বরিশালের কাছে আবারও খুলনার হার
বিপিএলে একদিনে দুইটি ম্যাচেই রানের দেখা পাওয়া গেলো না। রান খরায় থাকা প্রথম ম্যাচ সপ্তম দিন এসে রান বন্যায় ডুবেছিল। কিন্তু সেদিনই আবার প্রথমবারের মতো রান খরা হয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশাল ১৭.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়। কিন্তু এই রান করেও তারা জিততে দেয়নি খুলনা টাইগার্সকে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে বরিশাল জয় পেয়েছে ৬ রানে। খুলনা ৬ উইকেটে করে ১৩৯ রান। দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎয়েও লো স্কোরিং হয়েছিল। সেই ম্যাচেও জয় পেয়েছিল বরিশাল ১৭ রানে। বরিশালের ৯ উইকেটে ১৪১ রানের জবাবে খুলনা অলআউট হয়েছিল ১২৪ রানে। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল নেট রান রেটে তিনে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট ৪।
১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে খুলনা শুরুতেই বিপদে পড়ে। ব্রাভো ও সাকিবের জোড়া আঘাতে ৩৫ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে ম্যাচে ফিরে। জুটিতে ৭৯ রান আসে ৮.২ ওভারে। মুশফিক ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হওয়ার সময় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ বলে ৩২ রানের। শেষ ওভারে ২১ রানের। ইয়াসির আলী প্রসন্ন (৩ বলে ৬ ও মাহাদী হাসানকে ১ বলে অপরাজিত ৬) নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১৪ রানের বেশি নিতে পারেননি। ইয়াসির আলী ৩৪ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্রাভো ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে ৪১ রান করার পর বল হাতে ১০ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়েছিল বরিশাল। ২৪ রানে দুই বিদেশি ডুয়াইন ব্রাভো (৯) ও ক্রিস গেইলসহ (৪) তৌহিদ হৃদয়কে (৫) হারাতে হয়। দুই বিদেশিকে আউট করেন খালেদ আহমেদ। তৌহিদ হন রান আউট। দলের এই বিপর্যয় সামাল দেন সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৯ রান যোগ করেন ৯.৪ ওভারে।জুটি ভাঙ্গে সাকিব আউট হলে। ২৭ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ৪১ রান করে তিনি আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়ে।৬ রাম বিদায় নেন নাজমুলও। ২ ছক্কা ৩ চারে ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস শেষ হয় থিসারা পেরেরার বলে ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়ে। এই দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নেয়ার পর আর কেউই রান করতে পারেননি। ফলে ১৮. ৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয় বরিশাল। সাকিব ও নাজমুল ছাড়া মুজিব উর রহমান ১২ ও নূরুল হাসান সোহান ১০ রান করেন। আর কোনে ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। খালেদ ৪১ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।