আজ মাঠে ফিরছে বিপিএল
সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএল চট্টগ্রাম থেকে এসে রাজধানীতে অবস্থান করছে। খেলা হবে দুই দিন। এই দুই দিনে তারা এখানে চারটি ম্যাচ খেলবে। এরপর বিপিএলের ট্রেন চলে যাবে সিলেটে। সিলেট থেকে আবার ফিরবে ঢাকা। যখন ঢাকায় ফিরবে, তখন বিপিএলের একটি দৃশ্য মোটামুটি পরিস্কার হয়ে যাবে কোয়ালিফায়ার ও এলিমেনেটর রাউন্ডে কারা কারা যাচ্ছে। তার আগে ঢাকায় দুই দিনের অবস্থানে আজ (০৩ ফেব্রুয়ারি) মাঠে নামবে প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্স ও খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
সিলেট ও খুলনা দুই দলই প্রথমবার মুখোমুখি হবে। আসরে সিলেট এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ৪টি ম্যাচ খেলেছে। সমান ম্যাচ খেলেছে কুমিল্লাও। খুলনার ম্যাচ সংখ্যা ৫টি। সিলেটের পয়েন্ট ২। তারা আছে সবার তলানিতে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা আছে সিলেটের ঠিক উপরে। চট্টগ্রামে সিলেট ২টি ও খুলনা ৩টি ম্যাচ খেলেছিল, যেখানে দুই দলের হারের পাল্লা বেশি। সিলেট ২টিতেই হেরেছিল। খুলনাও ২টিতে হার মেনেছিল। খুলনার দুইটি হারই ছিল বরিশালের কাছে। একমাত্র জয় ছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। সিলেট দুইটি ম্যাচে হেরেছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে।
চট্টগ্রামে সিলেট দুইটি ম্যাচে হারলেও লড়াই করেছিল। ঢাকার বিপক্ষে ৫ উইকটে ১৭৫ রান করেও তারা জিততে পারেনি। এই ম্যাচে আবার সিলেটের লিন্ডলে সিমন্স (১১৬) ও ঢাকার তামিম ইকবাল ( অপরাজিত ১১১) সেঞ্চুরি করেছিলেন। যা ছিল এবারের বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও সিলেট ভালোই জবাব দিয়েছিল। চট্টগ্রামের ৩ উইকেটে ২০২ রানের জবাবে তারা করেছিল ৬ উইকেটে ১৮৬ রান। খুলনা বরিশালের কাছে দুইটি ম্যাচেই হেরেছিল ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বরিশালকে ১৪১ ও ১৪৯ রানে আটকে রেখেও তারা জিততে পারেনি। চট্টগ্রামকে আবার তারা ১৪৩ রানে আটকে রেখে ম্যাচ জিততে পেরেছিল। এই ম্যাচে খুলনার বোলিং যেমন শক্তিশালী, তেমনি সিলেটের শক্তি ব্যাটিং। যারা শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পারবে, তারাই ম্যাচ নিজেদের করে নেবে।
কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে। চট্টগ্রামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল কুমিল্লা। কুমিল্লার ৩ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়ে হার মেনেছিল ৫২ রানে। বরিশালের কাছে পেয়েছিল প্রথম পরাজয়ের স্বাদ। কুমিল্লার ম্যাচে বৃহস্পতিবার দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের মঈন আলীকে। ডু প্লেসিতো আছেনই। আগের ম্যাচগুলোতে নিয়মিত খেলা ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ও করিম জানাতের
যেকোনো একজন বাদ পড়বেন। সম্ভাবনা বেশি করিম জানাতের। প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়ে কুমিল্লা বেশ ভালো অবস্থানেই আছে। কিন্তু অবস্থান ভালো নয় চট্টগ্রামর। ৭ ম্যাচ খেলে তারা জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে। ম্যাচ বাকি তাদের তিনটি। এই তিন ম্যাচ জিতলেও তাদের প্লে অফ নিশ্চিত হবে না। তখন পয়েন্ট টেবিলে অন্য দলের অবস্থান দেখতে হবে।
এমপি/এসআইএইচ