অঘটনে শুরু প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
নবাগত স্বাধীনতা সংঘের কাছে বসুন্ধরার হার
প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল মাঠে গড়ানোর আগে ভেন্যু অনেকটা নাটক হয়েছে। সব সমস্যার সমাধান করে বৃহস্পতিবার মাঠে গড়িয়েছে আসর। মাঠে গড়ানোর প্রথম দিনই ছিল চমক। ঘটেছে অঘটন। আর সেই অঘটনের শিকার হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। তাদের হারিয়ে দিয়েছে নবাগত স্বাধীনতা সংঘ। জয়-পরাজয়ের মাঝে ব্যবধান ২-১। নেদো তুর্কোভিচ ও রাসেল আহমেদের গোলে স্বাধীনতা সংঘ এগিয়ে যাওয়ার পর বসুন্ধরার হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন তৌহিদুল আলম সবুজ।
এবারের মৌসুমের প্রথম আসর স্বাধীনতা কাপে বসুন্ধরা কিংস আবাহনীর কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল। ফেডারেশন কাপে কমলাপুর স্টেডিয়ামে না খেলতে চেয়ে আসর থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। এবার প্রিমিয়ার লিগ শুরুই করল হার দিয়ে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারের কারণে এই মাঠে আপাতত বাফুফে কোনো আসর আয়োজন করতে পারছে না। প্রিমিয়ার লিগের জন্য তাই ভেন্যু দুইটি বেছে নিয়েছে ঢাকার বাইরে। একটি মুন্সিগঞ্জে, অপরটি টঙ্গিতে। টঙ্গির আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ফুটবলে ক্রমেই অপ্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠা বসুন্ধরা কিংসের হার ছিল অকল্পনীয়। অবিশ্বাস্য। শক্তিতে কোনো ঘাটতি ছিল না। বিদেশি ফুটবলারও ছিলেন উন্নতমানের। ঘরোয়া ফুটবলারতো ছিলেনই। কিন্তু মাঠে তাদের খোঁজেই পাওয়া যায়নি। শুধু জার্সি নাম্বার দেখে চিনে নিতে হয়েছে। বিপরীতে নবাগত স্বাধীনতা সংঘের ফুটবলাররা খেলেছেন প্রাণবন্ত খেলা। যে খেলার ফসল তারা ঘরে তুলেছেন ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে। বসুন্ধরা কিংস এর আগে লিগে হার মেনেছিল গত মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। ম্যাচের হিসেবে ৬ ম্যাচ আগে।
খেলার প্রথম গোল হয় পেনাল্টি থেকে ২২ মিনিটে। স্বাধীনতার পোলিশ ফরোয়ার্ড রাফায়েল জাবোরোভস্কির ডান দিক থেকে আড়াআড়ি ক্রস করলে আতিকুর রহমান ফাহাদ হাত দিয়ে তা আটকে দেন। এতে রেফারি পেনাল্টি বাঁশি বাজান। কিন্তু রেফারির এই সিন্ধান্ত নিয়ে বসুন্ধরার ফাহাদ, বিশ্বনাথ ঘোষ, খালিশ শাফিই, ভ্রানিয়াসরা রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এগিয়ে আসেন সনসহকারি রেফারিরা। এ সময় বসুন্ধরার কোনো কোনো খেলোয়াড়[ সহকারি রেফারিকে ধাক্কাও মারেন। কিন্তু রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ফরোয়ার্ড তুর্কোভিচ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। গোল হজম করার পর তা পরিশোধ করার জন্য আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা। ভ্রানিয়াস, রবিনিয়োর চেষ্টাগুলো সফলতার মুখ দেখতে না পারলে প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বসুন্ধরা ।
দ্বিতীয়ার্ধে মনে হয়েছিল বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা স্বাধীনতার রক্ষণভাগ তছনছ করে দেবে। কিন্তু উল্টো আরো এক গোল হজম করে বেকায়দার পড়ে যায়। ৪৭ মিনিটে জিল্লুর কাছ থেকে বল পেয়ে রাসেল কোনাকুনি শটে গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান। ৬৯ মিনিটে স্বাধীনতা সংঘ ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তুর্কোভিচ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তার শট বাইরে দিয়ে চলে যায় । ৭৩ মিনিটে গোল পরিশোধ করে বসুন্ধরা। আরাফাতের লং পাস থেকে সবুজ লাফিয়ে উঠে হেড করে গোল করেন। ৮৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রবসনের পাস থকে সবুজের নেয়া শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্বীধনতার ফুটবলার বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেন।
এমপি