আরিফুলের সেঞ্চুরিতেও যুবাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা!
আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরির পরও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্লে-অফ সেমি ফাইনালে ৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৭৫ রানে। দলের অর্ধেকেরও বেশি রান ছিল আরিফুলের ১০০।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে প্লে-অফ সেমিফাইনাল। এই ম্যাচ জিতলে পঞ্চম/ষষ্ট স্থানের জন্য খেলবে। হেরে গেলে খেলবে সপ্তম/অষ্টম স্থানের জন্য।
মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই এবারে আসরে বাংলাদেশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও সেমি ফাইনালেই যেতে পারেনি। যে তিনটি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করেছে সব কটিতেই ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল মাত্র ৩৫.২ ওভারে ৯৭ রানে। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল ৩৭.১ ওভারে ১১১ রানে। অ্যান্টিগায় পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এখানে সান্ত্বনা ছিল রান বেড়েছে। ওভার বেশি খেলেছে। সঙ্গে ছিল আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরি।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমেই ২৩ রানে নেই ৩ উইকেট। এরপর ওপেনার ইফতেখারের সঙ্গে জুটি বেঁধে আরিফুল হাল ধরেন। সামাল দেন ধসের। জুটিতে রান আসে ৫০। ২৫ রান করে ইফতেখার আউট হওয়ার পর আবার ধস। এক প্রান্তে শুধু আরিফুল প্রতিরোধ করে যান। অপরপ্রান্তে দেখতে থাকেন সঙ্গীদের আসা-যাওয়া! একমাত্র মেহরাব ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সঙ্গ দিয়ে ৩৬ রান যোগ করেন। মেহরাব করেন ১৪ রান। সঙ্গীদের ব্যর্থতার মাঝেও আরিফুল ৮১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাদাকাতকে ছক্কা মেরে। এরপর সেঞ্চুরি করেন ১১৮ বলে। মেহরাব আউট হওয়ার সময় দলের নান ছিল ১১৭। এরপর যে ৫৮ রান যোগ হয়েছে তার ৪৫ রানই ছিল আরিফুলের। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই তিনি আউট হয়ে যান নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে। তার ১১৯ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ৫টি চার। আরিফুল আউট হওয়ার পর আর এক রান যোগ হতেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়।
এমপি/এমএমএ/