শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিচ্ছে ফাইভজি

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু’র মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) ব্যাংককে হুয়াওয়ের ১৩তম গ্লোবাল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম (এমবিবিএফ) শুরু হয়েছে।

বক্তব্যের শুরুতে কেন হু বলেন, মোবাইল প্রযুক্তির আগের যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় ফাইভজি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মাত্র তিন বছরে নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, গ্রাহক সেবা ও শিল্প খাতে এর ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফাইভজি দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং ফাইভজির এই অগ্রগতির জন্য আমাদের সবার গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। ফাইভজি নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি ব্যবহার করতে হলে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে এবং ক্লাউড ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের মতো সেবার পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা সবাই মিলে ফাইভজি নেটওয়ার্ক, অ্যাপ্লিকেশন ও সর্বোপরি এই খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হব।

চলতি অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২৩০টিরও বেশি ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি সেবা চালু করেছে। সব মিলিয়ে এই খাতে ৭০ কোটির বেশি গ্রাহকদের জন্য ৩০ লাখের বেশি ফাইভজি বেইজ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ খাতে বেশিরভাগ ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানের মূল রাজস্ব আয় হয় গ্রাহক সেবা থেকে। সব জায়গায় ফাইভজির বিস্তৃতির মাধ্যমে সার্বজনীন অভিজ্ঞতা গ্রাহকদের চাহিদা পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি হাই-ডেফিনেশনের ভিডিও ট্রাফিক বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে। মোবাইলের যেসব নতুন অ্যাপ্লিকেশন ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নত স্পিড ও লোয়ার লেটেন্সি সুবিধা কাজে লাগিয়েছে সেসব অ্যাপ্লিকেশনে গড় ইউজার ডেটা কনসাম্পশন (ডিওইউ) দ্বিগুণ হয়েছে। যা গড় রেভিনিউ পার ইউজার (এআরপিইউ) ২০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কানেক্টিভিটি থেকে প্রাপ্ত ক্যারিয়ার রেভিনিউয়ের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের রাজস্বের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিটুবিতে (বিজনেস-টু-বিজনেস) ফাইভজির ব্যবহার। যা তেল-গ্যাস, উৎপাদন এবং যোগাযোগ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

এসব অ্যাপ্লিকেশন শুধুমাত্র উদ্ভাবনীয় নয়, পাশাপাশি ক্যারিয়ারের জন্য বাণিজ্যিক মূল্যবৃদ্ধি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২১ সালে চীনা ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ হাজারেরও বেশি ফাইভজি প্রকল্প থেকে ৩.৪ বিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান (প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নতুন রাজস্ব আয় করেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই প্রকল্পগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট ডেটা ও আইসিটি সেবা খাতের চেয়ে ১০ গুণ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।

বিটুবিতে ফাইভজির ব্যবহারকে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে দ্রুতবর্ধনশীল রেভিনিউ খাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নতুন নতুন সেবা, অ্যাপ্লিকেশন ও বিজনেস মডেল প্রতিষ্ঠা করছে ফাইভজি, যা এই খাতে সুযোগ বৃদ্ধির উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু এ বিষয়ে বলেন, এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে নেটওয়ার্ক তৈরি করা

কভারেজ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, নেটওয়ার্ক এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা বিভিন্ন রকম ব্যবহারকারীর জন্য সর্বোচ্চ সেবা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চীনা ক্যারিয়ারগুলো প্রথম ইনপুট দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করা ৫০ শতাংশ ও ফ্রেম ফ্রিজ হয়ে যাওয়া ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার মাধ্যমে টিকটক ও অন্যান্য জনপ্রিয় ভিডিও সার্ভিসের নেটওয়ার্ককে অপটিমাইজ করেছে। চমৎকার ভিডিও অভিজ্ঞতা ফাইভজি সেবার দিকে নতুন ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করেছে এবং ভিডিও দেখার হারকে দ্বিগুণ করেছে।

৫.৫জি বিকাশের দিকে যাত্রা

ফাইভজি সেবাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে ক্যারিয়ার ও এই খাতের সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। ফাইভজি প্রযুক্তির বিবর্তন হিসেবে ৫.৫জি’র চারটি ফিচার প্রস্তাব করেছে হুয়াওয়ে। সেগুলো হলো- ১০ জিবিপিএস ডাউনলিঙ্ক, ১ জিবিপিএস আপলিঙ্ক, ১০০ বিলিয়ন সংযোগে সহায়তা এবং নেটিভ ইন্টেলিজেন্স।

কেন হু বলেন, মানদণ্ড নির্ধারণ, তরঙ্গ প্রস্তুত করা এবং ইকোসিস্টেম তৈরি করার ক্ষেত্রে এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ফাইভজি পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে সেবার উদ্ভাবন

বিশাল ব্যান্ডউইথ ও কম লেটেন্সির কারণে ক্লাউড ও এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সঙ্গে ফাইভজি’র সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সেবার খাত তৈরি করা সম্ভব হবে। এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এক্সআর), ক্লাউড গেমিং, গ্রাহকদের জন্য উন্নত কল সেবা এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সল্যুশনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ উদ্যোগ নিশ্চিত করার মতো নতুন নতুন অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম হবে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো। এই বিষয়গুলো নতুন আয়ের খাত তৈরি, কানেক্টিভিটির বাইরেও ক্যারিয়ারের জন্য সুযোগ তৈরি এবং ক্লাউড সেবা ও সিস্টেম ইন্টেগ্রেশনের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে গতিশীল করবে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি ডিজিটালাইজেশন। ডিজিটাল রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ফাইভজি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। কিন্তু এসব বিষয়ের বেশিরভাগ অর্জন করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এ বিষয়ে কেন হু বলেন, আমরা যদি একযোগে কাজ করি তাহলে ফাইভজি নেটওয়ার্ক, অ্যাপ্লিকেশন এবং সব মিলিয়ে এই খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হব।

জিএসএমএ ও জিটিআই’ এর মতো ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারদের সহযোগিতায় হুয়াওয়ে গ্লোবাল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২২ আয়োজন করে। বার্ষিক এই ফোরামে ফাইভজি’র বাণিজ্যিক সফলতা এবং গ্রিন ডেভেলপমেন্ট, ইন্টেলিজেন্স ও ফাইভজির বিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার, এ খাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং ইকোসিস্টেমের অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এসজি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত