‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীতে দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা প্রকাশের ৮ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড, ২০১৪ সালে ভারত এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ডিজিটাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএইচ হল মুক্তমঞ্চে 'এফএইচ হল ডিবেট ক্লাব' আয়োজিত ত্রয়োদশ জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বিপ্লব কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের দেশে রূপান্তর করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি যান্ত্রিক কিন্তু পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে বলে এটি মানবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে মানব সম্পদ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়ন করবে বলে জানান মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। প্রযুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে না নিয়ে প্রযুক্তির ভালো দিক গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডে চলে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্ন সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট আমরা বন্ধ করেছি। প্রযুক্তির দক্ষতা আমাদের সংকট নিরসনে কাজ করবে।
মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক নেতৃত্বের পতাকা বহন করছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্তগুলো অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার শতশত বছর অতীতের পশ্চাদপদতা অপসারণ করে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশের ভিত্তি রচিত হয়। তিনি কম্পিউটারের উপর ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেন। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল এবং অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান ও ডিভেড ক্লাবের নেতারা বক্তৃতা করেন।
এসজি