বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২৯ রানে মালয়েশিয়াকে অলআউট করে ১২০ রানের বিশাল জয় বাংলাদেশের

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে গতকাল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দারুন শুরুর পর, ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়া ২৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে ১২০ রানের বিশাল জয় তুলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

নিশিতা বাংলাদেশের এই বিশাল জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। ৩ রানে তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তার এমন তোপে পরে মালয়েশিয়ার ৩ ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৫ রান করেছেন আলিয়া নূর বিন্তি। তবে দলের সর্বোচ্চ রানটা এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে, ১২ রান অতিরিক্ত দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

তবে তাতে সমস্যা হয়নি কোনো। নিশিতার ফাইফারের সঙ্গে আনিসা সোবা ২ উইকেট, হাবিবা ইসলামের ৩ উইকেটে ভর করে বাংলাদেশ ২৯ রানে অলআউট করে দেয় মালয়েশিয়াকে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ফাহমিদা ছোঁয়ার ২১ বলে ২৬। ইভার ১৬ বলে ১৯ ও অধিনায়ক সুমাইয়া করেন ১১ বলে ১২ রান। জান্নাতুল মাওয়া খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে নেমে সাদিয়া আক্তার ১৯ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন। তাতে ২০ ওভারে ১৪৯ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।

জবাবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বোলারদের তোপে পড়ে অলআউট হয় ২৯ রানেই। আর তাতেই ১২০ রানের বিশাল এক জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। নিশ্চিত হয়ে যায় দলের সুপার ফোরে খেলা।

Header Ad
Header Ad

কথা রাখেনি সাদপন্থীরা: হাসনাত আবদুল্লাহ

সাদপন্থিদের সঙ্গে আলোচনার হাসনাত ও সারজিদ। ছবি: সংগৃহীত

মাঝরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল করা নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন নিহত হয়েছে। এ ঘটনা আগেই দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে গত রাতেই সাদপন্থিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য টঙ্গী যাই। আলোচনায় সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও তারা আমাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করেছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সাদপন্থি সমর্থিত ‘সচেতন ছাত্র সমাজের’ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং সকাল ১০টার মধ্যে মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার কারণে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সাদপন্থিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য টঙ্গী যাই। সেখানে আলোচনা শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এবং মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসা জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তারা টঙ্গী ময়দানে জোড়ের শর্ত দেন এবং ২৫ তারিখ মাঠ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এই সময় তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান হাসনাত। তিনি বলেন, ‘টঙ্গীতে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আমরা এটাও স্পষ্ট করি এগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে কাকরাইলে মাওলানা জুবায়ের সাহেব এবং ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। এরপর রাত ২টায় কাকরাইলে আলোচনার জন্য যাই। সেখানে মাওলানা মাহফুজুল হক ও মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর সাদপন্থিদের একজন মুফতি সাহেবের একটি পোস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, যেখানে খণ্ডিত ভিডিও প্রচার করে বলা হয়েছে আমরা নাকি তাদের জোড় করার অনুমতি দিয়েছি। এটি আমাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত।’

হাসনাত বলেন, কাকরাইলে আলোচনাকালে সেখানে আলেমদের উপস্থিতিতে আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে আমরা কোনো কর্তৃপক্ষ নই। আমরা আলোচনা করে কাকরাইল থেকে টঙ্গী গিয়ে কথা বলব এবং এরপর পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এমনকি আলোচনার মাঝেও সাদপন্থি ওই মুফতি সাহেবকে ফোন দিয়ে বলেছি, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করেন, তাহলে আমাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে না। আমরা কাকরাইলে আলেমদের উপস্থিতিতে সাদপন্থিদের আরও বলেছি, কোনোভাবেই আপনারা ময়দানে প্রবেশ করবেন না এবং আমাদের নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, তা মুছে ফেলবেন। কিন্তু এর আগেই এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে শান্ত ও ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি। তাবলিগ একটি দ্বীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। ফলে আমরা মনে করি তাবলিগসহ ধর্মীয় সব বিষয়াদি উলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই সুরাহা ও মীমাংসিত হবে। তবে সমগ্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়ভার আমাদের প্রত্যেকটি নাগরিকের। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও অবস্থানের জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।

 

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম-মুয়াজ্জিন নিহত

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘ‌টে

মধুপুর পাহাড়ি বনাঞ্চলের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে বড়বাইদ এলাকায় পিকআপ ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ইমাম ও মোয়াজ্জেম নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘ‌টে।

নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার শালুচড়া গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২০) এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মুরাদপট্টী চুয়ালীপাড়া গ্রামের মুহাম্মদ শহীদুল শিকদারের ছেলে হাফেজ হাসান সিরাজী (১৮)।

তারা দু’জনেই উপজেলার বড়বাইদ এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমাদিয়া দাওরায়ে হাদীস মাদরাসা ও এতিমখানা প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং স্থানীয় কাকরাইদ রামকৃষ্ণ বাড়ী মসজিদে হাবিবুর রহমান ইমামতি ও হাসান সিরাজী মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, তারা দুইজন মাদরাসার ছাত্র। পড়া‌শোনার পাশাপা‌শি কাকরাইদ রামকৃষ্ণ বা‌ড়ী মস‌জি‌দে ইমাম‌তি ও মোয়া‌জ্জি‌নের দা‌য়িত্ব পালন কর‌তো। ভো‌রে মস‌জি‌দে আযান দেওয়ার জন‌্য মাদরাসা থে‌কে তার মোটরসাইকেল‌যো‌গে মস‌জি‌দের দি‌কে যা‌চ্ছিল।

এসময় ময়মনসিংহ থেকে থে‌কে আসা পিকআপের সা‌থে মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকে‌লে থাকা মোয়া‌জ্জিন ও ইমাম গুরুত্ব‌র আহত হয়। ‌প‌রে তাদের উদ্ধার ক‌রে ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নেওয়ার প‌থে তা‌দের মৃত‌্যু হয়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) এমরানুল কবীর জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘ‌র্ষে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নেওয়ার সময় প‌থে তা‌দের মৃত‌্যু হয়। এ ঘটনায় পিকআপ জব্দ করা হলেও চালক পা‌লি‌য়ে‌ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা মাইকেল চাকমার

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী শাসনামলে গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা গুমের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আসেন। সে সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও শহিদুল আলমের স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।

হাসিনা সরকারের পতন হলে দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা। ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মাইকেল চাকমা বলেন, ৫ বছর ৪ মাস সময় ধরে তিনি গুমের শিকার ছিলেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ি সফরের দিনে ইউপিডিএফের হয়ে তারা অবরোধ করেছিলেন। এই ঘটনায় তখন শেখ হাসিনা তাদের দেখে নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করায় গুম হওয়ার পর তাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার আশঙ্কা এসব ঘটনায় তাকে গুম করা হয়েছিলো। এ কারণেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গুম ছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী গুমের এই মৌখিক অভিযোগ আমলে নিবেন তারা। মাইকেল চাকমা অভিযোগ লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত কাজ শুরু করবে তদন্ত সংস্থা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কথা রাখেনি সাদপন্থীরা: হাসনাত আবদুল্লাহ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম-মুয়াজ্জিন নিহত
গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা মাইকেল চাকমার
মেট্রোরেলে একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট
আবারও বাংলাদেশের নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র
চাকুরিতে পুরুষ-মহিলা সবাইকে স্যার ডাকার নিয়ম বাতিল
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা
চাঁদপুরে বিএনপির দুই গ্রুগের সংঘর্ষ
ইজতেমা ময়দানে জূবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে নিহত ৩
২৭ রানের জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল জনগণের আরেক বিজয়: জামায়াত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থানের সুযোগ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ
জনসমর্থনের কারণে বিএনপি অনেকের হিংসার কারণ: তারেক রহমান
পূর্বাচলের লেক থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার