এখনও টুইটার কিনতে আগ্রহী মাস্ক, তবে...
টুইটার কিনতে চেয়েছিলেন ইলন মাস্ক। এজন্য ৪৪০০ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে বাধ সাধলো ফেক বা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট। তাই টুইটার কেনার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রেখেছেন মাস্ক।
শুক্রবার এক টুইটে মাস্ক বলেন, স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট মোট অ্যাকাউন্টের ৫ শতাংশের কম—এই দাবি সমর্থন করে এমন বিবরণ হাতে না আসা পর্যন্ত টুইটার কেনা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
মাস্কের এই ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই টুইটারের দাম ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৩৭ দশমিক ১০ ডলারে নেমেছে। গত এপ্রিল মাসের শুরুতে মাস্ক টুইটার কেনার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন শেয়ারমূল্য। এর আগে টুইটার কেনার জন্য ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫৪ দশমিক ২০ ডলার প্রস্তাব করা হয়।
গত মঙ্গলবার যখন টুইটারের শেয়ারের দাম ৪৬ দশমিক ৭৫ ডলারের নিচে নেমে যায়, তখনই ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত দামে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
টুইটারে কতগুলো ফেক অথবা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে সে সম্পর্কে তিনি এখন খোঁজ-খবর করছেন। গত দু'সপ্তাহ আগে টুইটার জানিয়েছিল যে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মোট ইউজারদের শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম। এটি তাদের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চের হিসাব। এ সময় টুইটার ২২ কোটি ৯০ লাখ ব্যবহারকারীকে বিজ্ঞাপন দেখাত। মাস্ক এখন সেই তথ্য যাচাই করে দেখছেন। টু্ইটার থেকে সব ফেক কিংবা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট দূর করতে চান মাস্ক।
এ বিষয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাস্কের সঙ্গে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েকটি ঝুঁকিতে পড়েছে। একটি হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতারা এতে বিজ্ঞাপন দেওয়া অব্যাহত রাখবেন কি না, তার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এই বিক্রি শেষ পর্যন্ত না ঘটলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে ১০০ কোটি ডলার টুইটারকে দিতে হবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে মাস্ক বলেন, টুইটারের মালিকানা হাতে পাওয়ার পর তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেবেন। তিনি এই প্ল্যাটফর্মের সম্পাদনার বিষয়টিতে পরিবর্তন আনারও ইঙ্গিত দেন।