রহমতগঞ্জকে উড়িয়ে শীর্ষে সাইফ স্পোর্টিং

টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এসেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দুই দলেরই পয়েন্ট ছয় করে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছে ফেডারেশন কাপ রানার আপ রহমতগঞ্জকে। প্রথম ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছিল পুলিশকে। রহমতগঞ্জ প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে।
গত লিগে দুই দল যে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল তাতে করে কেউ জিততে পারেনি। দুইবারই ড্র হয়েছিল। প্রথমে ১-১ গোলে, পরে গোল শূন্য। এবার সাইফের সঙ্গে পাত্তাই পায়নি রহমতগঞ্জ।
জয়-পরাজয়ের মাঝে বড় ব্যকধানের কারণে সাইফ স্পোর্টিং প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। কিন্তু রহমতগঞ্জ সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়েছে। সাইফ এ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল তাদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে জামাল ভূঁইয়া ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি।
এবারের লিগে দুই বড় দল শিরোপা প্রত্যাশি বসুন্ধরা প্রথম ম্যাচেই হেরেছে নবাগত স্বাধীনতা সংঘের কাছে। আরেক শিরোপা প্রত্যাশি চলতি মৌসুমে ডাবল জয়ী আবাহনী দ্বিতীয় ম্যাচে পুলিশের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে। সেখানে সাইফ দ্বিতীয় জয় পেয়েছে দাপটের সঙ্গে। প্রথমার্ধে তারা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। সাইফের পক্ষে ফাহিম, এমেকা ওগবাহ ও মারাজ হোসেন। রহমতগঞ্জের একটি গোল পরিশোধ করেন সানডে চিজোবা।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলার প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত রহমতগঞ্জ। গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের উদ্দেশে করে নাসিরুলের ব্যাক পাসে যথেষ্ট গতি না থাকার কারণে সেই বল দৌড়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন সানডে চিজোবা। কিন্তু তার দুর্বল শট গোলরক্ষক পাপ্পুর হাতে জমা পড়লে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হন পুরান ঢাকার দলটি। সেখানে সাইফ স্পোর্টিং ১৬ মিনিট প্রথম সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। নাসিরের থ্রো পাস ধরে মারাজ হোসেনের বাইলাইন থেকে ক্রস করেন বক্সে। ৩৬ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত রহমতগঞ্জ। কিন্তু ফজলে রাব্বির শট গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন নাসির। ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে সাইফ স্পোর্টিং। একজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করেন নাইজেরিয়ান এমেকা ওগবাহ। সাইফের হয়ে তৃতীয় গোল করেন মারাজ হোসেন। ৬৬ মিনিটে এমেকা ওগবাহর সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে বক্সে ডুকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন মারাজ হোসেন। ৭১ মিনিটে রহমতগঞ্জের হয়ে একটি হোল পরিশোধ করেন সানডে চিজোবা। আজহারের শট রাফির শরীরে লেগে চলে যায় চিজোবার কাছে। বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে তিনি গোল করেন।
এমপি/এমএমএ/
