মেক্সিকোয় ভিনগ্রহী প্রাণির শরীরে ডিম! অবিশ্বাস্য তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে
ছবি সংগৃহিত। এলিয়েন দুটির এক্স-রে
পৃথিবীর বাইরে সত্যিই কি প্রাণের স্পন্দন আছে? এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে বহুকাল ধরে। বিজ্ঞানীরা কিন্তু কখনওই ভিনগ্রহে প্রাণ থাকার কথা অস্বীকার করেনি। এখনও তাঁরা প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন। এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের এখনও কত কিছুই অজানা, বিজ্ঞানের পরিধির বাইরে। তাই এখনও এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব অস্বীকার করেনি কেউই। বিজ্ঞানীরা সবসময়ই জানিয়েছেন যে, যদি পৃথিবীতে এলিয়েনরা নেমে আসতে থাকে, তবে অচিরেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে তারা! তাই ভিনগ্রহীদের নিয়ে জল্পনা সবসময়েই তুঙ্গে। আর এবার মেক্সিকান পার্লামেন্টে দুই এলিয়েনের মৃতদেহকে সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা (Alien corpses in Mexican assembly)। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের তরফে এও দাবি করা হয়েছে যে, ওই ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসেও বেঁচে ছিল।
সম্প্রতি মেক্সিকো কংগ্রেসে দুটি মমি প্রদর্শিত হয়। দাবি করা হয়, ওই দুটি মরদেহ পৃথিবীর কোনও প্রাণীর নয়। এর পিছনে একটি জোরালো যুক্তিও খাড়া করেছেন ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মোসান। দাবি করা হয়, ওই কঙ্কালের ৩০ শতাংশ ডিএনএ একেবারেই অপরিচিত। অর্থাৎ পৃথিবীতে এত শতাব্দী ধরে যত ধরনের প্রাণী ছিল তাদের কারও সঙ্গেই মিল নেই। এর ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, প্রাণী দুটি ভিন গ্রহের।
নৌবাহিনীর ফরেনসিক চিকিৎসক জোসে দে'জেসুস জালসে বেনিতেজ মেক্সিকো সিটির নূর ক্লিনিকে এই পরীক্ষাগুলো করেছেন। ডঃ বেনিতেজ জানান, যে দু'টি দেহ মেক্সিকোর সংসদে দেখানো হয়েছিল, সেটি নিয়ে কোনও কারসাজি করা হয়নি। এই মমির দেহগুলি একটি প্রাণীরই। অন্য কোনও প্রাণীর দেহাংশ এতে জুড়ে দেওয়া হয়নি।
মেক্সিকোর কংগ্রেসে কয়েকদিন আগেই দু'টি কঙ্কাল দেখিয়ে দাবি করা হয়েছিল, সেগুলি ভিনগ্রহের প্রাণীর। তবে সেই কঙ্কাল নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে। এই আবহে ফের একবার পরীক্ষা করা হল সেই কঙ্কালগুলির। আর এবারে এক্সরে-তে ধরা পড়ল 'ডিম'। দু'টি কঙ্কালের মধ্যে একটি কঙ্কাল নারীর বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে জানা যাচ্ছে, এক্সরে-তে দেখা গিয়েছে, সেই কঙ্কালের কোমরের কাছে কিছু একটা রয়েছে। সেটি আবার ডিমের আকারের। এর জেরে কৌতুহল আরও বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, জেমি মুসান নামে এক সাংবাদিক দুটি এলিয়েনের দেহ নিয়ে এসেছিলেন মেক্সিকোর পার্লামেন্টে। সেই দেহগুলোর প্রত্যেকটি হাতে তিনটি আঙুল রয়েছে। দেহের তুলনায় মাথার আকৃতি বেশ বড় বলেই জানা গিয়েছে। মুসানের দাবি, মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্বন ডেটিং করে জানা গিয়েছে প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো এই দেহগুলি। পেরুর নাজকা লাইন এলাকা থেকে দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে।
মেক্সিকো ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, কার্বন ডেটিং টেস্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছিলেন মমিগুলির বয়স প্রায় ১ হাজার বছর।
বেনটেজ আরও বলেছেন, তাঁর দল দেখেছে একজন জীবিত অবস্থায় সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। সেই সময় সে গর্ভাবস্থায় ছিল। তিনি মহিলা মমির পেটের ভিতর বড় ডিম্বাকার বা ডিমের মত দেখতে বস্তুগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই কথা বলেছেন। তাঁর অনুমান এগুলি ডিম। তিমি আরও বলেম, তিনি নিশ্চিত যে এই দেহগুলির সঙ্গে কোনও মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ইভেন্টের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। ভিনগ্রহীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তবে জেইমির দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ২০১৫ সালে তিনি পেরু থেকে পাওয়া একটি নমুনাকে বহির্জগতের প্রাণী বা এলিয়েন বলে দাবি করেছিলেন। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, তা একটি শিশুর মমি।