যুবাদের ব্যটিং ব্যর্থতায় বিপদে বাংলাদেশ
সেমি ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যাদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় বোলারদের হাতে লড়াই করার মতো পুঁজিও তারা দাঁড়া করাতে পারেনি। ৩৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয় তারা।
অ্যান্টিগায় টস হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ভারত। চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এক রকম ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়েছিল। পরে হেরেছিল ৭ উইকেটে। এরপর গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে ম্যাচ জিতেছিল ৮ উইকেটে ও ৯ উইকেটে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে আগে ব্যাট করে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার করুণ দৃশ্য। যা বাংলাদেশকে এবারের আসর থেকে বিদায়ের ছাড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা এক রকম পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। জিততে হলে বোলারদের আশাতীত ভালো বোলিং করতে হবে!
শুরুতেই দুই ওপেনার ইফতেখার (১) ও মফিজুলের (২) ব্যর্থতার সঙ্গে তাল মেলান ওয়ান ডাউনে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও (৭)। তিন জনের তড়িৎ বিদায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৪। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেরই যেন পূনরাবৃত্তি! আইচ মোল্লা হাল ধরলেও অপর প্রান্তে কিন্তু চলছিল সেই আসা-যাওয়ার মিছিল। আরিফুল (৯), মো. ফাহিম (০) ও দলপতি রকিবুল হাসান (৭) বিদায় নেন। তখন দলীয় রান ৬ উইকেটে ৫০। এর একটু পর আইচ মোল্লারও প্রতিরোধ ভেঙ্গে যায় ব্যক্তিগত ১৭ ও দলীয় ৫৬ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৪৮ বলের ব্যবহার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর শেষ উইকেট জুটিতে রিপন মন্ডল ও নাঈমুর রহমান ৪৬ রান যোগ করে দলের রানকে ৯৭ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। এবার দলকে শতরান পার করান মেহরব ও আশিকুর জামান। অষ্টম উইকেট জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন ১১.৪ ওভারে। জুটি ভেঙ্গে মেহরাব ৩০ রান করে আউট হলে। তার ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার। মেহরাব আউট হওয়ার পর আশিকুর জামানও আউট হয়ে যান ২ রান পর দলীয় ১০৮ রানে। তখন তার ব্যক্তিগত রান ছিল ১৬। এরপর দলীয় ১১১ রানে অলআউট হয় তারা। শেষ তিন উইকেট পড়ে মাত্র ৫ রানে। ভারতের হয়ে রবি কুমার ১৪ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নেন ভিকি
এমপি/এএস