আয়ারল্যান্ডে ইনস্ট্রাগ্রামকে ৪শ ৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা
শিশুদের তথ্য গোপনীয়তায় ব্যর্থ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ইনস্ট্রাগ্রাম’কে ৪শ ৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
বিশ্বের প্রধান তিনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটিতে আইরিশ বা আয়ারল্যান্ডের সরকারী নিয়ন্ত্রকরা তাদের শিশুদের গোপনীয়তা লংঘনের জন্য এই বিপুল অথ জরিমানা করেছেন।
দীর্ঘকাল ধরে চলা অভিযোগটি সম্পর্কিত পুরোপুরিভাবে শিশুদের তথ্য বিষয়ে-নির্দিষ্টভাবে তাদের মোবাইল নম্বরগুলো ও ই-মেইল ঠিকানাগুলো।
আগে প্রকাশিত কিছু খবরে, উন্নয়ন করা হয়েছিল ব্যাবসা অ্যাকাউন্টগুলো বিশ্লেষণ টুলগুলোর প্রবেশগম্যতা যুক্ত করার মাধ্যমে, তাতে প্রোফাইলে বেড়ানো বা দেখার সুযোগ আছে।
তবে তাতে অনুভব করা হয়নি যে তাদের তথ্য, উপাত্তগুলো আরো বেশি মানুষের কাছে দেখার সুযোগ তৈরি করা হলো।
ইনস্ট্রাগ্রামের মালিক বা মার্তৃপ্রতিষ্ঠান মেটা বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করার পরিকল্পনাগুলো করছেন।
ইনস্ট্রাগ্রামকে তৃতীয় দফায় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জরিমানা করলো।
সর্বশেষ জরিমানার বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের ডাটা কমিশনার (ডিপিসি) জানিয়েছে, `শেষ শুক্রবার আমরা আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অভিযোজন করেছি এবং তাদের ৪শ ৫ মিলিয়ন ইউরো বা বর্তমান মূল্যে ৩শ ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।'
বিবিসিকে একজন মেটার কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই অনুসন্ধান জোর দিয়েছে আমাদের পুরোনো সেটিংসের ওপর, যেগুলো অমরা একটি বছর আগেই উন্নয়ন করেছি এবং সেই থেকে আমরা অনেকগুলো খবর, ফিচার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারেও প্রকাশ করেছি। সেখানে আমরা বলেছি, তাতে শিশুদের নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবো আমরা এবং তাদের তথ্যগুলো ব্যক্তিগত রাখতে সাহায্য করা হবে।’
‘১৮ বছরের নীচে যেকোনো বয়সের ও লিঙ্গের মানুষকে স্বাভাবিকভাবে তাদের অ্যাকাউন্টকে প্রাইভেট আকারে ইনস্ট্রাগ্রামে রাখতে হয় নিয়মানুসারে। ফলে একমাত্র যারা তাদের চেনেন ও যুক্ত থাকেন, তারাই তাদের পোস্টগুলো দেখতে পারেন। এছাড়াও পূর্ণ বয়সীরা তাদের যারা অনুসরণ করতে পারেন না, তারা কেউ তাদের ম্যাসেজগুলোও দেখতে পারেন না।’
“আমরা ডিপিসি’র অনুসন্ধানের পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রথম থেকে পূর্ণভাবে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা তারা যেভাবে হিসাব করে এই জরিমানা করেছেন ও যে উদ্দেশ্যে একে বাস্তবায়ন করতে চাইছেন, সেগুলোর সঙ্গে অমত পোষণ করছি।”
‘আমরা এই সিদ্ধান্তের বাকি অংশ অত্যন্ত সাবধানে পুণ:বিবেচনা করে চলেছি।’
ডিপিসির নিয়ন্ত্রকরা দি রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডে ইউরোপীয়ান সদর দপ্তর তৈরি করেছেন বিরাট প্রাযুক্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর।
দি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ তথ্য নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি তাদের একটি শাখাকে এর আগে কখনো এত বেশি টাকার জরিমানা করেনি।
গেল বছর তারা জরিমানা করেছেন হোয়াটস অ্যাপকে ২২৫ মিলিয়ন ইউরো। তখন লুক্সেমবার্গ তথ্য কর্তৃপক্ষ (দি লুক্সেমবার্গ ডাটা অথরিটি) জরিমানা করেছে আমাজনকে রেকর্ড ৭৪৬ মিলিয়ন ইউরো। এটিই আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টাকার কোনো অনলাইন সেবা প্রতিষ্ঠানের জরিমানা।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফর দি প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলিটি টু চিলড্রেন (এনএসপিসি)’র চাইল্ড সেইফটি-অনলাইন পলিসি বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি বারোজ ইনস্ট্রাগ্রামের এই জরিমানা বিষয়ে বলেছেন, ‘এটি ছিল একটি প্রধান শাখা, যাদের ছিল নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ঢালগুলো, বাস্তবায়নগুলোর ক্ষেত্রে। তাদের ক্ষেত্রে জরিমানা কার্যকর কারণ আছে, এগুলো সত্যিকারভাবে শিশুদের ইনস্ট্রাগ্রাম ব্যবহারে ক্ষতি করেছে।’
‘ক্ষমতাসীন ব্যবহারিক প্রমাণে আমরা দেখিয়েছি, কীভাবে কার্যকর হয়ে প্রয়োগকালে শিশুদের রক্ষা করতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এবং দাগ দিতে পারে নিয়মে। এর ফলে এর মধ্যে শিশুদের আরো নিরাপদভাবে অনলাইন ব্যবহার এর মধ্যে কাজ করতে শুরু করছে।'
‘এর মধ্যে খবরটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। ফলে তিনি তাদের শিশুদের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্ভাব্য নিরাপত্তাগুলো প্রদানের অঙ্গীকার অনলাইন সেফটি বিল' পরিপূর্ণভাবে প্রদান ও দেরি না করে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।’
ওএফএস।