শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অনলাইনে কোনো কিছু ডিলিট হয় না?

বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, তাদের ডিজিটাল জীবনে যে, তারা ইন্টারনেটে তাদের দেওয়া পোস্টগুলো ডিলিট করে দিতে পারেন। তারা পছন্দের যেকোনো সার্ভিসে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ম্যাসেজগুলো পরিষ্কার করতে পারেন। তবে তাদের এই মনের আনন্দকে এই সপ্তাহে একটি টেকনোলজি শুনানি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

পাইটার সি জাটকো, যিনি ‘মার্জ’ নামে বহুল পরিচিত, টুইটারের সাবেক সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান, মার্কিন সিনেটের একটি কমিটিকে বলেছেন মঙ্গলবার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিশ্বস্তভাবে যে ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টগুলো ক্যানসেল করেছেন সেই তথ্যগুলোকে তারা মুছে দিতে পারে না। আকস্মিকভাবে প্রথম ফাঁসকারী হিসেবে একটি শুনানীর বিশদ বিবরণের সময় তিনি এই তথ্যটি দিয়েছেন।

সেই সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করেছে সিএনএন আর গেল মাসে ছাপিয়েছে দি ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্জ সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে টুইটারে তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ে স্বাক্ষ্যদানের সময় বলেছেন, টুইটার বিশ্বস্তভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্যগুলো ডিলিট বা মুছে ফেলতে পারে না কোনো, কোনো ক্ষেত্রে। এর কারণ হলো, তারা তথ্য অনুসরণের পথটি শেষ পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে।

মার্জের এই অভিযোগগুলোর বিপক্ষে টুইটার ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করেছে। বলেছে, তার ফাঁস করা বিষয়গুলোতে রঙ মাখানো হচ্ছে ও কম্পানির বিষয়ে একটি মিথ্যা বিবরণ প্রদান করছেন তিনি।

সিএনএনের এই বিষয়ের প্রশ্নগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি সাড়া দিয়েছে। তারা বলেছেন, তাদের একটি ডিলিট কর্মপ্রক্রিয়া আছে এবং নিজস্ব কর্মধারায় তারা একটি জায়গা থেকে কাজ করেন। তবে সাধারণত তারা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন কী না এই বিষয়ে বলেননি।

যখন মার্জের অভিযোগগুলো সবাইকে আশ্চর্য করে চলেছে, সান্ড্রা ম্যাটসের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের তথ্যগুলো অনলাইনে শেয়ার করি। বলেছিলেন, ‘এটি খুব সামান্য শব্দ করে। তবে যখন আপনি সেখানে তথ্য রাখবেন, কখনো আশা করবেন না এই তথ্যগুলো আর ব্যক্তিগত থাকবে।’ ম্যাটস একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গবেষক ও কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের একজন অধ্যাপক।

‘ইন্টারনেট থেকে কোনোকিছু প্রত্যাহার করতে রিসেট বাটনে আঘাত করা হলেও সেটি প্রায় অসম্ভব’, তিনি বলেছেন। আমাদের তথ্যগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজি ধরলেও এবং আমাদের সেটি ডিলিট করার ক্ষমতা আছে বলে আত্মবিশ্বাস থাকলেও এ বিষয়ে কোনোদিনও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর আগে কোনো শুনানি হয়নি।

এই বিষয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন সবাই মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ‘রো ভার্সেস ওয়েড’ মামলায় উল্টো রায় দেওয়ার ফলে জুন মাসে। এখন সেখানে এই ধরণের ইতিহাসগুলো নিয়ে আলাপ ও কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা তৈরি হয়েছে।

এমনও বলা হয়েছে, লোকেশন ডাটা, এসএমএস বা টেক্সট ম্যাসেজসহ আরো অনেকগুলো সুবিধা কাজ করে সেই মানুষগুলোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য, যারা অনলাইনে তথ্যগুলো বাতিল করে দেওয়ার সুযোগগুলোর তথ্য জানতে চান।

এর মধ্যে জুলাই মাসে ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটা কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণের দিকে ধাবিত হয়েছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানো এবং নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের একজন কিশোর ও তার মায়ের বিপক্ষে একটি বেআইনি কাজের মামলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যবহার করায়। তবে সেখানে কোনো ইঙ্গিত ছিল না যে, কোনো একটি ম্যাসেজ আগে ডিলিট করা হয়েছিল কী না।

ফলে ম্যাসেজ ডিলিটের সাধারণ ব্যবহারকারীদের সুবিধার প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে।

টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ের গবেষক রবি সেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য গ্রুপগুলোকে এই বিষয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট বা বিশেষ ক্ষেত্রে ঠিক ধরণের টুলগুলো ব্যবহার করার সুযোগ থাকলে এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হলে কোনো, কোনো ক্ষেত্রে ডিলিট করা তথ্যগুলো উদ্ধার করা যায়।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেক মানুষ জানেন না তাদের তথ্যটি কোথায় গিয়ে থামে সেই প্রক্রিয়াটিই। যেকোনো পোস্ট সেটি একটি ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কমেন্ট বা ডিলিট করা ম্যাসেজ সাধারণত ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সেইভ হয়ে যায়। থাকে সেভাবে গ্রহণকারীর ডিভাইসে এবং কম্পানিটির সার্ভারে, যাদের প্ল্যাটফর্ম আপনি ব্যবহার করেন। আদর্শগতভাবে যে ব্যবহারকারী কনটেন্টটি তৈরি করলেন, তিনি যদি সেটি ডিলিট করেন, তাহলে এই তিনটি স্থান থেকে সেটি চলে যাবার কথা। তবে সাধারণত তত সহজে সেটি হয় না। আপনি যদি কম্পানিটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন এবং তাদের সার্ভারগুলো থেকে আপনার তথ্যটি ডিলিট করতে বলেন, তাহলে সেটি অবশ্যই ঘটতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যায় না।’

ফলে আপনার অনলাইন তথ্যকে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যে প্রাথমিক অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা, যারা একের পর এক তথ্যকে জোড়া লাগানোর কাজ করে বা তথ্যভিত্তিক অ্যাপস হিসেবে ব্যবহৃত হয়-এই কথাটি বলেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো বলেছেন, আরেকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ক্লাউড ব্যাকআপ সেটিংসকে ম্যানেজ করা। তাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কোনো জায়গায় ব্যবহার করা হবে না নিশ্চিত করা।

মার্জ বলেছেন, ‘তবে যখন কোনো একজন ব্যবহারকারীর সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাই শেষ সীমায় এসে পৌঁছায়, আপনি কোনো কিছু অনলাইনে দিলে তখন আসলে আপনার নিয়ন্ত্রণ হারালেন। এখন টুইটার এখন পোস্টগুলোকে ডিলিট করে বা আপনি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলেন, এর মধ্যেই কোনো একজন কোথাও আপনার পোস্টটি কপি করলেন হয়ে যেতে পারে।’

ম্যাটস এজন্য সুপারিশ করেছেন, মানুষকে বড় টেকনোলজিভিত্তিক প্লাটফর্মগুলোতে কোনো কিছু শেয়ার করার সময় আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে। তিনি মনে করেন, অনলাইনে মোটের ওপর সতর্কভাবে চলতে হবে। শেষে বলেছেন, ‘কেবল ধারণা করা যায় যে, আপনি সেখানে যা কিছু রাখলেন, অন্যের দ্বারা ব্যবহার হতে পারে, অনন্তকাল সেখানে থাকতে পারে।’

(সিএনএন অবলম্বনে)

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত