বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন

ছবি: সংগৃহীত

সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান আধুনিক যুগে মোবাইল ছাড়া জীবনকে চিন্তা করাটাই কঠিন। প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক সব ফিচারের দিকে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা সুযোগ সুবিধাসহ ফোন আনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিভিন্ন ফিচারের মতো দামেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে যত দামি ফোনই হোক না কেন, তার আয়ু খুব বেশি হলে তিন-চার বছর। তারপরেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। তবে আয়ু শেষের আগেই আমাদেরই কিছু ভুলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শখের স্মার্টফোনটি।

জেনে নিন কোন ৭ ভুলের কারণে অকালে নষ্ট হচ্ছে শখের স্মার্টফোনটি।

১. দীর্ঘ সময় ধরে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে স্মার্টফোন রাখা:

স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে ফোন রাখা। যদি আপনি রোদে বা শীতের রাতে আপনার বালিশের নিচে ফোন রেখে চার্জ করলে ডিভাইজ গরম হতে থাকে। যা ধীরে ধীরে ডিভাইসটি নষ্ট করে দিবে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফোন চালালেও সেট গরম হয়ে যায়। এরপরও তা বুঝতে পেরে একটানা সেট ব্যবহার করলে দ্রুতই সেট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ফোন গরম হয়ে গেলে তা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করাই উত্তম।

২. চার্জারের ব্যবহার:

বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ফ্লাগশীপ ফোনগুলোর সঙ্গে চার্জার দেয় না। এরফলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতারা আলাদা চার্জার কিনেন নেন। অনেকে ভুলটা এ সময়ই করে থাকেন। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা বুঝে কত ওয়ার্ডের চার্জার দরকার হয়ে সেটি বুঝতে পারেন না। সব চার্জার একই পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে না। ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার দিয়ে চার্জ করলে প্রতিনিয়ত ফোনের আয়ু কমতে থাকবে। এক সময় পুরো ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মানের দিক থেকে যেসব চার্জার ভালো এবং ফোন অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো ব্যবহার করা ভালো।

৩. অ্যাপ ডাউনলোড:

অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সচেতন থাকতে হবে। অনেক ব্যবহারকারী Play Store বা App Store এ অ্যাপ না পেলে থার্ডপার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা আপনার ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ক্ষতিকর অ্যাপ আপনার ডিভাইসকে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সংক্রমিত করতে পারে। যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসওয়ার্ড এবং এমনকি ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে পারে। এর পাশাপাশি সাইবার অপরাধীরা আপনার ডিভাইসের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা নিরাপদ। কারণ সেখানে একটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া থাকে যা ক্ষতিকর অ্যাপগুলোকে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে আটকায় এবং এগুলো এড়িয়ে চলার সুযোগ বাড়ায়।

৪. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ নিজে থেকে বন্ধ করা:

আপনি কি ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রায়ই ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা সব অ্যাপ বন্ধ করে দেন? এটির প্রয়োজন নেই। এর ফলে ভালো হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, যখন সক্রিয়ভাবে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করছেন না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপগুলো আপনার ডিভাইসকে ধীর করে দেয়।

তবে আধুনিক স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এগুলো এমন কাজ পরিচালনা করতে পারে যেখানে অ্যাপগুলো কম শক্তি ব্যবহারের অবস্থায় থাকে যতক্ষণ না এগুলো প্রয়োজন হয়।

অ্যাপগুলোকে ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অবস্থায় রাখা ভালো কারণ আপনার ফোন সক্রিয় অ্যাপ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপে স্যুইচ করার জন্য কম শক্তি ব্যবহার করে। এতে করে আপনি যেখানে কাজ শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই দ্রুত শুরু করতে পারেন এবং এটি ডিভাইসের ওপর কম চাপ ফেলে। অন্যদিকে অ্যাপটি প্রথম থেকে চালু করার চেয়ে লো-পাওয়ার অবস্থান থেকে পুনরায় চালু করা কম শক্তি ব্যবহার করে। এটি অনেকটা আপনার হিটার যেমন প্রথমবার চালু করার চেয়ে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রাখতে কম শক্তি ব্যবহার করে তার মত করে।

৫. আপডেটেড না থাক:

স্মার্টফোন চালু করার পর অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রতিবছর এমনকি ৬ মাস পরপর আডটেড করার প্রস্তাব দেয়। এটি ডিভাসইকে সুরক্ষা করে। কিন্তু অনেকেই আপডেট না দিয়ে তা উপেক্ষা করে চলে। কিন্তু এসব আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার ডিভাইসকে মসৃণ এবং সুরক্ষিতভাবে চলতে সহায়তা করে।

সাধারণত, এই আপডেটগুলো শুধু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার উপরই জোর দেয় না, বরং এতে নিরাপত্তা প্যাচও অন্তর্ভুক্ত থাকে যা নতুন আবিষ্কৃত দুর্বলতাগুলো ঠিক করে। এগুলো উপেক্ষা করলে আপনি মূলত আপনার ফোনকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। এছাড়াও আপডেটগুলো ফোনের বাগ ঠিক করে। যা আপনার ডিভাইসকে ধীর বা বিকল করে দিতে পারে।

৬. স্মার্টফোনের চার্জিং অভ্যাস:

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এর জন্য দায়ী হতে পারে খারাপ চার্জিং অভ্যাস। এর কারণে প্রতিনিয়ত ব্যাটারির ড্রেনিং সিস্টেম নিচের দিকে নাতে। ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়া বা শতভাগ চার্জ দেয়া ব্যাটারির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ব্যাটারির নির্দিষ্ট সংখ্যক চার্জ সাইকেল থাকে, এবং বারবার এই প্রক্রিয়া করলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে আপনার ফোনের চার্জ ৩০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। এতে কম চার্জ সাইকেল ব্যবহার হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।

এর পাশাপাশি চার্জিংয়ের সময় আপনার ফোন সাধারণত কিছুটা গরম হয় যা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্বাভাবিক হবে। তবে এটি বেশি গরম হয় তাহলে ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই ঠাণ্ডা বা বায়ু চলাচলযোগ্য জায়গায় ফোন চার্জ দিন এবং বালিশের নিচে বা সরাসরি সূর্যের আলোতে চার্জ দেয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৭. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা:

অনেকেই নিজেস্ব ডাটা ব্যবহার না করে পাবলিকলি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে ঝুঁকি জড়িয়ে আছে। পাবলিক ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলো সাধারণত নিরাপত্তার দিক থেকে দুর্বল হয় কারণ এগুলো প্রায়শই এনক্রিপশন ছাড়া বা দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে পরিচালিত হয়। এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা সহজেই পাসওয়ার্ড ও ব্যাংক তথ্যের মতো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

যদি আপনাকে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে পাসওয়ার্ড-প্রোটেক্টেড এবং এনক্রিপটেড নেটওয়ার্কগুলোতে সংযোগ করুন। এমন সংবেদনশীল ওয়েবসাইটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ডিভাইস ও ব্যক্তিগত তথ্য বিপন্ন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী: ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দেশবাসীকে গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, “১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। এদিন ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলন পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। এর ফলে সামরিক স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম হয়।”

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। এ আন্দোলনের তাৎপর্য আজও আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিসীম।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এ দিনে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় একতাবদ্ধ হওয়া। তাই আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।”

গণঅভ্যুত্থান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “ঊনসত্তরের গণআন্দোলন আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করেছিল। সেই আন্দোলনের অর্জন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

ইসলামের আলোকে পরিচালিত হবে আগামীর বাংলাদেশ: মাওলানা মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, “ইসলামের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা একসঙ্গে চলতে পারে না। মুসলমানদের জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো জায়গা নেই। তাই আগামীতে বাংলাদেশ ইসলামের আলোকে পরিচালিত হবে। ইসলামী নীতির অধীনে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের ধর্ম পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে যশোরের অভয়নগরে মাদরাসা ইহইয়াউল উলূম আল ইসলামিয়া আয়োজিত দরসে বুখারী, দস্তার ফজিলত ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী। তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন অতীতে আমরা দেখেছি। ৫ আগস্টের মূর্তি বিরোধী আন্দোলন দেশের জনগণের ইসলামের প্রতি অনুগত অবস্থান প্রমাণ করেছে। সুতরাং বাংলাদেশকে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। আমাদের সংবিধান হবে কুরআন।”

তিনি আরও বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। যারা এই মতাদর্শ সমর্থন করেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে পালিয়ে গেছেন। বিএনপি এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মতো ধর্মনিরপেক্ষতার সুরে তাল মিলিয়েছে। কিন্তু এই নীতি দেশের ৯০ শতাংশ মুসলমানদের ইচ্ছার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

মামুনুল হক বলেন, “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। যারা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে অবস্থান নেবেন, তারা চাইলে হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন। বাংলাদেশ ইসলামের আলোকে পরিচালিত হবে, এটি সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম অভয়নগর শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা গোলাম মওলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম অভয়নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মাদরাসা ইহইয়াউল উলূম আল ইসলামিয়ার মুদীর মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুফতি শহীদুল ইসলাম কাসেমী।

অনুষ্ঠানের শেষে মাওলানা মামুনুল হক দোয়া পরিচালনা করেন, যেখানে দেশ, জাতি এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।

Header Ad
Header Ad

একসঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসলেন ২০০ সমকামী

ছবি: সংগৃহীত

সমকামী বিবাহকে বৈধ ঘোষণা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে থাইল্যান্ড। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রায় ২ শতাধিক সমকামী দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এটি এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশাল অর্জন, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সমকামী বিবাহের বৈধতার জন্য লড়াই করে আসছে।

ব্যাংকক প্রাইড এবং সিটি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে থাই রাজধানীতে একটি বিশাল সমলিঙ্গ বিবাহের আয়োজন করেছে। সিয়াম প্যারাগন শপিং মলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২ শতাধিক সমকামী দম্পতি তাদের বিবাহ নিবন্ধন করেছেন।

গত বছর থাইল্যান্ডের সংসদে এ আইন পাস হলে অনুমোদন দেন দেশটির রাজা। এই আইনের আওতায় সমকামী দম্পতিরা এখন পূর্ণ আইনি, আর্থিক ও চিকিৎসা অধিকার পাবেন। এ ছাড়া তাঁরা দত্তক নিতে পারবেন এবং উত্তরাধিকার সূত্রেও সম্পত্তির অধিকার পাবেন।

নতুন এই আইনে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দগুলোকে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া সমলিঙ্গ বা সমকামী দম্পতিদের উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ ও চিকিৎসা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারসহ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা গত সপ্তাহে এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই আইন প্রমাণ করে থাইল্যান্ড বৈচিত্র্য গ্রহণ করতে প্রস্তুত এবং সব ধরনের মানুষের অধিকার এখানে রয়েছে।’

তবে সমকামী বিবাহের বৈধতা পেলেও থাইল্যান্ডের এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের অন্যান্য অংশ, বিশেষত ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কারণ সমকামী বিবাহের বৈধতা পেলেও ট্রান্সজেন্ডারদের লিঙ্গ পরিচয়ের ব্যাপারটি এখনো বৈধতা পায়নি।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ৩০টি দেশের আদালত সমকামী বিবাহকে বৈধতা দিয়েছে। যার বেশির ভাগই ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার দেশ। এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডের আগে ২০১৯ সালে তাইওয়ান ও ২০২৩ সালে নেপাল সমকামী বিবাহকে বৈধ ঘোষণা করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী: ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান
ইসলামের আলোকে পরিচালিত হবে আগামীর বাংলাদেশ: মাওলানা মামুনুল হক
একসঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসলেন ২০০ সমকামী
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
আওয়ামী লীগ ১০ বছরের মধ্যে ফিরে আসবে: নুরুল হক
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
বাফুফের অনুষ্ঠানে মধ্যমণি ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের ভাবনা
উপদেষ্টারা রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে: আসিফ
‌‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সালমান এফ রহমানের সাথে সংশ্লিষ্ট ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ
আঁতাতের মাধ্যমে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম
দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন
অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সড়কে পিঠা বিক্রি করছেন নূর ছবি বেগম
‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে কারাবন্দি হয়েছিলাম, এখন মেয়ের বয়স ১৫ বছর’
আবারও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানা গেল কবে-কোথায় বাড়বে শীত
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে