এবার বিল গেটস

এই বিশ্বের সবাই জানেন, বিল গেটসের জীবনের এই ঘটনা যে, তিনি হার্ভার্ড থেকে ড্রপ আউট। এই দিকটিকে তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বলে তাকে তুমুল প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করেন ও অন্যদের তেমন হতে বলেন। তিনিই হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তবে আপনি কী জানেন, তার মাইক্রোসফটের আসল বা মূল দপ্তরটি কোথায়? তার প্রথম পণ্যটির নাম কী? তার জীবন ও কর্মের কটি চুম্বক-
মিটস অ্যালটার ৮৮০০
এই কম্পিউটারই হলো বিশ্বের ডেক্সটপ কম্পিউটারের শুরু। বেরিয়েছে ১৯৭৫ সালে। তাদের লক্ষ্য ছিল, মানুষ শখ করে কিনবেন। সেখানেই মাইক্রোসফটের প্রথম পণ্য অ্যালটার বেসিক বেরিয়েছে।
অ্যালবেককি গ্রুপ
১১জন প্রথম দিকের মাইক্রোসফটের কর্মীদের ঠিকানা। ১৯৭৮ সালে এই অফিস গড়েছেন তাদের বস বিল গেটস। ঠিকানাটি হলো অ্যালবেককি এন.এম.। আছে নিউ ম্যাক্সিকোতে।
বড় ব্রেক
বিল গেটস ও পল অ্যালেন কম্পিউটার দিয়ে ঘেরা। ১৯৮১ সালের ছবি। তারা তখন এর কিছুক্ষণ আগে আইবিএমের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করে এসেছেন। তাদের নতুন পিসিগুলোতে তারা লেখার জন্য সফটওয়্যার দেবেন।
পাবলিক লিমিটেড হলো মাইক্রোসফট
প্রতিষ্ঠানটি এই পথে এলো ১৯৮৬ সালে। ১১ বছর আগে বন্ধু পল অ্যালেনের সঙ্গে গেটস গড়েছেন তার ভুবন। যেদিন তারা স্টক মার্কেটে এলেন তখন বিল গেটস এই প্রতিষ্ঠানের ৪৫ ভাগ শেয়ারের মালিক, তাকে এই ফোবর্স আমেরিকানদের মধ্যে প্রথম সেরা ধনীদের কাতারের মানুষ হিসেবে পরিগণিত করলো, তার সম্পদের মোট মূল্য হলো ৩শ ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একজন বিলিয়নিয়ার জন্মালেন
পরের বছর তাই হলেন তিনি। ১৯৮৭ সালে তার সম্পদের হিসাব করলো ফোবর্স ১.২৫ বিলিয়ন।
মেলিন্ডাকে বিয়ে করলেন
নিজের দোদুল্যমান ব্যাচেলর জীবন উপভোগ করে যাচ্ছিলেন বিল গেটস, যতদিন না তার মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চের সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনি তারই মাইক্রোসফটে একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। তারা দুজনে ১৯৯৪ সালে বিয়ে করলেন এবং তাদের তিনজন সন্তান আছে। তারা হলেন জেনেফার, রোরি ও ফিবি। তার স্ত্রী (এখন সাবেক) সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি ‘দি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের স্বাস্থ্যগত উন্নয়নে কাজ করে। মেলিন্ডা এছাড়াও ওয়াশিংটন পোস্ট করপোরেশনের একজন পরিচালক।
