কোনো রকমে হার এড়াল আবাহনী

হারতে হারতে বেঁচে গেল চলতি মৌসুমে ডাবল জয়ী আবাহনী। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে মাঠ ছাড়ে। আবাহনীর হয়ে দোরিয়েলতন ও পুলিশের হয়ে দেনিলসন রদ্রিগেজ গোল করেন।
২ ম্যাচে আবাহনী হারাল প্রথম পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে। পুলিশ পেল প্রথম পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচে তারা সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে।
এবারের লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস হার দিয়ে মৌসুম শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো রকমে পার পায়। আজকের ম্যাচে আবাহনী যেমন যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ড্র করতে পেরেছে, বসুন্ধরা দ্বিতীয় ম্যাচে একইভাবে যোগ করা সময় গোল করে ম্যাচ জিতেছিল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আবাহনীর পয়েন্ট খুয়ানো ছিল দুভার্গ্যজনক। একাধিক সুযোগ নষ্ট করার পাশাপাশি পেনাল্টি থেকেও গোল করতে পারেনি। পুলিশও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে। খেলার প্রথম সুযোগ পায় পুলিশ। ১৪ মিনিটে আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল ইসলামের ভুলে গোল হজম করতে যাচ্ছিল ধানমন্ডির ক্লাবটি।
সতীর্থ একজন খেলোয়াড়ের উদ্দেশে তার শট নেয়ার সময় সামনে দাঁড়ানো পুলিশের আফগানিস্তানের স্ট্রাইকার আমিরউদ্দিন শরিফি পা বাড়িয়ে দেন। এতে করে বল তার পায়ে লেগে বাইরে দিয়ে চলে গেলে আবাহনী রক্ষা পায়।
২৩তম মিনিটে আবাহনী প্রথম সুযোগ পায়। কলিনদ্রেসের ফ্রি কিক থেকে মিলাদ শেখ সোলেমানির হেড পুলিশের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল প্রতিহত করেন। এরপর কলিনদ্রেস ও দোরিয়েলতন সুযোগ নষ্ট করার পর আবাহনী পেনাল্টি পায়। কিন্তু সেটিও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। ৪২ মিনিটে বক্সের ভেতর জুয়েল রানাকে পুলিশের আকিব রহমান ফাউল করলে আবাহনী পেনাল্টি পায়। কিন্তু দোরিয়েলসনের নেওয়া শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর প্রথম দিকেই পুলিশের ইসানুর রহমানের হেড আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল ফিরিয়ে দেন। ৫১তম মিনিটে ফয়সালের ক্রস থেকে দোরিয়েলতন নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েও অবিশ্বাস্যভাবে পোষ্টের বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে নিজেই হেসে উঠেন। ৬৭তম মিনিটে আবাহনীর জুয়েলের হেড জালে প্রবেশ করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ৭৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় পুলিশ। ইসানুরের ক্রস থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দেনিলসন রদ্রিগেজের বুলেট গতির শট আবাহনীর জাল কাঁপিয়ে দেয় (১-০)। এরপর আর কোনো দলই সে রকম সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আবাহনীর হারও এক প্রকার লেখা হয়ে যায়। এ সময় চতুর্থ রেফারি যোগ করা সময় দেখান ৮ মিনিট। এতে করে আবাহনীর সম্ভাবনা কিছুটা আবার জেগে উঠে। এর ৩ মিনিটের কলিনদ্রেসের হেড থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো দোরিয়েলতন গোল করে আবাহনীকে হারের লজ্জ্বা থেকে বাঁচান। নিজেও পেনালিট মিস করার ড্র দিয়ে ম্যাচ শেষ হয়।
এমপি/এসআইএইচ
