শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইন্টেলকে টেক্কা দিতে এএমডির নতুন ২৪টি প্রসেসর!

কম্পিউটার জগতে প্রসেসর প্রস্তুতকারী দুই প্রতিষ্ঠান ইন্টেল ও এএমডি। এরা বরাবরই একে অপরের বিরোধীদল। যেন প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লিপ্ত থাকে। সেরা প্রসেসরের খেতাবটি নিজের ঝুলিতে পুরতে কোনো কমতি রাখে না কেউই। কিন্তু দু'দলের কেউই আগায় না আবার পিছায়ও না। নিজের জায়গায় দু'দলই সেরা। আন্তর্জাতিক বাজারে গেমারদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে এএমডি আর প্রোডাকশন বা ওয়ার্কস্টেশনের ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ইন্টেল। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ইন্টেল ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বেশি।

গেল বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য থার্টিন জেনারেশনের 'র‍্যাপটর লেক' প্রসেসর বাজারে ছাড়ে ইন্টেল। ক্যাটাগরি ভেদে ১৪ কোর ২০ থ্রেড থেকে শুরু করে ২৪ কোর ৩২ থ্রেড এর প্রসেসর গুলোর ক্লক স্পিড সর্বনিম্ন ২.২ গিগাহার্জ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫.৮ গিগাহার্জ পর্যন্ত। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) শুরু হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ইভেন্ট কনজ্যুমার এফোর্ট স্কোর (সিইএস) এ আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য থার্টিন জেনারেশনের 'এইচএক্স' সিরিজের নতুন প্রসেসর বাজারজাত করার ঘোষণা দিল ইন্টেল।

তবে এএমডিও কম যায় না। এই ইভেন্টে দেরিতে হলেও হাই প্রোফাইল তিনটি নতুন ডেক্সটপ প্রসেসর ও চারটি ল্যাপটপ প্রসেসর বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে এএমডি। নতুন এই প্রসেসরগুলো এএমডির রাইজেন ৭০০০ সিরিজ লাইনআপের উত্তরসূরি।

ডেক্সটপ প্রসেসরের নতুন সিরিজটি হচ্ছে '৭০০০এক্সথ্রিডি'। প্রসেসর তিনটি হচ্ছে যথাক্রমে ১৬ কোর ৩২ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৯৫০এক্সথ্রিডি' যার ক্লকস্পিড ৪.২ গিগাহার্জ থেকে ৫.৭ গিগাহার্জ, ১২ কোর ২৪ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৯০০এক্সথ্রিডি' যার ক্লকস্পিড ৪.৪ গিগাহার্জ থেকে ৫.৬ গিগাহার্জ এবং ৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৮০০এক্সথ্রিডি' যার সর্বোচ্চ ক্লকস্পিড ৫ গিগাহার্জ। এই প্রসেসরগুলো ১২০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।

অপরদিকে ল্যাপটপ প্রসেসরের নতুন সিরিজটি হচ্ছে '৭০৪৫এইচএক্স'। প্রসেসর চারটি হচ্ছে যথাক্রমে ১৬ কোর ৩২ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৯৪৫এইচএক্স' যার ক্লকস্পিড ২.৫ গিগাহার্জ থেকে ৫.৪ গিগাহার্জ, ১২ কোর ২৪ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৮৪৫এইচএক্স' যার ক্লকস্পিড ৩ গিগাহার্জ থেকে ৫.২ গিগাহার্জ, ৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭৪৫এইচএক্স' যার ক্লকস্পিড ৩.৬ গিগাহার্জ থেকে ৫.১ গিগাহার্জ এবং ৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৬৪৫এইচএক্স' যার ক্লকস্পিড ৪ গিগাহার্জ থেকে ৫ গিগাহার্জ। এই প্রসেসরগুলো ৪৫ থেকে ৭৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।

এএমডির দাবি তাদের নতুন এই প্রসেসরগুলো এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির গেমিং প্রসেসর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ডেক্সটপ প্রসেসরগুলো বিশ্ব বাজারে সহজলভ্য হবে এবং এলিয়েনওয়্যার, আসুস, লেনোভো ও এমএসআই ইতোমধ্যেই এএমডির নতুন প্রসেসর ব্যবহার করা গেমিং ল্যাপটপ নির্মাণাধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। ল্যাপটপগুলোও ফেব্রুয়ারির শেষে বিশ্ববাজারে কিনতে পারা যাবে বলে আশা করা যায়।

এর পাশাপাশি আগের লাইনআপ থেকেও ডেক্সটপ ও ল্যাপটপের জন্য নতুন বেশ কয়েকটি লো প্রোফাইল প্রসেসর বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে এএমডি। ডেক্সটপের জন্য লো প্রোফাইল প্রসেসর তিনটি হচ্ছে যথাক্রমে ১২ কোর ২৪ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৯০০' যার ক্লকস্পিড ৩.৭ গিগাহার্জ থেকে ৫.৪ গিগাহার্জ, ৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭০০' যার ক্লকস্পিড ৩.৮ গিগাহার্জ থেকে ৫.৩ গিগাহার্জ এবং ৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৬০০' যার ক্লকস্পিড ৩.৮ গিগাহার্জ থেকে ৫.১ গিগাহার্জ। এই প্রসেসরগুলো ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।

অপরদিকে ল্যাপটপের জন্য লো প্রোফাইল প্রসেসর রয়েছে ১৪টি। এই প্রসেসরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন নাইন ৭৯৪০এইচএস' যার ক্লকস্পিড ৪ গিগাহার্জ থেকে ৫.২ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৮৪০এইচএস' যার ক্লকস্পিড ৩.৮ গিগাহার্জ থেকে ৫.১ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৬৪০এইচএস' যার ক্লকস্পিড ৪.৩ গিগাহার্জ থেকে ৫ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭৩৫এইচএস' যার ক্লকস্পিড ৩.২ গিগাহার্জ থেকে ৪.৭৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৫৩৫এইচএস' যার ক্লকস্পিড ৩.৩ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫৫ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৭ গিগাহার্জ থেকে ৪.৭৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৫৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৯ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫৫ গিগাহার্জ,


৪ কোর ৮ থ্রেডের 'রাইজেন থ্রি ৭৩৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ৩ গিগাহার্জ থেকে ৪.৩ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৭ গিগাহার্জ থেকে ৪.৭৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৫৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৯ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫৫ গিগাহার্জ,
৪ কোর ৮ থ্রেডের 'রাইজেন থ্রি ৭৩৩৫ইউ' যার ক্লকস্পিড ৩ গিগাহার্জ থেকে ৪.৩ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন ৭৭৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ ৭৫৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন থ্রি ৭৩৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৩ গিগাহার্জ থেকে ৪.৩ গিগাহার্জ,
৮ কোর ১৬ থ্রেডের 'রাইজেন সেভেন প্রো ৭৭৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন ফাইভ প্রো ৭৫৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২ গিগাহার্জ থেকে ৪.৫ গিগাহার্জ,
৬ কোর ১২ থ্রেডের 'রাইজেন থ্রি প্রো ৭৩৩০ইউ' যার ক্লকস্পিড ২.৩ গিগাহার্জ থেকে ৪.৩ গিগাহার্জ

এই প্রসেসরগুলো ১৫ থেকে ৪৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং প্রসেসরগুলো ইতোমধ্যেই বাজারজাত শুরু হয়েছে।

কেবল প্রসেসরই নয়, ল্যাপটপের জন্য 'আরডিএনএ থ্রি' আর্কিটেকচারে 'আরএক্স ৭০০০' সিরিজের নতুন দুটি হাই প্রোফাইল ও দুটি লো প্রোফাইল মোট চারটি গ্রাফিক্স কার্ড প্রস্তুত করেছে এএমডি। এগুলো হচ্ছে গেমিং ল্যাপটপের জন্য 'আরএক্স ৭৬০০এম এক্সটি''আরএক্স ৭৬০০এম' এবং বেসিক ল্যাপটপের জন্য 'আরএক্স ৭৭০০এস''আরএক্স ৭৬০০এস'। সবগুলো গ্রাফিক্স কার্ডই ৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও জিডিডিআর সিক্স।

ইন্টেল ও এএমডি দুটো কোম্পানিই তাদের নতুন হাতিয়ার বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় পারফরম্যান্স ও ভোক্তা সন্তুষ্টির দৌড়ে কে এগিয়ে থাকে।

/এএস

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার