এসআরবিডিতে চ্যাম্পিয়ন বুয়েটের সাব্বির
বাংলাদেশি ছাত্র, ছাত্রীদের প্রবলেম সলভিং বা সমস্যা সমাধান ও গবেষণা দক্ষতা বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি)’ তৃতীয়বার কোডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
এসআরবিডিতে ৬৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১ হাজার ৬০৮ জন প্রবলেম সলভার ও গবেষক অংশ নিয়েছেন।
প্রতিযোগিতাটি তিনটি রাউন্ডে হয়েছে।
অনলাইনে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করেছেন।
চলতি বছরের ১৬ আগস্টে শেষ হওয়া প্রথম রাউন্ড শেষে ৩৪৮ জন প্রবলেম সলভার দ্বিতীয় রাউন্ডের উত্তীর্ণ হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা হয়েছে ৫০ জন প্রতিযোগী।
তারা চূড়ান্ত রাউন্ডে গিয়েছেন।
ফাইনাল রাউন্ডে ১০ জন সেরা প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রথম থেকে তৃতীয় রাউন্ডের বিজয়ীরা সার্টিফিকেট লাভ করেছেন।
‘স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি) ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন বুয়েটের ছাত্র সাব্বির রহমান।
তাদের হাতে পুরস্কার ল্যাপটপ, নগদ পুরষ্কার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, এসআরবিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ানমো খু, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “বাংলাদেশে ছাত্র, ছাত্রীদের মেধাবিকাশে এবং প্রবলেম সলভিং কালচার বা সমস্যা সমাধানের সংস্কৃতি তৈরিতে আপনারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের যাত্রা ও এসআরবিডির উদ্বোধন একই সময়ে অর্থাৎ ২০১০।’
জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, “আজ ‘স্যামসাং রিসাচ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি)’ আমাদের অন্যতম সর্ববৃহৎ উদ্ভাবনী ইনস্টিটিউট ও মেধা বিকাশের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এসআরবিডি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের বিকাশের চলমান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করি; যেন ছেলে, মেয়েরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নিজেদের বিকশিত করতে পারে ও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকেও অত্যন্ত উন্নতি লাভ করেছে।’
এই প্রতিযোগিতা সফলভাবে হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ‘এসআরবিডি’ প্রধান ওয়ানমো খু।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশি তরুণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী ও প্রবলেম সলভারদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তারা তাদের দক্ষতা চর্চার জন্য এসআরবিডি’র মতো ইনস্টিটিউটগুলোর সঠিক পথনির্দেশনা পেয়ে থাকে, তাহলে বৈশ্বিক পরিসরেও তাদের মেধার নৈপুণ্য দেখাতে পারবে।”
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে অনেক মেধাবী বেরিয়ে আসবে। সর্বোপরি বাংলাদেশকে ফোরআইআর এর লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।”
১০ জন সেরা বিজয়ীর হাতে পুরস্কার হিসেবে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন সাব্বির রহমান ৫০ হাজার টাকা, ফার্স্ট রানার-আপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অয়ন শাহরিয়ার ৩০ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় রানার-আপ বুয়েটের ইফতেখার হাকিম কাওসার ২০ হাজার লাভ করেছেন।
সেরা ১০ জনের প্রত্যেককে ‘মেড ইন বাংলাদেশ ল্যাপটপ’ মেধার স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
লেখা ও ছবি : আসিফুল হক চৌধুরী, এশিয়াটিক।
ওএফএস।