আজ আকাশে এক সারিতে দাঁড়াবে ৬ গ্রহ, দেখা যাবে খালি চোখেই
ছবি: সংগৃহীত
মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। মহাকাশে এক সারিতে আসবে সৌরজগতের ৬টি গ্রহ। খালি চোখেই তার বেশিরভাগটা দেখতে পাবেন মানুষ। যন্ত্রের সাহায্য নিলে পুরো দৃশ্যই ঝকঝকে হয়ে উঠবে চোখের সামনে। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এ বিরল দৃশ্য।
একই সারিতে আসবে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়। গত ৩১ মে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সারিতে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহকে সবচেয়ে ভালো করে দেখা যাবে ৩ জুন। তবে এরপরেও দেখা যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের ছয়টি গ্রহ কাছাকাছি আসতে চলেছে। পৃথিবী থেকে এই ছয়টি গ্রহকে এক সারিতে দেখা যাবে। এই দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও। প্রায় এক সারিতে অবস্থান করবে গ্রহগুলি। এরকমভাবে এক সারিতে একাধিক গ্রহঅবস্থান করলে তাকে মহাজাগতিক পরিভাষায় বলা হয় ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’। এতে গ্রহগুলি এত কাছাকাছি চলে আসে যে পৃথিবী থেকে তাদের একসারিতে মনে হয়। ৩ জুন থেকে পরিষ্কার আকাশে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ৩ জুনের আগেই সূর্যের অনেকটা কাছে চলে আসবে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। তার পাশে আর কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বুধ। তারপর একে একে অন্য গ্রহগুলিকেও দেখা যাবে ওই সারিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’ দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হল ভোররাত। অর্থাৎ সূর্য ওঠার ঠিক আগে। ওই সময় আকাশের পূর্ব দিকে তাকালে শনি গ্রহ দেখা যাবে। হালকা হলুদ আভা থাকবে তাতে। শনির ঠিক নীচে দেখা যাবে লাল রঙের মঙ্গল গ্রহকে। পূর্ব দিগন্ত থেকে ১০ ডিগ্রিরও কম উচ্চতায় দেখা যাবে বুধকে। মঙ্গলের সামনে থাকবে বৃহস্পতি। আর সারির শেষদিকে থাকবে ইউরেনাস এবং নেপচুন। এই দুটি গ্রহের খালি চোখে দেখা পাওয়া যাবে না। এছাড়া শুক্র গ্রহ সূর্যের অনেক কাছাকাছি থাকায় সেটাও দেখা যাবে না। এই ছয় গ্রহর সঙ্গে থাকবে চাঁদও।’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মেঘমু্ক্ত আকাশ থাকলে সূর্য ওঠার ২০ মিনিট আগে একে একে গ্রহগুলি পূর্ব দিকে দৃশ্যমান হবে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা আকাশে মেঘ থাকলে তা দেখা যাবে না।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন সারিবদ্ধ পরিস্থিতিতে গ্রহগুলিকে স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে অনেকটা বড় দেখানোর তথ্য সঠিক নয়। নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই থাকে গ্রহগুলি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেই এই দৃশ্য দেখা যাবে আগামী কয়েকদিন।