পদত্যাগ করেছেন মেটা ইন্ডিয়ার প্রধান অভিজিৎ মোহন
‘মেটা’ আগে ছিল ফেসবুকের পরিচলন কম্পানি। ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন আলাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়েছে।
এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, মেটার ভারত প্রধান অভিজিৎ মোহন প্রতিদ্বদ্বী সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপ ইনকরপোরেশনে যোগদান করবেন। তবে খবরটি এখনো নিশ্চিত হওয়া বাকি।
গতকাল ৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, মেটা ঘোষণা করেছে, দেশটিতে তাদের প্রধান অভিজিৎ মোহন পদত্যাগ করেছেন অন্য একটি সুযোগ নিয়ে নেবার জন্য।
অভিজিৎ মোহন মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সর্বময় কর্তা-ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে আসীন হন ২০১৯ সালের শুরুতে। আজতক মানে প্রায় চারটি বছর মেটাকে ভারতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এর আগে তিনি ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হটস্টার’র সিওই পদে কাজ করেছেন।
মেটায় উমাং বেদীর চলে যাবার পর তিনি এমডি হবার আগে পর্যন্ত পদটি প্রায় বছর খালি ছিল।
গ্লোবাল বিজনেস গ্রুপ মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা ম্যান্ডেলসেন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেটার বাইরের আরেকটি কম্পানিতে অন্য একটি সুযোগ নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য অভিজিৎ তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রায় চার বছর আমাদের প্রতিষ্ঠানটির ভারতে কাঠামো প্রদান এবং শীর্ষে আরোহণ করার জন্য তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যাতে কোটি, কোটি ভারতীয়, ব্যবসায়ী ও অংশীদারদের সেবা করা সম্ভব হয়।’
ম্যান্ডেলসেন আরো বলেছেন, ‘আবারও বলছি, আমরা গভীরভাবে ভারতের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী নেতৃত্বদানের দল রয়েছে। সেখানে তারা সকল কাজ ও অশীদারিত্ব বহন করে চলেছেন।’
ম্যান্ডেলসেন শেষে জানিয়েছেন, ‘আমরা অভিজিৎ মোহনের কাছে তার নেতৃত্বদান ও অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ। তার ভবিষ্যতের সবচেয়ে ভালোর জন্য আমরা প্রার্থনা করি।’
তবে অভিজিৎ মোহনের কর্মের অন্যদিকও আছে। তার মেয়াদকালে কয়েকটি বিতর্ক সামলাতে হয়েছে মেটাকে। সেগুলোর মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষে কাজ করতে কার্যত নিভরশীল হয়ে গিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেটা।
এর আগে ভারতীয় নীতি বিভাগের প্রধান অখিল দাসকে বিতর্কের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দিতে হয়েছে।