৬৪ জেলায় একযোগে শুরু হলো ডিজিটাল হাট
দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে শুরু হলো ডিজিটাল কোরবানির হাট। রবিবার (৩ জুলাই) বিকাল ৪টায় এই ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
কোরবানির পশু কেনাবেচায় জনসমাগম ও ভোগান্তি কমাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও অনলাইনে চালু হলো 'ডিজিটাল পশুর হাট'। সকল জেলা ও উপজেলা হতে হাটগুলো প্লাটফর্মের (digitalhaat.gov.bd) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইসিটি বিভাগ, একশপ-এটুআই, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব আয়োজন করেছে এই কেন্দ্রীয় অনলাইন কোরবানি পশুর হাটের। সহযোগিতায় রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)।
উদ্বোধনের পর ডিজিটাল হাট থেকে গরু কেনেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এই কোরবানির মাংস সিলেটের বন্যার্তদের মধ্যে দান করে দেন।
উদ্বোধনের পর শ ম রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় পশু আসত ভারত-মিয়ানমার থেকে। কিন্তু এখন দেশেই বিপুল সংখ্যক পশু আছে। চাহিদার চেয়েও বেশি পশু আছে। পশু পছন্দ না হলেও ফেরত দিতে পারবেন ক্রেতা। ফিন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশনও অনলাইনে হওয়ার কারণে ঝুঁকিও নাই এখন।
মন্ত্রী বলেন, এখন দরকার হলো কেউ যেন প্রতারিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। কেউ প্রতারিত হলে দ্বিতীয়বার কেউ আগ্রহী হবে এখানে সংযুক্ত হতে। কোনো হাছিল নেওয়া যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিজিটাল হাটে পশু বেচাকেনা প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো পরিচালিত ডিজিটাল হাটে ২৭ হাজার পশু বিক্রি হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয় ডিজিটাল হাটে।
ডিজিটাল হাটের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক পশু খামারি যুক্ত হয়েছেন। গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট ও মহিষকে প্রাণীর ক্যাটাগরি হিসেবে ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাপ থেকেও কিনতে পারবেন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি।
ওয়েবসাইটে গ্রহাকের অভিযোগ জানানোরও ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া আছে অনলাইন পেমেন্টে সিস্টেমের সুবিধা।
অনলাইন হাট থেকে পশু কিনে নিয়ে যাওয়া একটি বিরাট সমস্যা। কিন্তু ডিজিটাল হাটের উদ্যোগে পশু শিপমেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া মাংস প্রসেসিং করার জন্য রয়েছে কসাইয়ের ব্যবস্থাও।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, লাইভ হাট থাকবে। ভিডিও কলে পশু দেখা যাব এবং আপডেট দেওয়া হবে প্রতিনিয়ত। ঢাকার বাইরেও চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও যশোরে জবাইসহ সবধরনের সেবা দেওয়া হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এটুআই প্রকল্পের হেড অব ই-কমার্স রেজোয়ানুল হক, ই-ক্যাবের সভাপিতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ইউএনডিপির প্রতিনিধি কাজল চ্যাটার্জি, বিডিএফএ সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের ডিজি হাফিজুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলম, এটুআইয়ে প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।
আরইউ/এমএমএ/