লাঞ্চে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ২৪২
পেসারদের উপযোগী কন্ডিশন; কিন্তু বাংলাদেশের দুই পেসার তা কাজে লাগাতে পারছিলেন না। দ্বিতীয় দিন যে ৬.২ ওভার খেলা হয়েছিল, সেখানে এবাদত ও খালেদ ছিলেন অনেকটাই এলোমেলো। অবশ্য চতুর্থ দিন এসে তারা যেন নিজেদের ফিরে পেলেন। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বেশ কয়েকবার বিব্রত করেন। উইকেটও তুলে নেন দুটি।
উইকেটে সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান দলপতি বাবর আজম ও আজহার আলী। ৭৬ রানে বাবর আজমকে ফেরান খালেদ। তাকে আউট করে অভিষেকের ৩ বছর পর তৃতীয় টেস্টে এসে পান প্রথম উইকেটের দেখা। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়া বাবর রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা পাননি। আজহার আলীকে ৫৬ রানে ফেরান এবাদত । উইকেটের পেছন থেকে ক্যাচ নেন লিটন দাস। চতুর্থ দিনের শুরুতেই দ্বিতীয় ওভারে আজহার আলীকে শিকার করেন এবাদত। শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন আজহার।
২৭ বলের মাঝে দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে বেশ চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে উইকেটে আসা নতুন দুই ব্যাটসম্যান ফাওয়াদ আলম ও উইকেট কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান সেই চাপ সামলে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। লাঞ্চের সময় পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৪২। ফাওয়াদ ১৯ ও রিজওয়ান ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।
এদিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশের দুই পেসার বেশ ভালোই বল করেছেন। দুই উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়াও তারা বেশ ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। একবার এবাদতের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছিলেন। পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান রিজওয়ান। আবার ব্যক্তিগত ১২ রানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ভুলে বেঁচে যান ফাওয়াদ আলম।
আবার এবাদতের বলে ব্যাট আলতু স্পর্শ করে উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে জমা পড়ে। কিন্তু বল ব্যাটে লাগেনি মনে করে উইকেট কিপার, স্লিপ ফিল্ডার, বোলার কেউই আবেদন করেননি। পরে টিভি রিপ্লের আল্ট্রা-এজে দেখা যায় বল ব্যাট র্স্পশ করেছিল।
এমপি/এসএ/