এবার ছোট টার্গেটও পাড়ি দিতে পারেনি খুলনা
ঢাকার পর চট্টগ্রামেও দিনের প্রথম ম্যাচ রান খরা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। চট্টগ্রামে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয়ও দিনেও রান খুব বেশি হয়নি। প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করে। সেই রানও খুলনা টাইগার্স তাড়া করতে পারেননি। এক ওভার বাকি থাকতেই তারা ১২৪ রানে অলআউট হয়ে আউট হার মানে ১৭ রানে। চট্টগ্রামে প্রথম দিন প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করেছিল। সেই রান অবশ্য খুলনা টাইগার্স ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়। এভাবে চার ম্যাচে খুলনার এটি ছিল দ্বিতীয় হার। বরিশাল দুই ম্যাচ হারের পর আবার পেল জয়ের দেখা। তারা এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে।
রান খরা কাটানোর জন্য বরিশাল এদিন ব্যাটিং লাইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। ক্রিস গেইল আগের দুই ম্যাচে পাঁচে ব্যাটিং করেছিলেন। এই ম্যাচে তাকে দিয়ে ইনিংসের উদ্বোধন করতে পাঠানো হয়। জিয়াউর রহমানকে তিন নাম্বারে প্রমোশন দেওয়া হয়। চারে উঠে আসেন নুরুল হাসান সোহান। নাজমুল হোসেন শান্ত নেমে যান পাঁচে। তৌহিদ হৃদয় ছয়ে। দলপতি সাকিব ব্যাট করেন সাতে। কিন্তু তাতে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়নি। ওপেনার গেইল ৪৫ রানের ইনিংস খেললেও সেখানে বিস্ফোরক ইনিংস ছিল না। ৩৪ বলে ২ ছক্কা আর ৬ চার ছিল তার ইনিংসে। এটি ছিল ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। গেইল আউট হওয়ার আগে ওপেনার জ্যাক লিনটট ( ১১) ও জিয়াউর রহমান (১০) বিদায় নেন। গেইল আউট হওয়ার পর আর কেউই সেভাবে রান বাড়ানোর কাজ করতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয় ২৩ ও নাজমুল হোসেন ১৯ রান করেন। এই দুজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন ৩১ বলে। এ সময় দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাকিরা শুধু আসা-যাওয়াতে শামিল হলে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থেমে যেতে হয় বরিশালকে। তারা শেষ ২৩ বলে ১৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। থিাসারা পেরেরা ১৮ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩০ রানে নেন দুইটি করে উইকেট।
টার্গেট বেশি ছিল না খুলনার। আগের দিনের চট্টগ্রামের দেওয়া টার্গেটের চেয়ে ২ রান কম ছিল। চট্টগ্রামের রান অনায়েসেই পার করতে পারলেও বরিশালের রান অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি। দলীয় ৫ রানে আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের মতো দুই ওপেনারকে হারাতে হয় পরপর দুই বলে। ঘাতক ছিলেন আফগানিস্তানের অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান। ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও রনি তালুকদার (১৪), মেহেদী হাসান (১৭), মুশফিকুর রহিম (৪০), ইয়াসির আলী (২৩), থিসারা পেরেরার (১৯) ছোট ছোট অবদানে জয়ের পথেই ছিল খুলনা। কিন্তু এক পর্যায়ে ১৫ বলে মাত্র ১৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭ রানে হার মেনে নেয়। পেসার মেহেদী হাসান রানা তার তৃতীয় ও ইনিংসের ১৯ নম্বর ওভার করতে এসে ফরহাদ রেজা, শরিফউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমকে আউট কর ম্যাচকে আর শেষ ওভারের নাটকীয়তা নিয়ে যেতে দেননি। তিনি ১৪ রানে ৪ উইকেটে নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। আফগানিস্তানের অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ২২ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এসআইএইচ