সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোনে আসক্ত এই ১০ দেশের মানুষ
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
এখন সবার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। বাসে, ট্রেনে, মেট্রো এমনকি বন্ধুদের আড্ডাতেও সবাই গোল হয়ে বসলেও কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। অনেকে তাকিয়ে থাকে ফোনের দিকে। স্মার্টফোনের এই ‘নেশা’ এখন সভ্যতার কাছে এক সংকটের মতো।
তবে এই নেশায় কাবু শুধু ছোটরা নয়, বড়রাও। আট থেকে আশি সকলেই হাতে একটা জিনিস খুবই কমন, সেটি হল স্মার্টফোন। বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে, যে দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোনে আসক্ত। জানুন এমনটি ১০টি দেশ সম্পর্কে।
স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়।
এই তালিকা অনুযায়ী প্রথম ১০টি দেশ হল-
১. চীন
২. সৌদি আরব
৩. মালয়েশিয়া
৪. ব্রাজিল
৫. দক্ষিণ কোরিয়া
৬. ইরান
৭. কানাডা
৮. তুর্কি
৯. ইজিপ্ট
১০. নেপাল
এই দশ দেশে স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় সবথেকে বেশি। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনে মোবাইল ডিভাইস ও তার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবার থেকে বেশি। তা হওয়ার অন্যতম কারণ বলতে পারেন তাদের জনসংখ্যা এবং সেখানকার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের বাজার।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি সৌদি আরব। এখানেও স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা বাকি দেশের থেকে অনেক বেশি। আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রথমে তিনে থাকা তিনটি দেশই এশিয়ার। এর থেকে বোঝা যায়, ইউরোপ এবং আমাররিকার থেকে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার হয় এশিয়ায়।
সবথেকে স্মার্টফোন আসক্ত এই ২৪টি দেশ-
১. চীন
২. সৌদি আরব
৩. মালয়েশিয়া
৪. ব্রাজিল
৫. দক্ষিণ কোরিয়া
৬. ইরান
৭. কানাডা
৮. তুর্কি
৯. ইজিপ্ট
১০. নেপাল
১১. ইতালি
১২. অস্ট্রেলিয়া
১৩. ইজরায়েল
১৪. সার্বিয়া
১৫. জাপান
১৬. ব্রিটেন
১৭. ভারত
১৮. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯. রোমানিয়া
২০. নাইজেরিয়া
২১. বেলজিয়াম
২২. সুইজারল্যান্ড
২৩. ফ্রান্স
২৪. জার্মানি
আরও এক পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় ৯৭ শতাংশ নাগরিকের কাছে মোবাইল বা তার মতো কোনও ডিভাইস রয়েছে। প্রতি ৫ আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যে একজনের কাছে রয়েছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন।
স্লিকটেক্সটের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে ৪৮ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী চিন্তায় পড়ে যান, যখন তাদের ফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশ বা তার নীচে নেমে যায়। যাকে নাম দেওয়া হয়েছে মনোফোবিয়া। ইন্টারনেট বা মোবাইল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যে ভয়, তাকেই বলা হয় মনোফোবিয়া।