বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন বছরের আমেজ নেই কক্সবাজারে, দুই দশকের মধ্যে পর্যটক সর্বনিম্ন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজি পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে থেকেই দেশের প্রধান অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজারে উপচে পড়ত লাখো পর্যটক। তবে পাল্টে গেছে সেই চিরচেনা দৃশ্য। নতুন বছরেও নেই কক্সবাজারের সেই আগের আমেজ। সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চ পড়ে আছে নীরব নিথর। সৈকতের অন্য পয়েন্টে বা হোটেল মোটেলেও দেখা যায়নি তেমন আউটডোর-ইনডোর আয়োজন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম এবং কক্সবাজারে আউটডোর-ইনডোর কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন না থাকায় এবার পর্যটকদের সাড়া নেই বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

হোটেল মালিকরা বলছেন, প্রতি বছর দুই ঈদ এবং থার্টি ফার্স্ট এর ছুটিতে দেশের প্রধান অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। এ সময় হোটেল-মোটেলে শতভাগ রুম বুকিং থাকে। কক্ষ না পেয়ে অনেকেই রাত কাটান খোলা আকাশের নিচে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। থার্টি ফার্স্টের ছুটিতে পর্যটকদের সাড়া নেই কক্সবাজারে।

হোটেলগুলোর বেশির ভাগ কক্ষই ফাঁকা। এমন পরিস্থিতি গত দুই দশকেও দেখা যায়নি বলে জানান জেলা প্রশাসনের একজন সৈকত কর্মী। তিনি বলেন, এবারের থার্টি ফার্স্টের ছুটিতে কক্সবাজারে খুব কম পর্যটক এসেছেন। রোববার সৈকতে সাধারণ ছুটির দিনের চেয়েও কম পর্যটক দেখা গেছে। অথচ এ সময়ে দায়িত্ব পালনে আমাদের হিমশিম খেতে হতো।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, নানা কারণে এবার একটু পর্যটক সমাগম কম। তবে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, তা দেখভাল করতে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে।

এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, আমাদের কাছে পর্যটকদের নিরাপত্তাই সবার আগে। ভ্রমণে এসে কোনো পর্যটক যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। ছবিঃ সংগৃহীত

ছাত্রশিবির তাদের একটি লেখায় মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছে। এটি কেন? আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। সেটাকে ছোট করে, কটাক্ষ করে রাজনীতি কখনোই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এ সভার আয়োজন করে।

সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে, এটা মানুষ মানবে না। ৫ আগস্ট একটা দুনিয়া কাঁপানো গণ-অভ্যুত্থান। এর বার্তা ও বৈশিষ্ট্য এক ধরনের। আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আরও বড় ক্যানভাসের, ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান। ওটাকে ছোট করে এটাকে বড় করলে লাভ হবে না।’

রিজভী আরও বলেন, ‘গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা নিজে ও পরিবারের লোকজনের সমন্বয়ে দেশে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। এখন শেখ হাসিনা পাশের দেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা দিচ্ছেন। আর যে কজন ধরা পড়ে জেলখানায় আছেন, তাদের মধ্যে একজন ‘দরবেশ’ (সালমান এফ রহমান)। তিনি কারাগার থেকে ঝাড়-ফুঁক দিচ্ছেন।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু
ডীপসিক কী? যার অভিষেকে কাঁপছে প্রযুক্তি দুনিয়া