশের সময়

ঠিকানা রিসোর্ট প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ০৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই সময়ের মধ্যে আপনি যেকোনো সময় ঠিকানায় সময় কাটাতে যেতে পারবেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ঠিকানায় আসার আগে আপনার এন্ট্রি বুকিং নিশ্চিত করতে, কল করুন বা এসএমএস পাঠান এই নাম্বরে – ০১৭৫৫৫৫৪৪৪৭ (কমপক্ষে ১ দিন আগে বুকিং নিশ্চিত করবেন)।

বুকিং ছাড়াও সরাসরি এসে টিকিট নিতে পারবেন। তবে সরকারি ছুটির দিনগুলতে ভিড় বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে ঠিকানা রিসোর্ট ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন : +৮৮ ০১৭৫৫৫৫৪৪৪৭ (বুকিং), +৮৮ ০১৭৫৫৫৫৪৪৪৮, +৮৮ ০৯৬৩৮২২৭৭০০। ইমেইল: thikanakk@gmail.com

ঠিকানা রিসোর্ট ঢাকার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা ঢাকা শহরের মানুষের নিকট একটি প্রিয় স্থান। রিসোর্ট প্রায়ই সব বয়সের জন্য উপযোগী সুবিধা এবং সেবা প্রদান করে। খাবার কিংবা ভ্রমণ যাই বলুন সবই পাবেন ঠিকানায়। আছে সুন্দর সবুজ পরিবেশ, তাই মানুষ অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে একটি সঠিক গন্তব্য এটি।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া