সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে স্মার্ট পোর্টসল্যুশন
বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াকে স্মার্ট, নিরাপদ ও আরও কার্যকরী করে তুলতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ও ফোর এল অটোনমাস ড্রাইভিং ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি, স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব বন্দর তৈরির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে চীনের তিয়ানজিন পোর্ট গ্রুপ (টিপিজি) একটি স্মার্ট টার্মিনাল নির্মাণ করেছে।
চীনের তিয়ানজিন বন্দরে অত্তিরিক্ত চাপ ও বন্দর ব্যবস্থাপনার জটিলতার কারণে এই বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যার সমাধানে এই বন্দরকে একটি বন্দরে পরিণত করার এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বি-ডউ (BeiDou) নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমের সাহায্যে তিয়ানজিন বন্দরে কনটেইনার ট্রাকগুলো লকিং/আনলকিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি এখন খুব সহজেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
এই ইন্টেলিজেন্ট ও ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে প্রতিটি ক্রেন ঘন্টায় ৩৯টি কন্টেইনার সরানোর কাজ সম্পূর্ণ করতে পারছে। এতে ক্রেনের সক্ষমতা গড়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে তিয়ানজিন বন্দরে প্রতিটি কন্টেইনার সরানোর জন্য ২০ শতাংশ কম জ্বালানি কম খরচ হচ্ছে এবং সর্বোপরি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্মার্ট বন্দরের সম্ভাবনা নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে স্মার্ট পোর্ট ও টার্মিনাল গড়ে তোলা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে স্মার্ট পোর্টে পরিণত করতে পারলে তিয়ানজিনের মতোই এই বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেগুলো দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিয়ানজিন পোর্ট চীনে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা বন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম। তা ছাড়া, ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই বন্দরের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা আছে।
এই বন্দরে ২২ মিটার গভীরতাসহ ৩০০০০০ টন-ক্লাস জেটি আছে। ২০২১ সালে মোট কার্গোর পরিমাণের (৪৩৫ মিলিয়ন টন) বিবেচনায় এই বন্দর বিশ্বে নবম এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিংইয়ের (১৮.৩৫ মিলিয়ন টিইইউ) দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে ছিল।
এমএমএ/