রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন

ছবি: সংগৃহীত

সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান আধুনিক যুগে মোবাইল ছাড়া জীবনকে চিন্তা করাটাই কঠিন। প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক সব ফিচারের দিকে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা সুযোগ সুবিধাসহ ফোন আনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিভিন্ন ফিচারের মতো দামেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে যত দামি ফোনই হোক না কেন, তার আয়ু খুব বেশি হলে তিন-চার বছর। তারপরেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। তবে আয়ু শেষের আগেই আমাদেরই কিছু ভুলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শখের স্মার্টফোনটি।

জেনে নিন কোন ৭ ভুলের কারণে অকালে নষ্ট হচ্ছে শখের স্মার্টফোনটি।

১. দীর্ঘ সময় ধরে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে স্মার্টফোন রাখা:

স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে ফোন রাখা। যদি আপনি রোদে বা শীতের রাতে আপনার বালিশের নিচে ফোন রেখে চার্জ করলে ডিভাইজ গরম হতে থাকে। যা ধীরে ধীরে ডিভাইসটি নষ্ট করে দিবে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফোন চালালেও সেট গরম হয়ে যায়। এরপরও তা বুঝতে পেরে একটানা সেট ব্যবহার করলে দ্রুতই সেট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ফোন গরম হয়ে গেলে তা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করাই উত্তম।

২. চার্জারের ব্যবহার:

বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ফ্লাগশীপ ফোনগুলোর সঙ্গে চার্জার দেয় না। এরফলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতারা আলাদা চার্জার কিনেন নেন। অনেকে ভুলটা এ সময়ই করে থাকেন। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা বুঝে কত ওয়ার্ডের চার্জার দরকার হয়ে সেটি বুঝতে পারেন না। সব চার্জার একই পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে না। ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার দিয়ে চার্জ করলে প্রতিনিয়ত ফোনের আয়ু কমতে থাকবে। এক সময় পুরো ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মানের দিক থেকে যেসব চার্জার ভালো এবং ফোন অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো ব্যবহার করা ভালো।

৩. অ্যাপ ডাউনলোড:

অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সচেতন থাকতে হবে। অনেক ব্যবহারকারী Play Store বা App Store এ অ্যাপ না পেলে থার্ডপার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা আপনার ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ক্ষতিকর অ্যাপ আপনার ডিভাইসকে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সংক্রমিত করতে পারে। যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসওয়ার্ড এবং এমনকি ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে পারে। এর পাশাপাশি সাইবার অপরাধীরা আপনার ডিভাইসের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা নিরাপদ। কারণ সেখানে একটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া থাকে যা ক্ষতিকর অ্যাপগুলোকে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে আটকায় এবং এগুলো এড়িয়ে চলার সুযোগ বাড়ায়।

৪. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ নিজে থেকে বন্ধ করা:

আপনি কি ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রায়ই ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা সব অ্যাপ বন্ধ করে দেন? এটির প্রয়োজন নেই। এর ফলে ভালো হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, যখন সক্রিয়ভাবে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করছেন না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপগুলো আপনার ডিভাইসকে ধীর করে দেয়।

তবে আধুনিক স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এগুলো এমন কাজ পরিচালনা করতে পারে যেখানে অ্যাপগুলো কম শক্তি ব্যবহারের অবস্থায় থাকে যতক্ষণ না এগুলো প্রয়োজন হয়।

অ্যাপগুলোকে ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অবস্থায় রাখা ভালো কারণ আপনার ফোন সক্রিয় অ্যাপ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপে স্যুইচ করার জন্য কম শক্তি ব্যবহার করে। এতে করে আপনি যেখানে কাজ শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই দ্রুত শুরু করতে পারেন এবং এটি ডিভাইসের ওপর কম চাপ ফেলে। অন্যদিকে অ্যাপটি প্রথম থেকে চালু করার চেয়ে লো-পাওয়ার অবস্থান থেকে পুনরায় চালু করা কম শক্তি ব্যবহার করে। এটি অনেকটা আপনার হিটার যেমন প্রথমবার চালু করার চেয়ে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রাখতে কম শক্তি ব্যবহার করে তার মত করে।

৫. আপডেটেড না থাক:

স্মার্টফোন চালু করার পর অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রতিবছর এমনকি ৬ মাস পরপর আডটেড করার প্রস্তাব দেয়। এটি ডিভাসইকে সুরক্ষা করে। কিন্তু অনেকেই আপডেট না দিয়ে তা উপেক্ষা করে চলে। কিন্তু এসব আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার ডিভাইসকে মসৃণ এবং সুরক্ষিতভাবে চলতে সহায়তা করে।

সাধারণত, এই আপডেটগুলো শুধু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার উপরই জোর দেয় না, বরং এতে নিরাপত্তা প্যাচও অন্তর্ভুক্ত থাকে যা নতুন আবিষ্কৃত দুর্বলতাগুলো ঠিক করে। এগুলো উপেক্ষা করলে আপনি মূলত আপনার ফোনকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। এছাড়াও আপডেটগুলো ফোনের বাগ ঠিক করে। যা আপনার ডিভাইসকে ধীর বা বিকল করে দিতে পারে।

৬. স্মার্টফোনের চার্জিং অভ্যাস:

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এর জন্য দায়ী হতে পারে খারাপ চার্জিং অভ্যাস। এর কারণে প্রতিনিয়ত ব্যাটারির ড্রেনিং সিস্টেম নিচের দিকে নাতে। ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়া বা শতভাগ চার্জ দেয়া ব্যাটারির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ব্যাটারির নির্দিষ্ট সংখ্যক চার্জ সাইকেল থাকে, এবং বারবার এই প্রক্রিয়া করলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে আপনার ফোনের চার্জ ৩০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। এতে কম চার্জ সাইকেল ব্যবহার হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।

এর পাশাপাশি চার্জিংয়ের সময় আপনার ফোন সাধারণত কিছুটা গরম হয় যা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্বাভাবিক হবে। তবে এটি বেশি গরম হয় তাহলে ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই ঠাণ্ডা বা বায়ু চলাচলযোগ্য জায়গায় ফোন চার্জ দিন এবং বালিশের নিচে বা সরাসরি সূর্যের আলোতে চার্জ দেয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৭. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা:

অনেকেই নিজেস্ব ডাটা ব্যবহার না করে পাবলিকলি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে ঝুঁকি জড়িয়ে আছে। পাবলিক ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলো সাধারণত নিরাপত্তার দিক থেকে দুর্বল হয় কারণ এগুলো প্রায়শই এনক্রিপশন ছাড়া বা দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে পরিচালিত হয়। এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা সহজেই পাসওয়ার্ড ও ব্যাংক তথ্যের মতো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

যদি আপনাকে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে পাসওয়ার্ড-প্রোটেক্টেড এবং এনক্রিপটেড নেটওয়ার্কগুলোতে সংযোগ করুন। এমন সংবেদনশীল ওয়েবসাইটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ডিভাইস ও ব্যক্তিগত তথ্য বিপন্ন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে একযোগে পদত্যাগ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (UIU) উপাচার্য, ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ মোট ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পোস্টে বলা হয়, “আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদে” উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা যৌথভাবে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে যারা রয়েছেন: উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক এম রিজওয়ান খান (আইএআর নির্বাহী পরিচালক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক), অধ্যাপক নুরুল হুদা (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান), অধ্যাপক ওমর ফারুক (অর্থনীতি বিভাগের প্রধান), অধ্যাপক হাসান সারওয়ার (সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন), অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন (আইরিকের পরিচালক), মো. কে. মাশুকুর রহমান (ইইই বিভাগের প্রধান), তাহমিনা ফয়েজ (ফার্মেসি বিভাগের প্রধান), সুমন আহমেদ (সিডিআইপির পরিচালক), জান্নাতুন নূর (ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক), রফিকুল ইসলাম (বিজিই প্রোগ্রামের পরিচালক), অধ্যাপক আবু সাকলায়েন (আইএনএস পরিচালক)।

এর আগে একই দিন সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। শুরুতে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চললেও পরে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের মূল দাবিগুলো:

১. কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ছাত্রদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিন্ডিকেট তৈরি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়।

২. মিডটার্ম পরীক্ষায় সময় ১৫ মিনিট কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের সময় ফিরিয়ে আনার দাবি।

৩. ইমপ্রুভমেন্ট ফি পুনর্নির্ধারণসহ আগে স্বীকৃত সংস্কার দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান।

ক্যাম্পাসজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে অনড়, অন্যদিকে প্রশাসনিক পদত্যাগের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ

এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ। ছবি: সংগৃহীত

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। শাশুড়ির সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে খালেদা জিয়া আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়োগে ৭ ধরনের পদে মোট ৬০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ১৬৬টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ৩৫টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৬৯টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৩৩২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের ফি: ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদনের ফি ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে, ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর