ভিশন-২০৪১’র পরিকল্পনা ল্যাবের গল্প
‘ভিশন-২০৪১: স্মার্ট আইসিটি ডিভিশন’ মহা-পরিকল্পনা, রোড ম্যাপ ডিজাইনের জন্য ‘পরিকল্পনা ল্যাব’ সম্পন্ন হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরি করতে সরকার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমিক সিস্টেম, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ই-গর্ভমেন্ট তৈরি করছে।
এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেট, এটু-আই ও স্টার্ট আপ বাংলাদেশের ৮টি দপ্তর এবং সংস্থার প্রধানরা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।
তাদের অধীনস্থ দপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞসহ মোট ৭৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা তাদের মিশন নির্ধারণ করেছেন, আগামীর লক্ষ্যগুলো আলোচনা করেছেন ও সে অনুসারে ডিজাইন সম্পন্ন করেছেন।
ভিশনের আওতায় ১৯৭টি উদ্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে।
মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করতে ২০২৩ সালের মধ্যে দ্রুত, ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ধারাবাহিক রোড ম্যাপ ও মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এই অনুসারে বাস্তবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা নতুন মডেল তৈরি করেছেন।
তা অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোর ‘ভিশন ২০৪১’ মাস্টার প্ল্যানের রোড ম্যাপ প্রণয়নে ব্যবহার করা যাবে।
তাদের বছরওয়ারি পারফরমেন্সেও কার্যকর হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে পুরোপুরি অটোমেটেড করে আগামীর ‘স্মার্ট আইসিটি ডিভিশন’ গড়তে ১৭৬টি সফটওয়্যার তৈরি পরিকল্পনা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের জন্য তারা পরিকল্পনা করেছেন।
কর্মশালায় সভাপতি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন. এম. জিয়াউল আলম পি.এ. এ.।
ছয় দিনের পরিকল্পনা ল্যাব পরিচালনা করেছেন এ-টু আইয়ের চিফ ই-গর্ভনেন্স স্ট্যাটিজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ।
‘ভিশন ২০৪১’র মাস্টার প্ল্যান ও ও রোডম্যাপ প্রনয়ণে প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খায়রুল আমিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল, ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক (যুগ্মসচিব) আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের কম্পানি সেক্রেটারি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ. কে. এম. লতিফুল কবির, অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেটের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী ও স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
পরিকল্পনা ল্যাবের শেষ দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন ‘তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী।’
সমাপনী পর্বে তাদের তৈরি করা মাস্টার প্ল্যান ও রোড ম্যাপের সারসংক্ষেপ পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এরপর সেরা মাস্টার প্ল্যান ও রোড ম্যাপগুলোরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রথম হয়েছে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক কার্যালয়।
দ্বিতীয় হয়েছে অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট।
তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক অথরিটির পরিকল্পনা।
ছবি : শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর। ২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা।
ওএফএস।