বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এই শীতে যেসব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন

ছবি সংগৃহিত

শীতকাল মানেই ভ্রমণের শুরু। ভ্রমণপিপাসু মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই শীতকালের জন্য। কেননা এ সময় বাচ্চাদের শেষ হয়ে যায় ফাইনাল পরীক্ষা। বড়দের থাকে সেমিস্টার ব্রেক। আর চাকরিজীবীরা সারা বছরের ক্লান্তি শেষে একটু নিজের মতো সময় কাটাতে নেয় বার্ষিক ছুটি। সব মিলিয়ে শীতকাল ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আর এই উপযুক্ত সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে দরকার উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা। শীতকালে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলো সম্পর্কেই কথা বলব আমরা।

সুন্দরবন

শীতকালে ভ্রমণের জন্য সবার প্রথমেই আমার লিস্টে থাকবে পৃথিবীর অন্যতম দুর্লভ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। খুলনা, সাতক্ষীরা আর বাগেরহাট জেলার কিছু অংশজুড়ে রয়েছে পৃথিবীর অপার বিস্ময়ের এই বন। অরণ্যপ্রেমী ও ওয়াইল্ড লাইফ যাদের পছন্দ তাদের জন্য সুন্দরবন একটি আদর্শ জায়গা। সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ ছাড়া হরিণ, বানর, সাপ, কুমিরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী ও পশুর অভয়ারণ্য। আমার ব্যক্তিগত মতামতে এতোসব কিছুর ঊর্ধ্বে সুন্দরবনের শব্দ সবার আগে স্থান পাবে। একটা পাতা পড়ার শব্দ, পানির শব্দ, বাতাসে গাছের শব্দ ও ছোট বড় খালগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে এক নৈসর্গিক জাযগায়। তাই শীতকালে সুন্দরবন হতে পারে আপনার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত জায়গা।

সেন্টমার্টিন

পাহাড় না সমুদ্র? এই প্রশ্নের জবাবে কারো যদি ভোট আসে সমুদ্র, তাহলে তার অবশ্যই সেন্ট মার্টিন যাওয়া উচিত। সারি সারি নারিকেল গাছ, নীল আকাশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নীল জলরাশি ও প্রবাল পাথরের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দেশের একমাত্র দ্বীপ এটি। অনেকে সমুদ্র বলতে কক্সবাজার ছুটে যান। কিন্তু আমার মতে যদি সমুদ্রের প্রকৃত ফিল পেতে চান তাহলে অবশ্যই সেন্টমার্টিন যান। এ ছাড়া সমুদ্র উত্তাল থাকে বলে অন্য সময় সেন্ট মার্টিন যাওয়া যায়ও না। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সেন্ট মার্টিন যাওয়ার উপযুক্ত সময়। মাত্র ১৬ কিলোমিটার দ্বীপটি বৈচিত্র্যতার আধারে ঘেরা। স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকা, জেলেপাড়া, ও শুঁটকিপল্লীর পর্যবেক্ষণ ভ্রমণের আনন্দটা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।

সাজেক

মেঘ পাহাড়ের মিতালির অপার বিস্ময় সাজেক ভ্যালি। বাংলাদেশের মানুষের ভ্রমণের লিস্টে কক্সবাজারের পরেই থাকে সাজেক। যাদের পাহাড় পছন্দ তারা অবশ্য শুরুতেই রাখবেন সাজেককে। চারপাশের অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা পাহাড় সারি, সাদা তুলোর মতো মেঘ আপনাকে হারিয়ে নিয়ে যাবে এক অন্য ভুবনে। যেখান থেকে আপনি ছুঁয়ে দেখতে পারবেন মেঘমালা।

কুয়াকাটা

কুয়াকাটাকে বাংলাদেশের সাগরকন্যা হিসেবে ধরা হয়। কেননা এটি এমন এক বিশেষ স্থান যেখান থেকে দেখা মেলে একই সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। এ ছাড়া সমুদ্রের নীরব রূপ ও মানুষের কোলাহল থেকে মুক্ত থাকতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বিকল্প নেই। পরিচ্ছন্ন বেলাভূমি, দিগন্তজোড়া সমুদ্রসৈকত, সুনীল আকাশ ও সঙ্গে বেনাস হিসেবে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন কুয়াকাটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

কক্সবাজার

কক্সবাজার পৃথিবীর সবচেয়ে র্দীঘতম সমুদ্রসৈকত। শুধু এই লাইনের প্রচারেই দেশি বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক ছুটে আসেন এই সমুদ্রসৈকতে। শীতকালে সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা তুলনামূলক কম ঠান্ডা থাকে। তাই যারা সাগর পছন্দ করেন তারা সাগরপাড়ের এই বিশাল ঢেউয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে আসতে হবে এখানে।

সিলেট

বাংলাদেশে শীতকালে ঘোরাঘুরি নিয়ে কথা উঠলে সিলেট অবশ্যই থাকবে। ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় গন্তব্যের নাম সিলেট। উঁচু উঁচু পাহাড়, চা বাগান আর অসংখ্য ঝরনাধারা নিয়ে শীতকালে ভ্রমণের উপযুক্ত জায়গা সিলেট। রাতারগুল, শ্রীমঙ্গল, জাফলং, বিছানাকান্দি, ভোলাগঞ্জ, তামাবিল সিলেটের কয়েকটি দর্শনীয় জায়গা। এ ছাড়া আরও অনেক চমৎকার জায়গা প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য দিয়ে ঢেলে দিয়েছে সিলেটের বুকজুড়ে। যেখানে গেলে মন জুড়িয়ে যেতে বাধ্য। শীতে অসংখ্য অতিথি পাখির আনাগোনা দেখা যায়। আর এই অতিথি পাখি দেখতে বৃহত্তর সিলেট বিভাগেই পড়েছে হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো পছন্দের জায়গা। শীতকালীন ছুটি উপভোগ করার জন্য তাই এই সিলেট হতে পারে চমৎকার এক গন্তব্য।

বান্দরবান এবং রাঙামাটি

রাঙামাটি আর বান্দরবানের পাহাড়চূড়া মানেই সেখানে মেঘদের বসতি। পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মেঘ ছুয়ে দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সাকা হাফং, দামলং আর কেওক্রাডংয়ের মতো উচ্চতম পয়েন্টগুলোর দেখা মিলবে এই দুটি জেলায়। এত দিন ধরে এসব অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা ছিল অপ্রকাশিত, যার বেশির ভাগই এখন ধরা পড়েছে পর্যটকদের চোখে। এই দুই জেলায় আছে বেশকিছু পাহাড়ি ঝরনা, মন্দিরসহ দর্শনীয় স্থান, যা আপনাকে বার বার আপ্লুত করবে।

 

Header Ad
Header Ad

শ্রদ্ধার ফুলে বীর সন্তানদের স্মরণ    

ছবিঃ সংগৃহীত

৫৫তম স্বাধীনতা দিবসে ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে।। ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শহিদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপদেষ্টামণ্ডলী।

রক্তিম সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে। মনে করিয়ে দেয় ৫৪ বছর আগের ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় কালরাত পার করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত উচ্চারণে বলিষ্ঠ জাতির কথা। বিশ্বের বুকে যাদের পরিচয় হার না মানা জাতি হিসেবে।

৭১ এর উত্তাল মার্চে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এই দিনেই। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রক্ত দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা বীর সেনানীদের প্রতি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই স্মৃতির মিনারে ভালোবাসার ফুল দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। পিনপতন নীরবতায় স্মরণ করেন জাতির সূর্য সন্তানদের। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল জানায় রাষ্ট্রীয় সালাম। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও।

এরপরই স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় ৮৪ একরের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে মূল বেদি।

৭১ এর বীর সেনানীদের উত্তরসূরি ২৪ এর ছাত্র জনতা রক্তের বিনিময়ে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে স্বৈরশাসকের। লাল সবুজের পতাকাকে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা। তাইতো, শহিদদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিতে আসা মানুষের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। লাখো প্রাণের দামে কেনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই বীরদর্পে এগিয়ে যাবে লাল সবুজের পতাকা, প্রিয় বাংলাদেশ।

Header Ad
Header Ad

ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় কমে গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলররা দেশত্যাগ করায় জনপ্রতিনিধিদের স্থলে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মিত বদলি ও পদোন্নতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের রুমে রুমে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ডিএসসিসির রাজস্ব আদায় তলানিতে পৌঁছেছে। তাই রাজস্ব আদায় বাড়াতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং বকেয়া আদায়ে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বকেয়া আদায়ের জন্য এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বকেয়া পৌরকর, কর্পোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।

ডিএসসিসির রাজস্ব আয়ের খাতওয়ারী দাবি ও আদায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৫৪৬ কোটি টাকা। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা হলেও জানুয়ারি পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৪৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪৮ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঈদের পর লিফলেট বিতরণ এবং অভিযান পরিচালনা করা হবে। লিফলেটে জানানো হবে যে, সিটি করপোরেশন একটি স্ব-শাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। করদাতাদের প্রদেয় পৌরকর, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য ফি-এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও নগর উন্নয়নের কাজ পরিচালিত হয়।

লিফলেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বকেয়া কর পরিশোধ না হলে নগরের উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই, বকেয়া কর আদায়ে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে সম্পত্তি জব্দ ও নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হবে। তাই নগরবাসীকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে ডিএসসিসি।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পর রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। অনেকে দীর্ঘদিনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্সের ভাড়া বকেয়া রেখেছেন। প্রথমে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে, এরপর রাজস্ব আদায়ে অভিযান পরিচালিত হবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করেও বকেয়া পৌরকর সমন্বয় করা হবে।"

Header Ad
Header Ad

সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে পঞ্চগড়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বহরের “অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জারা আশা প্রকাশ করেন যে, সারজিস আলম এ বিষয়ে জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেবেন, যা এনসিপির ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

তাসনিম জারা লিখেছেন, "একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে আমি জানতে চাই— সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, ‘আমার আসলে এই মুহূর্তে কোনো টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।’ তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদেরকে অভিভূত করেছিল এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছিল। কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো?"

তিনি আরও বলেন, "এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে।"

গতকাল সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান। সেখান থেকে সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌঁছান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। উল্লেখ্য, সারজিস আলমের বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায়।

নতুন রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পর প্রথমবার বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিষয়টি নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শ্রদ্ধার ফুলে বীর সন্তানদের স্মরণ    
ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান
সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা
ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা ২২ হাজার টাকা
এভারকেয়ারে নেওয়া হলো তামিম ইকবালকে
সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যান মানিক গ্রেফতার
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস হলো যেভাবে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ: রমজানে দ্রব্যমূল্য কমেছে, জনগণ স্বস্তি পেয়েছে – ড. ইউনূস
গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান
৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন