চট্টগ্রাম পর্বের পর্দা নামবে আজ
চট্টগ্রাম মাতিয়ে বিপিএলের পর্দা নামবে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি)। সমাপ্তিটাও হবে মন মাতানো-এমনটই প্রত্যাশা সবার। সেই সামাপ্তিতে প্রলেপ দিতে মাঠে নামবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। কোনো কোনো দল নিজেদের মাঝে দুইবারই খেলে ফেলেছে, সেখানে এই দুই দল মঙ্গলবারই প্রথম মুখোমুখি হবে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যাালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। দুই দলের এটি দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। এই দুই দলের ম্যাচ দিয়েই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরের পর্দা উঠেছিল। হেসেছিল ফরচুন বরিশাল। ম্যাচটি ছিল রো-স্কোরিং।
চট্টগ্রামে বিপিএলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার নিয়ে চারদিনের আটটি ম্যাচ। যেখানে আগের ছয় ম্যাচে দুইশোর্ধ্ব রানের ইনিংস, বড় সংগ্রহ অতিক্রম, সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি, হ্যাটট্রিক সবই হয়েছে। আবার লো-স্কোরিংও হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ছয়টি ম্যাচ বিনোদনের পসরা সাজিয়ে বেসেছিল। শেষ দিন কী হবে?
প্রথম ম্যাচে দুই দলই তারাকায় ঠাসা। ঢাকায় আছেন মাহমুদউল্লাহ, তামিম, মাশরাফি, আন্দ্রে রাসেল, মোহাম্মদ শাহজাদ, মোহাম্মদ নাঈম, রুবেল হোসেন, শুভাগত হোমের মতো ক্রিকেটার। অপরদিকে কুমিল্লায় আছেন ডু প্লেসি, মোস্তাফিজুর রহমান, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, ইমরুল কায়েস। কুমিল্লা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেও ঢাকা কিন্তু পারেনি। কুমিল্লার তিন ম্যাচে যেখানে জয় শতভাগ, পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান সবার উপরে, সেখানে ঢাকার অবস্থান চারে। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। প্রথম ৪ ম্যাচের তিনটিতেই তারা হেরেছিল। এখন যে অবস্থা, তাতে করে প্লে অফ রাউন্ডে যেতে হলে তাদের সামনে আছে বড় ঝুঁকি। একটি হার তাদের বিপদ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিপজ্জনক করে তুলতে পারে প্লে অফ রাউন্ডে খেলা। কুমিল্লার বিপক্ষে জিততে পারলে তাদের অবস্থান অনেক পোক্ত হবে। আগের ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের ৫ উইকেটে করা ১৭৫ রান ঢাকা টপকে গিয়েছিল ১৭ ওভারে। সেই ম্যাচে সিলেটের লিন্ডলে সিমন্সের ১১৬ রানের জবাব দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল অপরাজিত ১১১ রান করে। এদিকে কুমিল্লাও চট্টগ্রামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পাত্তাই দেয়নি ৫২ রানেম ম্যাচ জিতে। এই ম্যাচে তাদের তারকা ক্রিকেটার ডু প্লেসি রানের দেখা পেয়েছেন। ৫৫ বলে খেলে করেন ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। রান পেয়েছেন ক্যামেরন ডেলপোর্টও (২৩ বলে অপরাজিত ৫১)। এমনকি চলতি আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ওপেনার লিটন দাসও করেন ৩৪ বলে ৪৭ রান। এখন দেখার বিষয় শেষ হাসি হেসে কারা ফেরেন রাজধানীতে।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে যখন বরিশাল ও চট্টগ্রাম মুখোমুখি হয়েছিল, তখন সব দিক দিয়েই এগিয়েছিল সাকিবের বরিশাল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামও নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিয়েছে। আসরের সর্বোচ্চ দুইটি ইনিংসও তাদের। একটি হয়েছে দুইশোর্ধ্ব। সিলেটের বিপক্ষে করেছিল ৫ উইকেটে ২০২। আরেকটি ছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৯০ রানের। দুইটি ম্যাচই তারা জিতেছিল। দলের দুই ওপেনার কেনার লুইস, উইল জ্যাকস, বেনি হাওয়েল সবাই মারমুকে ব্যৗাটসম্যান। এদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়ে দায়িত্ব পাওয়া নাঈম ইসলাম। আবার নাসুম-শরিফুল-মিরাজ রেজাউর রহমান রাজার বোলিং আক্রমণও অনেক শক্তিশালী। বরিশাল কিন্তু চট্টগ্রামে এসে দুইটি ম্যাচেই রান খরায় ডুবেছে। দুইটিই ছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। প্রথমে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করার পর ফিরতি ম্যাচে ১৪৫ রানে অলআউটই হয়ে যায়। তারপরও তারা দুইটি ম্যাচ জিতেছিল বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে। চট্টগ্রামের যে ব্যাটিং লাইন, তাতে করে খুলনার বিপক্ষে যে রান করে পার পেয়েছিল, এই ম্যাচে তা সম্ভব নাও হতে পারে?
এমপি/টিটি