টুইটারের একক মালিক হলেন ইলন মাস্ক
ইলন মাস্কের ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টুইটারের একক মালিক হলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইলন মাস্ক টুইটারের বিভিন্ন ধরনের নীতির সমালোচক। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে ‘নিরঙ্কুশ বাক স্বাধীনতার প্ল্যাটফর্ম’ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। ইলন মাস্ক প্রস্তাব করেন, বাক স্বাধীনতার জন্য প্রকৃত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে এবং এর পরিসর বাড়াতে টুইটারকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে নেওয়া দরকার।
তার ওই প্রস্তাবের পর টুইটারে নির্বাহী পর্ষদ এটি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। টুইটারের অনেক অংশীদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চুক্তির সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য কোম্পানিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
সোমবারই (২৫ এপ্রিল) মাস্কের প্রস্তাব অনুমোদন করে টুইটার বোর্ড। মাস্কের অধীনে টুইটার একটি প্রাইভেট কোম্পানি হবে।
টুইটার ও মাস্কের প্রতিনিধিরা রবিবার (২৪ এপ্রিল) সারারাত কাজ করে এই চুক্তি চূড়ান্ত করেছেন। টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাস্কের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা আছে, প্রতিটি শেয়ারপিছু ৫৪ দশমিক ২০ ডলার দেবেন মাস্ক। এই বছরের শেষে ডিল ক্লোজ হয়ে যাবে।
গত ১ এপ্রিল টুইটারের নয় শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন মাস্ক। তখন যা দাম ছিল, তার থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি দাম দিচ্ছেন মাস্ক।
স্পেস এক্স ও টেসলার চিফ এক্সিকিউটিভ মাস্ক বলেছেন, ‘স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার হলো গণতন্ত্রের ভিত্তি। টুইটার হলো এমন এক জায়গা, যেখানে মানবিকতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক হয়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি টুইটারকে আরও ভালো করতে চাই। নতুন বিষয় যোগ করতে চাই। মানুষের আস্থা আরও বাড়াতে চাই।’
টুইটার প্রধান পরাগ আগরওয়াল টুইট করে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বে টুইটারের একটা প্রাসঙ্গিকতা আছে, উদ্দেশ্য আছে, প্রভাব আছে। আমি আমার টিমের কাজে গর্বিত।’
কী প্রভাব পড়তে পারে?
মাস্কের দাবি, তিনি টুইটার কিনেছেন স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্থানকে আরও শক্তিশালী করতে। তার মতে, টুইটার প্রাইভেট কোম্পানি হলে মানুষের আস্থা বাড়বে। তিনি কড়াকড়ি কম করার পক্ষে এবং মিথ্যা টুইট বন্ধ করার পক্ষে।
এই চুক্তি ঘোষণার সামান্য আগে মাস্ক টুইট করে বলেছেন, তার অতি বড় সমালোচকও টুইটারের মঞ্চে থাকবেন ও মতপ্রকাশ করবেন বলে তিনি আশা করেন। টুইটারে মাস্কের আট কোটি ৩০ লাখ ফলোয়ার আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি মাস্কের টুইটার কেনাকে স্বাগত জানিয়েছে। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার। ট্রাম্প অবশ্য সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি এখন নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজের মত জানান। তিনি আর টুইটার ব্যবহার করতে আগ্রহী নন।
এসএ/